Sunday, April 21, 2013

পাইকগাছায় দুই শিক্ষককে দুই বছরের জন্য বহিস্কার

পাইকগাছায় চলমান এইচ এস সি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সরাসরি নকল কাজে সহযোগীতা করার অপরাধে দুই শিক্ষককে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধ্যক্ষসহ অপর এক শিক্ষককে পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার আর,কে বি,কে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে রবিবার চলমান এইচএসসি'র পৌরনীতি ২য় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের নকল কাজে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে চাঁদখালী কলেজের প্রভাষক জুলফিকার ইসলাম এবং এ কাজে সহযোগীতা করার অপরাধে আর কে বি কে কলেজিয়েটের প্রভাষক ইনতাজ আলীকে দু’বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ঠ কলেজিয়েটের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ এবং প্রভাষক লুৎফর রহমানকে পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান জানান খবর পেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহন করি। তিনি আরো জানান সংশ্লিষ্ঠ পরীক্ষা কেন্দ্রের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আব্দুল মাজেদ সরদারকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

পাইকগাছায় নসিমন-করিমন বন্ধের দাবী বাস শ্রমিক নেতৃবৃন্দের

পাইকগাছার মেইন সড়কে অবৈধ যাত্রীবাহি নসিমন, করিমন চলাচল বন্ধ করা না হলে সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষনা দিবেন খুলনা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন তাদের দাবী মানা না হলে সড়কে তারা যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে যন্ত্রচালিত অবৈধ নসিমন, করিমনে প্রায়ই দূর্ঘটনা কবলে পড়ে মানুষের জীবন হানি হচ্ছে আবার কেউ পঙ্গুত্ব বরন করে বেঁচে আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বাস মালিক সমিতি এ অবৈধ যানচলাচল বন্ধের জন্য দাবী জানিয়ে আসছে।

সর্বশেষ এ নিয়ে শনিবার সকালে উপজেলার জিরো পয়েন্টে বাস শ্রমিক ও নসিমন চালকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এদিকে স্থানীয় বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান সড়কে নসিমন, করিমন বন্ধ করা না হলে কঠোর কর্মসূচীর দেবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে শ্রমিক নেতাদের দাবীর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অবৈধ যানচলাচল বন্ধের প্রতিশ্রুতি প্রদান করলে গত ২৪ ঘন্টায় ওসির নির্দেশনা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সমিতির আঞ্চলিক সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান ও লাইন সেক্রেটারী শেখ জাহিদুল ইসলাম।

থানার ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন পাইকগাছা, কপিলমুনি প্রধান সড়কে রবিবার থেকে যাত্রীবাহি নসিমন, করিমন অপসারণের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।

পাইকগাছায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পাইকগাছার পল্লীতে পানিতে ডুবে এক শিশুর করুন মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল দুপুরে উপজেলার লস্কর গ্রামে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লস্কর গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী রান্নাঘরে রান্না করতে থাকে। এসময় তার ২ বছরের শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন খেলা করার সময় পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। রান্না শেষে খোজাখুজির এক পর্যায়ে তার বড় কাকি পুকুরের ফাতেমার লাশ ভাসতে দেখে।

এসময় ফাতেমা পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


মঙ্গল ও বুধবার ১৮ দলের হরতাল

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ১৮ দলীয় জোট। রোববার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের এক বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই হরতালের ঘোষণা দেন।

উপকূলীয় অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প

প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি এবং পাষ্টিক সামগ্রীর ব্যবহারের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁশ ও বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ শিল্পের সাথে জড়িতরা তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় মনোনিবেশ করছে। যার কারনে বাঁশ ও বেত শিল্পের হাজার হাজার পরিবার চরম দূর্দিনের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।

উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের হাজার হাজার শ্রমিক ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে তারা নানা সমস্যা জর্জরিত। প্রয়োজনীয় ঋন, পুঁজি, বাঁশ ও বেতের স্বল্পতা, মুজুরী কম থাকার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প ক্রমান্বয়ে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার জীবন যাপন করছে। এসব শ্রমিক বংশানুক্রমে এ শিল্পের সাথে জড়িত। তাদের নিপুন হাতে তৈরি কুলা, চাটাই, হাঁস-মুরগীর খাচা, সাজি, ঢাকনা, চালনী, পালা, খাচা, মোড়া বেতের ধামা, পাতিল, চেয়ার, টেবিল, দোলনা, খারাই, পাখা, বই রাখার র‌্যাক, ঘুনি, ডালা ও ঝুড়ি প্রভৃতি মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাইরে সরবরাহ করতো।


বর্তমানে বাঁশ ও বেত পাওয়া যায় না বললেই চলে। প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও প্রশিণ না থাকার কারণে বাঁশ ও বেতের ঝাঁড় মরে যাচ্ছে। কয়েক বছর আগেও বাঁশ ও বেতের শো শো শব্দ সকলকে আন্দলিত করতো। বর্তমানে সে সব বাঁশ বেত ঝাঁড় চোখে পড়েনা। পৃষ্টপোষকতার অভাবে কয়েক বছরে মধ্যে বাঁশ ও বেতের বাগান হারিয়ে গেছে। এক সময় বাঁশ বেত শিল্পীরা তাদের উৎপাদিত পন্য বি ভন্ন হাট বাজার সহ রাস্থায় রাস্থায় ফেরি করে বিক্রি করতে দেখা যেত এখন আর সে দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। বাঁশ ও বেতের সংকটের কারণে এ শিল্পীর সাথে জড়িত হাজার হাজার কুঠির শিল্পী ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরি বিক্রি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন বাজারে এ সামগ্রী বিক্রেতা বিমল ঋষি এ প্রতিনিধিকে বলেন, দীর্ঘ ৪০/৪৫ বছর যাবত এ ব্যবসা করছি, কিন্তু আগের মত এখন আর এ ব্যবসায় জৈলুস নেই। বাঁশ ও বেতের সল্পতার কারণে এ ব্যবসার ঐহিত্য ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আরও এক বাঁশ ও বেত শিল্পী শিবু বলেন, গ্রামাঞ্চলে যে বাঁশ পাওয়া যায় তা চড়া মূল্যে কিনতে হয়। আর বেত নেই বললেই চলে। জিনিসপত্র তৈরি করে সঠিক মজুরি পাওয়া দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে বাঁশ বেতের সামগ্রীর বিকল্প বিকল্প এখন পাষ্টিক সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। পাষ্টিক সামগ্রী ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। তার পরেও বাঁশ ও বেতের সামগ্রীর বেশ কদর রয়েছে। বাঁশ ঝাঁড় উজাড় হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ, ইট ভাটা ও টালী কারখানায় বাঁশের মুড়া তুলে ব্যাপক ভাবে পোড়ানোর কারণে বাঁশের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বাঁশ ও বেতের অভাবে এ শিল্প ধ্বংসের দারপ্রান্তে।

পাইকগাছায় পাঁঠা বিতারন কর্মসুচি-২০১৩ অনুষ্ঠিত

গ্রামের মানুষের আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি করে দারিদ্র দুরীকরনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসুচির অংশ হিসেবে পাইকগাছায় প্রাণী সম্পদ অফিসের উদ্যোগে এন এ টি পি কার্যক্রমের আওতায় পাঁঠা ছাগল বিতারন করা হয়। উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ১০ জনের মাঝে বিনামুল্যে এ ছাগল বিতারন করা হয়। অফিস প্রশিক্ষন কক্ষে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান।