Saturday, April 26, 2014

পাইকগাছায় কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী বলেছেন, শুধু একটি মানচিত্র ও নির্দিষ্ট একটি ভৌগলিক এলাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করা হয়নি। স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ ৫টি মৌলিক চাহিদা পূরণের স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশে স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট উন্নয়ন হওয়ায় এলাকায় এখন আর জ্বীন-পরীদের সন্ধান নাই।

কমিউনিটি ক্লিনিক একটি আশার প্রদীপ উল্লেখ করে নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মুক্তিযোদ্ধা স.ম. বাবর আলী বলেন, ডাক্তারী পেশাকে ব্যবসা হিসেবে না নিয়ে সেবার মনোভাব নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে লালন পালন করতে হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলাকে উন্নত উপজেলায় রূপান্তর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্য সচেতনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে ১৪তম কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল ফজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ কামাল হোসেন, শাহানারা খাতুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ, ডাঃ সঞ্জয় কুমার মন্ডল, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, স্বাস্থ্য সহকারী নুর আলী, কামাল হোসেন, রাজীব গাঙ্গুলী, মিজানুর রহমান, অনুপম কুমার বিশ্বাস। এর আগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পাইকগাছায় ৭৬ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টার আবাদ; বাম্পার ফলন

পাইকগাছায় হাইব্রিড জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৭৬ একর জমিতে ১৩৪ জন কৃষক প্যাসিফিক ৯৮৪ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। প্রথম বছরেই বাম্পার ফলন হওয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। উৎপাদিত ভুট্টা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে কর্তন করা হতে পারে এবং একর প্রতি ৯০-১০০ মণ উৎপাদন হতে পারে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

সূত্র মতে, কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবণ পানির চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। অবশিষ্ট জমির একাংশ লবণাক্ততার কারণে পতিত এবং সামান্য কিছু জমিতে কৃষি ফসলের আবাদ হয়ে থাকে।

এসব জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে উপজেলার গড়ইখালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৩৪ জন কৃষক ৭৫.৬২ একর জমিতে প্যাসিফিক ৯৮৪ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। ইতোপূর্বে এ উপজেলায় ২০০৯-১০ সালের দিকে কিছুটা ভুট্টার আবাদ হলেও পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে আবারো ভুট্টার আবাদ শুরু করে প্রথম বছরে বাম্পার ফলন দেখা দেয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে অধিক লাভ আশা করছেন কৃষকরা। বর্তমানে শতভাগ ভুট্টা গাছে পরিপক্ক মুচা রয়েছে। প্রতিটি মুচায় ৩শ গ্রামের মত ফল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাবিবনগর গ্রামের কৃষক আব্বাস আলী জানান, চলতি মৌসুমে তিনি এক একর জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। ভাল ফলন হওয়ায় একর প্রতি ৯০-১০০ মণ উৎপাদন হতে পারে।

ব্র্যাকের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার এস,এম, শাহীন আলম জানান, বর্তমানে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হলো শস্য বহুমুখী করণ এবং নতুন নতুন কৌশল উদ্ভোবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র অধ্যুষিত এলাকায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের কারিগরী ও উপকরণ সহায়তা প্রদান করায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, বেকারী খাদ্য, পোল্টি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজনীয় এসব চাহিদা পূরণে উৎপাদিত ভুট্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও ভুট্টার উচ্ছৃষ্ট অংশ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সব মিলিয়েই ভুট্টার বহুমুখী ব্যবহার হওয়ায় এ চাষ অধিক লাভজনক।

আলোকিত পাইকগাছা গড়ার দাবি; বাবর আলীর সংবর্ধনায় বক্তারা

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম. বাবর আলীকে শুক্রবার বিকাল ৫টায় খুলনা উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এ সংবর্ধনায় দাবি জানানো হয়। 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দখিণা’র আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আলী আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ মাসুদ হোসেন রনি, বার কাউন্সিলের সদস্য আব্দুল মালেক, কবি মুরশিদা আক্তার রনি, সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ফজলুল হক, দখিণার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতীয় নৃত্য শিল্পী মৌপ্রিয়া মল্লিক পিউ নৃত্য পরিবেশন করেন।

উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরীতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পানির সংকট নিরসন, কপোতাক্ষ খননের ওপর গুরুত্বারোপ ও তালা-কপিলমনি সড়ক সংস্কার করে আলোকিত পাইকগাছা গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দক্ষিণ জনপদের অধিবাসী ও স্থানীয় বুুদ্ধিজীবীরা এ দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, স. ম. বাবর আলী পূর্ব পাকিস্তান শাসনামলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৬৯-৭১ বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ১৯৭১ সালে জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান, ৭৩ সালে সংসদ সদস্য, ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তিনি স্বাধীনতাত্তোর কালে আ’লীগ, পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলের সমর্থন নিয়ে তিনি ৫৯ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

গুড় কি এতই মূল্যহীন ?

পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের বেহাল দশায় জনভোগান্তি চরমে। তারপর বাসের উপর এত্ত গুলো গুড়ের কলোস ! গুড় কি এতই মূল্যহীন ?


ছবিটি পাইকগাছা পৌরসভার জিরো পয়েন্ট থেকে তোলা।