Sunday, September 7, 2014

পাইকগাছা কলেজের পরিচালনা পর্ষদ’এর শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন

পাইকগাছা কলেজের পরিচালনা পর্ষদ’এর শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন রবিবার সম্পন্ন হয়েছে। মাসুদুর রহমান মন্টু (ইংরেজি বিভাগ) ৪৯ ভোট ও বিনয় কুমার মন্ডল (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

শিক্ষিকাদের মধ্যে মাধুরী রানী মন্ডল (দর্শন বিভাগ) বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

কয়রায় ৪৯টি পূজা মন্দিরে শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি চলছে

কয়রা উপজেলায় চলতি বছরে ৪৯টি সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে দূর্গা পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় কয়রা সদরে শ্রী শ্রী সনাতন ধর্ম মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের উদ্যোগে এক বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 


সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি রমেশ চন্দ্র মন্ডল। সভার শুরুতে সভাপতি এড,অধীর মন্ডলের আশু রোগমুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। উপস্তিত নেতৃবৃন্দ আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি অটুট রেখে অন্যান্য বারের মত পূজা উৎযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় জানানো হয় এবার ৪৯টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার বৈরাগী, সংগঠনের নেতা মৃনাল ঘোষ, জগদীশ মজুমদার, আশুতোষ মন্ডল, গীরেন মন্ডল, ধীরাজ রায়, বিজয় কৃঞ্ষ সানা, হর প্রষাদ, বিজন রায়, সুজিত রায়, রামপদ বাহাদুর, প্রশান্ত মন্ডল, কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল, কুন্জ বিহারী, প্রভাষ সানা, অরুণ তরফদার, নির্মল দাস, দূর্গাপদ মন্ডল’সহ আরও নের্তৃবৃন্দ।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভা

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম বাবর আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন।

আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল ফজল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, এমপি পুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ, মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজন কুমার সরকার, ডাঃ শাফিকুল ইসলাম, ডাঃ প্রশান্ত মন্ডল, ডাঃ মিথুন দেবনাথ, ডাঃ আহসানারা বিনতে আহমেদ, ডাঃ মসিউর রহমান, ডাঃ এএসএম ফাহাদ, ডাঃ পার্থ প্রতিম, সাংবাদিক জিএ গফুর, শেখ সেলিম, সিনিয়র স্টাফ নার্স ফিরোজা খানম, মাসুম, নার্গিস বানু।

অনুষ্ঠানে বক্তারা ৫০ শয্যার পদ সৃষ্টি ও পদায়ন, ৩১ শয্যার শূন্য পদে পদায়ন ও প্রেষানাদেশ বাতিল, পরিচ্ছনতা কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি, স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ ও অতিরিক্ত একটি এ্যাম্বুলেন্স অর্ন্তভূক্ত করার দাবী জানান।

আমাদের পাইকগাছায় কারেন্ট যায় না, মাঝে মধ্যে আসে !

তবে সত্যি কথা হইল, কারেন্ট না থাকলে মানসিক শান্তিতে থাকা যায় ! বরং যখন কারেন্ট চলে আসে তখন ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় কখন জানি আবার কারেন্ট চলে যায়।

কোন এক কল্পিত মহামানব বলছেন, ''বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আর রাজনীতি দুইটার একটাতেও ভরসা করা যায় না।''

আবার এদিকে পড়ালেখায় ফাঁকি মারা এক ছেলে বলে, "কারেন্ট না থাকলে পড়তে হয় না, ইহা আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।"

....পুরাই ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা !

