Thursday, June 6, 2013

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে ও কমছে

দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের

২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের পেশ করা বাজেটে কৃষি, কৃষি খাদ্য ও শিল্পকে উৎসাহিত করতে দেশি শিল্পজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। পাটজাত পণ্যের দামও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

অপরদিকে আমদানি করা শিশুখাদ্য গুঁড়া দুধের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে বিদেশি ফুল ও স্ট্রবেরি ফলের।

অর্থমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের দেওয়া ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা গুঁড়োদুধ ও শিশুখাদ্যের উপাদানসহ মোট ২৩টি পণ্যের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এসব তালিকার মধ্যে দাম বাড়ছে, ছাপা কাজের প্লেট, বিলবোর্ড ও কেবিনেট তৈরির যন্ত্রাংশ সালফার, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার (৫ হাজার লিটারের নিচে), রেলওয়ে স্লিপার, লোহা ও লোহার যন্ত্রাংশ, স্টিল যন্ত্রাংশ, গোলাপ ফুল, অর্কিড, লিলি ফুল।

গুঁড়াদুধ শিশু খাদ্যের উপাদানের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ। বর্তমান আমদানি শুল্ক রয়েছে ৫ শতাংশ। এ বছর বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ।

রেলওয়ে স্লিপারের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ১৩ শতাংশ। বর্তমান আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ। বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ শতাংশ।

সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ২২টি পণ্যের ক্ষেত্রে।

এর মধ্যে পটেটো চিপস, মশার কয়েল, টেকস্টাইল পণ্য, পাটজাত পণ্য কার্পেট, সব ধরণের মাছ আমদানি, বিদেশি ফল, এনার্জি ড্রিংক, অর্নামেন্টস ও কাঁচা জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। 
-------------------------------------------------------------------------------------------

দাম কমছে যেসব পণ্যের

দেশে উৎপাদিত সৌন্দর্য ও প্রসাধন সামগ্রী, ত্বক ও কেশ পরিচর্যার সামগ্রী, মশার কয়েল, শেভিং ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীর দাম কমছে। কারণ, দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণ ও আমদানি পণ্যের সঙ্গে মূল্য প্রতিযোগী করতে দেশীয় উৎপাদিত কতিপয় প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে।

পোল্ট্রি, ডেয়ারি, ফিশ ফিড, সকল প্রকার সার, ইনসুলিন, ইনসুলিন পেন, স্ট্রেপটোকাইনেজ, পঙ্গু ও প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার্য হুইল চেয়ার, অন্ধদের জন্য তৈরি করা ঘড়ি, হাসপাতাল শয্যা পণ্যের উৎপাদিত পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। যে কারণে এসব পণ্যের দামও কমছে।

ওয়েব ক্যাম ও ডিজিটাল ক্যামেরার ওপর বর্তমানে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। তা কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব। গাড়ির অত্যাবশ্যকীয় অংশ গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, এলইডি ল্যাম্প, মেডিকেল যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল এফইপি/টেফলন টিউবের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রাংশ, মিনিবাসের চেসিস, সার্ভার ৠাক ও সিম কার্ডের দাম কমছে।

দাম কমার তালিকায় আরো রয়েছে; লাইফ বোর্ড, জাহাজের যন্ত্রপাতি, ডাম্প ট্রাক, সুপারশপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন- কেবিনেট, শোকেস, ডিসপ্লে কাউন্টার ইত্যাদি।

পাইকগাছায় শিববাটী ব্রীজরোড এলাকায় পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার

পাইকগাছায় শিববাটি ব্রীজ রোড এলাকায় ছিনতাই ও মাদক সরবরাহ প্রতিরোধে পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে গত রোববার অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযান অব্যহত থাকলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। গ্রেফতার এড়াতে ছিঁচকে অপরাধীরা গা ঢাকাদিলেও মূল হোতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা জানান। 

সুত্রমতে, পাইকগাছা-কয়রা রুটের শিববাটি ব্রীজের দক্ষিন পার্শ্বের আলমতলাস্থ বাইপাস সড়কটি অপরাধ চক্রকারীরা ছিনতাই ও মাদক সরবরাহের নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।

ইতোমধ্যে সড়কটিতে একাধিক ছিনতায়ের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত রবিবার রাতে ৮/১০ জনের ছিনতাইকারী চক্র প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ভেবে অস্ত্রের মুখে এক মটরসাইকেল চালকের হতে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনা বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। পুলিশ গত কয়েকদিন অভিযান অব্যাহত রাখলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

এলাকাবাসীরা জানান পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে ছিঁচকে অপরাধীরা গা ঢাকা দিলেও সিন্ডিকেটের মূল হোতা জনৈক নাসির এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে থানার এসআই তরিকুল জানান, "প্রতিটি অপরাধীর বাড়ীতে বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে কেউ বাড়ীতে না থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।"

পাইকগাছায় শহীদ এম.এ গফুরের ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

স্বাধীনতার ৪২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বৃহত্তর খুলনার (পাইকগাছা-কয়রা-আশাশুনি) সাবেক এম.এন.এ শহীদ এম.এ গফুর এর হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। বৃহস্পতিবার কতকটা দায়সারাভাবে তার নামে প্রতিষ্ঠিত পাইকগাছার শহীদ গফুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক স্মরন সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রশান্ত মন্ডলের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক ময়নুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য সিনিয়র কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম শহীদুল্লাহ, শহীদ এমএ গফুরের পুত্র আনোয়ার ইকবল মন্টু, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র শিকারী।

উল্লেখ্য, শহীদ এম.এ গফুর, ১৯২৫ সালে ৬ মে কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহযোগী ,ভাষা আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহবাযক, পাইকগাছা, কয়রা ও আশাশুনির সাবেক এম.এন.এ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭২ সালের এই দিনে সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে নৌ-পথে পাইকগাছায় আসার সময় কাটাখালী শাহাপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে দিবালোকে আত্ততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন।

আজ ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ

আজ চলতি সংসদ অধিবেশনে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি অর্থমন্ত্রীর সপ্তম বাজেট পেশ এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পঞ্চম ও শেষ বাজেট ।

এবারের বাজেট পুরোটা বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করবে না। আগামী জানুয়ারি ২০১৪ সালে যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে, তাদের দায়িত্ব হবে, এ বাজেটের খাতভিত্তিক বাস্তবায়ন, অর্থের জোগান দেয়া এবং প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্য অর্জন করা। আজ অর্থমন্ত্রী বাজেটের বিভিন্ন দিক ছাড়াও এবছর ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রগতি, নারী উন্নয়নে মন্ত্রণালয়গুলোর কার্যক্রম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি এবং রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা কমিশন প্রণীত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-২০১৩-১৪ এর একটি দলিল এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রণীত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলী-২০১২-১৩ জাতীয় সংসদে পেশ করবেন বলে জানা গেছে।

আজ পবিত্র শবেমেরাজ

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবেমেরাজ। এ রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজের বিধানও করা হয় এই মহিমান্বিত রাতে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে রাতটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। 'মেরাজ' শব্দটি উরুজ ধাতু থেকে নির্গত, অর্থ ঊর্ধ্বগমন করা।

'মেরাজ' শব্দের অর্থ ইলমে সরফ হিসেবে ঊর্ধ্বগমনের যানকে বোঝায়। 'ইসরা' শব্দের অর্থ রাতের ভ্রমণ। যেহেতু ভ্রমণটি হয়েছিল রাতে, তাই একে ইসরা ও মেরাজের রাত বা শবেমেরাজ বলে।

