Wednesday, April 8, 2015

৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ভয়েস অফ পাইকগাছার পক্ষ থেকে ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাইকগাছা-কয়রার সকল পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন ! সাথে সাথে পরবর্তী ধাপের জন্য শুভকামনা !


মঙ্গলবার ৩৫তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)র ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৩৫তম বিসিএসে এক হাজার ৮০৩টি শূন্য পদের বিপরীতে রেকর্ডসংখ্যক ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন আবেদন করেন। গত ৬ মার্চ প্রথমবারের মতো ২০০ নম্বরের ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ফলাফল পিএসসির ওয়েবসাইটে http://www.bpsc.gov.bd/upload/docs/bcs_result_0408171508.pdf পাওয়া যাচ্ছে। 

পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ফোনেও ফলাফল জানা যাবে। মোবাইল ফোনে ফলাফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে পিএসসি লিখে স্পেস দিয়ে ৩৫ লিখে আবার স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি খুদে বার্তায় ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ওয়েবসাইট থেকে বিপিএসসি ফরম-২ সংগ্রহ করে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

পাইকগাছার রবিউল মোড়ল সবজি ও ফলদ বৃক্ষের চারা ফেরি করে সাবলম্বী

পাইকগাছায় ফেরি করে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল সবজির চারা ও ফলদ বৃক্ষের চারা বিক্রি করে রবিউল মোড়ল সাবলম্বী হয়েছেন। বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের শাক সবজি ও ফলদ বৃক্ষের চারার ভ্রাম্যমান বিক্রেতা কৃষক রবিউল মোড়ল পাইকগাছা উপজেলার সুপরিচিত মুখ। 

রবিউল মোড়ল পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল সাক সবজি যেমন, পেঁপে, কাঁচা ঝাল, লাউ, মিষ্টি কুমড়া সহ বিভিন্ন মৌসুমে সবজি বীজ ফেলে চারা উৎপাদন করেন।

তাছাড়া কলা গাছ সহ বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের চারা উৎপাদন করে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে ফেরি করে বিক্রি করেন। 

উপজেলায় কোন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় চারার প্রয়োজন হলে রবিউল মোড়লকে সংবাদ দিলে সে চারা নিয়ে ক্রেতার বাড়ীতে গিয়ে রোপন করে দেন। 

ভ্রাম্যমানভাবে চারা বিক্রি করে রবিউল মোড়ল তার সংসারে সুখের ছায়ায় রয়েছে। তার ১ ছেলে খুলনা বি,এল কলেজে অনার্স পড়ছে এবং ১ মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে। রবিউল মোড়ল ফেরি করে চারা বিক্রি করে নিজে সাবলম্বী হয়েছে এবং সংসারে সুখ ফিরে এসেছে।

এসএ ম্যাপ অনুযায়ী কপোতাক্ষ খননের দাবি; কপিলমুনিতে মানববন্ধনে বক্তারা

কপোতাক্ষ নদের খনন কাজ এসএম্যাপ অনুসারে বাস্তবায়নের পরিবর্তে এমন ভাবে করা হচ্ছে যে তাতে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ তাদের ভিটামাটি হারাতে বসেছে। ইতোপূর্বে নদী ভাঙ্গন ও পূণর্গঠনের কারণে মৌজার সীমানা নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। 

কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছা অংশের দেয়াড়া-রহিমপুর-উলুডাঙ্গা পয়েন্টে ইতোপূর্বে ভাঙ্গনের ফলে রহিমপুর গ্রামটি একেবারে নিশ্চিহৃ হয়েছিল, দেয়াড়া উলুডাঙ্গার অবস্থাও বর্তমানে তাই। কপোতাক্ষে পলি ভরাটের কারণে ইতোপূর্বে ভাঙ্গন কবলিত গ্রামগুলো নতুন করে জেগেছে, হতদরিদ্র মানুষ তাদের জমি ফিরে পেয়েছে। তারা পুরনো গ্রামে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। 


আমরা দেয়াড়া-রহিমপুর-উলুডাঙ্গাবাসী সহ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট মৌজার মানুষ লক্ষ্য করেছি কপোতাক্ষ খনন কাজ আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। যে নকশা বরাবর নদী খনন চলছে তাতে আমরা আমাদের ভিটেমাটি হারাবো, আমাদেরকে আবারও পথে বসতে হবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় দেয়াড়া, রহিমপুর, উলুডাঙ্গাও হরিদাশকাটী গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারের প্রধান সড়কে মানববন্দন ও পথসভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

কপিলমুনি বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি নির্মল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সালাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি রেজাউল করিম মহবক্ষত, প্রেসক্লাব কপিলমুনি’র সাঃ সম্পাদক পলাশ কর্মকার, যুবলীগ নেতা আঃ রাজ্জাক রাজু, মুজিবর রহমান ফকির প্রমুখ।

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ভিটেছাড়া হতে যাচ্ছে পাইকগাছার কয়েকশ’ পরিবার


কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছা অংশের খনন কাজে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে পাইকগাছার হরিঢালী ইউনিয়নের দেয়াড়া, রহিমপুর ও উলুডাঙ্গা গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার ভিটেমাটি হারাতে বসেছে। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হরিঢালী এলাকা থেকে কয়েকশ’ মানুষ যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে মানববন্ধন করেন। এর আগে তারা বিভিন্ন শ্লোগান সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ফাইল ফটো

ভুক্তভোগীরা জানান, কপোতাক্ষের ভাঙনের ফলে পাইকগাছা উপজেলার রহিমপুর গ্রাম একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। একই অবস্থা তৈরি হয় দেয়াড়া ও উলুডাঙ্গা গ্রামেও। এ তিন গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার তাদের রেকর্ডীয় পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। পরে পলি ভরাটের কারণে উল্লিখিত গ্রাম তিনটি নতুন করে জেগে ওঠে। আশায় বুক বাঁধে ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ। তারা নিজস্ব জমিতে ফিরতে শুরু করেছে।

এরই মধ্যে বর্তমান সরকার যশোর থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত কপোতাক্ষ খননে ২২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেবল তাই নয়, খনন কাজও চলছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা অংশে খনন কাজ চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড পাইকগাছা অংশে কপোতাক্ষ খনন কাজ এসএ রেকর্ড অনুযায়ী নদের জায়গা দিয়ে না করে রেকর্ডীয় ব্যক্তি মালিকানার জমির উপর দিয়ে করার জন্যে ডিজাইন তৈরি করেছে।
এটি করা হলে রহিমপুর, দেয়াড়া, উলুডাঙ্গা, হরিঢালীসহ কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ ফের ভিটেছাড়া হবে। একইসাথে এই অংশে খনন কাজে সরকারের দ্বিগুণেরও বেশি খরচ হবে। অপরদিকে, এসএ রেকর্ড অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদ যেদিক দিয়ে প্রবাহমান ছিল সেখানে খনন কাজ করছে খরচ অর্ধেকের বেশি কমে যাবে। পাশাপাশি কপোতাক্ষ তুলনামূলক বেশি মাত্রায় প্রাণ ফিরে পাবে। 

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে হরিঢালী এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তারা যে কোনো মূল্যে পাউবোর এ কাজ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

মঙ্গলবার মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, আন্দোলনের নেতা উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, নির্মল কুমার মজুমদার, মুজিবর রহমান, আমজাদ হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সেখানে বলা হয়, জীবন থাকতে কোনো রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে খনন কাজ করতে দেয়া হবে না।