সাবধান ! কয়রায় বিয়ের নামে ঘটছে নারী পাচার

বিয়ের নামে ঘটছে নারী পাচারের ঘটনা। ছেলে গার্মেন্টেসে চাকরি করে। অনেক টাকা বেতন পায়। বিয়ে দিলে সুখে থাকবে। তার পর বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই জানা যায় তাদের এ বিয়ে ছিলো সাজানো। তারা বিয়ে করে নারী পাচারের ঘটনা ঘটায়। একটি সংঘবদ্ধ পাচার চক্র গ্রামের সহজ সরল ও দরিদ্র মেয়েদের বিয়ের নামে প্রতারণা করছে।

ভাগ্যক্রমে আইলা দুর্গত কয়রা উপজেরা সাতহালিয়া গ্রামের স্বপ্না খাতুন জীবন নিয়ে ফিরে আসলেও পাচারকারীদের নির্মম অত্যাচারের ক্ষত নিয়ে তাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এখন সে চোখে ভালো দেখতে পায় না। শুধু নির্যাতন নয় উল্টো পাচার চক্র তার ও তার ভাইয়ে বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এই পাচার চক্র দেশে ও দেশের বাইরে সিন্ডিকেট করে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার সাতহালিয়া গ্রামের আনার গাজীর ছেলে মোঃ শাহরিয়ার রশিদ একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে গ্রামের সহজ সরল মানুষের সাথে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে কয়রার সাতহালিয়া গ্রামের আনার গাজীর ছেলে শাহরিয়ার রশিদ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খরসংঘ গ্রামের মোঃ আদম আলী মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলামকে গ্রামে নিয়ে যায় এবং তার নিকট আত্মীয় ও খুব পরিচিত বলে জানায়।

শাহরিয়ার রশিদ জানায় মোঃ শরিফুল ইসলাম ঢাকার একটি বড় গার্মেন্টেসে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে চাকরী করে। মোটা অংকের বেতন পায়। এভাবে সাতহালিয় গ্রামের মৃত আবদুল গনি গাজীর পরিবারকে ম্যানেজ করে এবং আব্দুল গনি গাজীর মেয়ে স্বপ্না খাতুনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মোঃ শাহরিয়ার রশিদ একই গ্রামের লোক হওয়ায় তার কথা মতো স্বপ্না খাতুনের পরিবার বিশ্বাস করে। সে মোতাবেক চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী শরিয়াত মোতাবেক বিয়ে হয় এবং পরে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

তাদের এ বিয়েরে সময়ে গোটা গ্রামে ধুম পড়ে যায়। গ্রামবাসী অবাক হয়ে যায় বর পক্ষে বিপুল আয়োজন দেখে। সকলে জানে গরীব ঘরের মেয়ে বড় লোকের ঘরে বউ হতে চলেছে। স্বপ্না খাতুন ও তার পরিবারের সে আশা ধূলোয় মিশে যায় অল্প কিছুদিন পরে। বিয়ের ৬ দিন পরে ছেলে ঢাকায় চাকরি করার কথা বলে স্বপ্নাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।

প্রথমবার তাকে ঢাকায় নিয়ে অল্প কিছুদিন পর আবার ফিরে আসে এবং চলতি বছরের ৯ মার্চ আবার তাকে ঢাকায় নিয়ে যাবার কথা বলে ভারতে পাচার করে নিয়ে যায়। তারা অবৈধপথে ভারতে নিয়ে যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ঘুটিআরী গ্রামে আগে থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারী মোঃ শরিফুল ইসলামের বোন রহিমা খাতুন ওরফে রাই এবং ভগ্নিপতি মুন্নার বাসায় তোলে।

সেখানে তাকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করতে বলে। পতিতাবৃত্তি না করতে চাইলে স্বপ্না খাতুনকে শারীরিভাবে মারধর করা হয়। তার মাথায় আঘাত করা হয় এবং তার দুপায়ের তলায় দিনের পর দিন লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এভাবে কয়েকদিন কাটার পর তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করতে না পেরে শরিফুল ও তার বোন এবং ভগ্নিপতি ঠিক করে স্বপ্না খাতুনকে বিক্রি করে দেবে। সে মোতাবেক তারা চলতি বছরের ৮ মে ভারতের অজানা দালালদের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। এসময়ে শরিফুল বাংলাদেশে অবস্থাররত শাহরিয়ার রশিদকে জানায় তোমার ভাগের এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। যে কথাগুলো পাশের কক্ষ থেকে স্বপ্না খাতুন শুনতে পায়।