মেরাজের রাতে সপ্ত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিমে পৌঁছে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসেন মহানবী (সা.)। এ ঘটনা নবীজির মাধ্যমে তার মোজেজা হিসেবে প্রকাশ পেয়েছিল। শবেমেরাজ বিশ্বাস করা মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। মেরাজ শেষে ফিরে আসার পর রাসূল (সা.) পুরো ঘটনা হজরত আবু বকরের (রা.) কাছে বর্ণনা করেন। আবু বকর (রা.) রাসূলের (সা.) মুখে শুনেই নিঃসংশয়ে তা বিশ্বাস করেন। রাসূল (সা.) তাকে 'সিদ্দিকী' বা 'বিশ্বাসী' খেতাব দেন। মক্কার কাফেররা রাসূলের (সা.) মেরাজের ঘটনাকে অবিশ্বাস করে, তার নামে কুৎসা রটায়।

মেরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল আরবি রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে। মহানবী (সা.) তখন শুয়েছিলেন উম্মে হানীর ঘরে। সেখান থেকে জিব্রাঈল (আ.) তাকে নিয়ে কাবার হাতিমে যান। জমজমের পানিতে অজু করে বোরাকে আরোহণ করেন মহানবী (সা.)। মক্কা শরিফ থেকে জেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দাসে নিয়ে যাওয়া হয়। রাসূল (সা.) সেখানে নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে নবীজি জিব্রাঈলের (আ.) সঙ্গে প্রথম আকাশে পৌঁছান। প্রবেশদ্বারে নিয়োজিত ফেরেশতা প্রশ্ন করলেন_ 'কে?' উত্তরে জিব্রাঈল (আ.) বললেন, 'আমি জিব্রাঈল।' আবার প্রশ্ন হলো, 'সঙ্গে কে?' জিব্রাঈল (আ.) বললেন, 'মুহাম্মদ (সা.)।' জিজ্ঞাসা করা হলো, 'তাকে কি নবুয়ত দান করা হয়েছে?' জিব্রাঈল (আ.) বললেন, 'হ্যাঁ!' অতঃপর প্রথম আকাশের ফটক খুলে দেয়া হয়। উভয়ে প্রবেশ করলে হজরত আদমের (আ.) সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশলবিনিময় করেন শ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। দ্বিতীয় আকাশে মহানবীকে (সা.) স্বাগত জানান হজরত ঈসা (আ.)। তৃতীয় আকাশে মহানবীকে (সা.) অভ্যর্থনা দেন হজরত ইয়াহইয়া (আ.)। এভাবে সাত আকাশ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে মহানবী (সা.) সাক্ষাৎ করেন চতুর্থ আকাশে হজরত ইদ্রিস (আ.), পঞ্চম আকাশে হজরত হারুন (আ.), ষষ্ঠ আকাশে হজরত মুসা (আ.) এবং সপ্তম আকাশে হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সঙ্গে।

সপ্তম আকাশ থেকে বাকি পথ একাই গমন করেন মহানবী (সা.)। সেখান থেকে নবীজি রফরফ নামক একটি যানে করে আরশে আজিম অভিমুখে সফর করেন। সত্তর হাজার নূরের পর্দা ভেদ করে আরশে আজিমে পৌঁছান। সেখানে এক ধনুক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে মহানবীর (সা.) কথোপকথন হয়।

পাইকগাছায় একাধিক মামলার পলাতক আসামী আটক

পাইকগাছা থানা পুলিশ একাধিক মামলার পলাতক আসামী মাহফুজুর রহমান বাসার (৩২) কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে পৌর বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ১৩ এপ্রিল ভোরে উপজেলার দেলুটীর বহুলালোচিত মৎস্য ঘেরে কথিত ডাকাত আকবর শেখ-এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়ে মারপিট করে ঘেরের মাছসহ নগদ টাকা লুটপাট করে। এঘটনায় ঘের মালিক কুদ্দুস সরদার বাদী হয়ে পরদিন ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ধৃত বাসার লতা ইউনিয়নের কাঠামারী গ্রামের জনৈক মোজাম গাজীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।