ওই দিন রাতে স্বপ্না সেখান থেকে বাইরে প্রাকৃতিক কাজে যাবার নাম করে পালিয়ে যায় এবং সকালে পাশ্ববর্তী একটি মসজিদের কাছে যেয়ে একজন মুসল্লীকে পায়। ওই মুসল্লীকে সব জানিয়ে তাকে বাঁচানোর কথা বললে তিনি তাকে সহযোগিতা করেন। স্বপ্না খাতুন জানায়, ওই মুরব্বী তার কাছ থেকে তার বাড়ির মোবাইল নম্বর নেন এবং তিনি মোবাইলে তার পরিবারের সাথে কথা বলেন। পরে ১৩ মে সে সেই মুরব্বী লোকের সহায়তায় চোরাই পথে বাংলাদেশে চলে আসে। কিন্তু স্বপ্না খাতুন দেশে ফিরলেও তার শরীরের অবস্থা ভালো ছিলনা।

সে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। তাকে শারীরিকভাবে চরম নির্যাতন করা হয়। এঘটনার পর স্বপ্না খাতুনের ভাই লাভলু হোসেন বাদী হয়ে খুলনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ১৭জুন একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দুই নম্বর আসামী শাহরিয়ার রশিদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং ২৬ আগস্ট তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

কিন্তু তাকে রিমাণ্ডের আবেদন না করায় গত সপ্তাহে সে জামিন নিয়ে বের হয়ে এসে হুমকি দিচ্ছে মামলার প্রত্যাহেরর জন্য। ইতোমধ্যে শাহরিয়ার রশিদ তাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আর কথিত স্বামী এক নম্বর আসমী মোঃ শরিফুল ইসলাম ও তার বোন রহিমা ওরফে রাই এবং ভগ্নিপতি মুন্না এখন ভারতে পলাতক রয়েছে।

এদিকে তাদের এই মানবপাচারের ঘটনাটি জানাজানি এবং মামলা হলে ধুরন্ধর শরিফুলের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে পাল্টা তাদের ছেলেকে পাচার করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ১১ আগ্সট একটি মিস পিটিশন ৩৭১/১৪ দাখিল করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। স্বপ্না খাতুন জানায়, আসামী তার কথিত স্বামী মোঃ শরিফুল ইসলাম, তার মা জরিনা বেগম,বোন রহিমা,ওরফে রাই, ভগ্নিপতি মুন্না আর কয়রার সাতহালিয়া গ্রামের মোঃ শাহরিয়ার রশিদ সকলেই মানবপাচারকারী দলের সদস্য।

সে জানায়, তাদের বাংলাদেশ ও ভারতের দালাল এবং সিন্ডিকেট আছে। তাদের কাছে বন্দী থাকার সময়ে সে কিছু কিছু জানতে পেরেছে। তাছাড়া তারা এই কাজ করে বলে তাদের রয়েছে অনেক অর্থ। প্রশাসনসহ সব কিছু তারা ম্যানেজ করে অনায়াসে।

এলাকাবসীর অভিযোগ এই ঘটনটি সুষ্ঠু তদন্ত করলে মানবপাচারের আন্তঃদেশীয় সিন্ডিকেট চক্রের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। তাদের দাবি গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামী মোঃ শাহরিয়ার রশিদকে রিমাণ্ডে নিলে প্রকৃত মানবপাচারের রুট উদঘাটন হতে পারতো।

ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে সংবর্ধনা, নবীন বরণ ও বই বিতরণ অনুষ্ঠান

পাইকগাছায় ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সংবর্ধনা, নবীন বরণ ও বই বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীর ১৬০ শিক্ষার্থীকে বই ও পোশাক প্রদান করা হয়। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 


রবিবার সকালে কলেজ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, আলহাজ্ব রইস উদ্দীন, আকতারুজ্জামান সুজা, শেখ মনিরুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম ও শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন এসএম মোজাম্মেল হক, সেখ রুহুল কুদ্দুস, শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, দাউদ শরীফ। মানপত্র পাঠ করেন শিক্ষার্থী সাদিকা পারভীন জ্যোতি ও রুমানা পারভীন।

পাইকগাছার শিশু আলসাবা হত্যা মামলায় ১ জনের ১০ বছর কারাদন্ড

গত সোমবার পাইকগাছার শিশু আলসাবা হত্যা মামলার রায়ে মোঃ আঙ্গুর ওরফে আমিনুর সরদারকে ১০ বছরের দন্ডাদেশ দিয়েছেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ মজিবুর রহমান। বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত আঙ্গুরের বর্তমান বয়স ১৮ বছরের উর্ধে হওয়ায় তাকে দন্ড দেয়া হল।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় পাইকগাছা সদরে খেলা নিয়ে শিশুদের মধ্যে বিরোধ হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে বড়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় কিশোর আঙ্গুর একটি কোদাল নিয়ে শিশু আলসাবাকে আঘাত করে।

এতে আলসাবা গুরুতর জখম হয়। তাকে প্রথমে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশু আলসাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর লিয়াকত আলী বাদী হয়ে ৪ জনের নামে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা নথিভুক্ত করে থানা পুলিশ। এ মামলার তদন্ত করেন তৎকালিন এস.আই মোঃ মহসিন উদ্দিন। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একটিতে মোঃ কাশেম সরদার ও নাজমা বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়। অপরটিতে তাদের কিশোরপুত্র আঙ্গুরকে অভিযুক্ত দেখানো হয়।

আদালতের বিচারক মামলার ২টি অংশের বিচার কাজ একই সাথে শুরু করেন। আঙ্গুরের বিচার কিশোর অপরাধ আইনের আওতায় নেয় হয়। বিচারকালে ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

সোমবার রায় ঘোষণার সময় আঙ্গুরের বয়স ১৮ বছরের উর্ধে হয়। বিচারে আঙ্গুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার পিতা কাশেম সরদার ও মাতা নাজমা বেগমকে খালাস দেয়া হয়।

আন্তঃজেলা ডাকাত দলের নেতা জামাল হোসেন গাজী আটক

ডুমুরিয়া উপজেলায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের নেতা জামাল হোসেন গাজীকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। পাইকগাছা থানায় তার নামে ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বন্দুক ও গুলিসহ তাকে আটক করা হয়। আটক জামাল গুটুদিয়া গ্রামের মৃত নাজির গাজীর ছেলে।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুটুদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে জামাল হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদকালে বাড়ির মুরগীর ফার্মের মধ্যে লুকিয়ে রাখা অস্ত্রের কথা স্বীকার করে। সেখান থেকে একটি এলজি বন্দুক ও ৩ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, জামালের বিরুদ্ধে জেলার ডুমুরিয়া থানায় ৩টি ডাকাতি মামলা ও পাইকগাছা থানায় ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া যশোরের কেশবপুর থানার একটি ডাকাতি মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের এই ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের সাম্প্রতিক অবস্থা ! (২)

পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাসগুলো এখনও পর্যন্ত পাইকগাছা-কপিলমুনি ও তালা-খুলনা এই ২ ধাপে চলাচল করছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাস চলাচল শুরু হবে।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের সাম্প্রতিক অবস্থা ! (১)


পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাসগুলো এখনও পর্যন্ত পাইকগাছা-কপিলমুনি ও তালা-খুলনা এই ২ ধাপে চলাচল করছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাস চলাচল শুরু হবে।

পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ বিষয়ক ডকুমেন্টারি

পাইকগাছা পৌরসভার টেকসই পরিবেশ সহায়ক স্বাস্থ্য উদ্যোগ প্রকল্প। সরল দীঘি, পাইকগাছা পৌরসভা।

  

সবার জন্য চাই 'নিরাপদ পানি'

সময়মত পানির বিল পরিশোধ করুন, পাইপ লাইনের পানি সরবরাহে সহায়তা করুন।


পৌরসভার পাইপ লাইনের সংযোগ পেতে যোগাযোগ করুন :: পানি শাখা, পাইকগাছা পৌরসভা।

▣ হট লাইন :: ০১৯৬১-১১৬৬৮৮ ▣ হেল্প লাইন :: ০৪০২-৭৫৬২৮৭

সার্বিক সহায়তায় :: ওয়াটার এইড ও নবলোক পরিষদ।

পাইকগাছায় খোলা আকাশের নিচে শতশত শিক্ষার্থীর পাঠদান

পাইকগাছায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের ছাঁদ ধ্বসে পড়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে রোদ-বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা।


জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়টি নির্মাণের পর গত ৬ বছর ধরে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২০১০ সালে নামমাত্র সংস্কার করা হলেও বন্ধ হয়নি ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়া এবং ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ার পরও দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করে আসছিল।

এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ একাধিক বার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সংস্কারের আবেদন করলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে ভবনের একাধিক কক্ষের বিশাল অংশের ছাদ ধ্বসে পড়ায় ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।

ব্যবহারের অনুপযোগী ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণাসহ নতুন ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক খালেদা খাতুন জানান।

পাইকগাছায় ফেনসিডিল’সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

পাইকগাছায় ১০ বোতল ফেনসিডিল’সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের দেবদুয়ার মালোপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় মামলায় হয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে থানার এ,এস,আই সুকুমার বৈরাগী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র হাফিজুল গাজী (২৮) কে ১০ বোতল ফেনসিডিল’সহ আটক করেন।

পাইকগাছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অজিত কুমার সরকার। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শামছুন্নাহারের কুমিল্লায় বদলীর সুবাদে গত ৩০ আগস্ট হতে অজিত কুমার সরকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

উল্লেখ্য, অজিত কুমার সরকার সহকারি শিক্ষক হিসেবে ১৯৮৫ সালে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ইতোমধ্যে তিনি ২০০৯-২০১০ বছরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন এবং তৎকালীন সময়ে ভাল ফলাফলের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারিভাবে ৪০ হাজার টাকা পুরস্কার লাভ করে।

জেলা পুলিশ সুপারের পাইকগাছা থানা পরিদর্শন

পাইকগাছা থানা পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান। তিনি শনিবার সকাল ১১টার দিকে থানা ভবন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, ওসি শিকদার আককাস আলি, ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল নাথ শ্যামল, এস,আই আব্দুল খালেক হাওলাদার, এস,আই রহমত আলী, এস,আই জালাল উদ্দীন, এস,আই রোকনুজ্জামান, এস,আই সাঈদুর রহমান ও এস,আই বিশ্বজিৎ।

কপিলমুনিতে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে শুক্রবার বিকাল ৪টায় কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি একাদশ ও বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি একাদশ এর মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলার প্রথমার্ধে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির আসাদুল ১ গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসের দর্শর্ণীয় গোলে খেলার শেষ মুহূর্তে সমতা আসে। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে খেলা ড্র হওয়ায় আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে পুনরায় খেলা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

যুগোল কিশোর দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রিড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কপিলমুনি সহচরীবিদ্যা মন্দির স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কে কে এসপির সাঃ সম্পাদক এম আজাদ হোসেন, কপিলমুনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক লাল সিংহ, বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আইয়ুব সিদ্দিকী, বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সমিতির সাঃ সম্পাদক অশোক কুমার সাধু, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাঃ সম্পাদক সন্তোষ সরকার, সাবেক সাঃ সম্পাদক আল্হাজ্ব ফজলুর রহমান প্রমুখ।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সাঃ সম্পাদক পলাশ কর্মকার।

কয়রায় ১০ দিন ব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু

কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশীর কাছারীবাড়ির চিরচেনা বটতলার ১০ দিন ব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. শেখ মোঃ নূরুল হক মেলা প্রাঙ্গনের মঞ্চে ফিতা কেটে ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন। 

মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এড. শেখ মোঃ নূরুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান, থানা অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত, আওয়ামী নেতা শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম সানা, আব্দুস সাত্তার পাড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম মতিউর রহমান, কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাঃ হুমায়ুন কবির, মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক সরদার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সাংসদ বৃক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় তাই প্রত্যেককে একটি করে ফলজ, বনজ ঔষধি গাছ লাগাতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জ মেলায় আগতদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেলার নামে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার মতো কিছু ঘটলে তাৎক্ষনিক মেলা বন্ধ করে দেয়া হবে।

সাড়া জাগানো এ মেলার পার্শে সার্কাস ও পুুতুল নাচেরও আয়োজন করা হয়েছে।