Friday, November 15, 2013

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। মহান আল্লাহ পাক দুনিয়া সৃষ্টি করেন এদিনে, আবার দুনিয়া ধ্বংস বা কিয়ামত হবে এদিনে। এমনি সৃষ্টির নানা রহস্য, বিশ্বময় নানা ঘটনা ঘটেছে এদিনে। 

৬৮০ খৃস্টাব্দে এদিনে নবীকূল শ্রেষ্ঠ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদতের ঘটনার দিন আমাদের বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেয় কারবালার সেই মর্মন্তুদ ঘটনা। বিশ্ব ইতিহাসে বেদনাবিধূর, বর্বর ও নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে এদিনে।

বিশ্ব ঘৃণিত ইয়াজিদ বাহিনী নিরস্ত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবারের উপর নিষ্ঠুরতম আক্রমণ চালায়। শাহাদাত বরণ করেন হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবারবর্গের সদস্য। এ হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পায়নি দুধের শিশুও। তাঁর এবং তাঁর পরিবারবর্গের এই সুমহান শাহাদাত পবিত্র ইসলামের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করে। বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে আধ্যাত্মিক ও মানবিক শক্তিকে জাগরুক করে।

পৃথিবীর ইতিহাসে ১০ মুহররম কারবালার ঘটনা পবিত্র ইসলামের জন্য আত্মত্যাগের মহিমায় চিরভাস্বর উজ্জ্বল এক দিন। কেবল কারবালার ঘটনাই নয় এদিনকে মহান আল্লাহপাক নানাভাবে মহিমান্বিত করেছেন। মহান আল্লাহ পাক এদিনেই পৃথিবী সৃষ্টি করেন এবং যেদিন তাঁর নির্দেশে কিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিনটিও হবে ১০ মুহররম। যেদিন মহান আল্লাহ পাক প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এর দেহে প্রাণ সঞ্চার করেন সে দিনটি ছিলো আশুরার দিন।

আবার যেদিন হযরত আদম (আঃ) এবং মা হাওয়া (আঃ) বেহেশত থেকে বহিষ্কার হন সেদিনটিও ছিলো আশুরা। হযরত আদম (আঃ) এর ওফাত দিবসও এ দিনে। এছাড়া হযরত নূহ(আঃ) এর প্লাবনের ঘটনার পর জুদি পাহাড়ে তাঁর নৌকা ভেড়ে এদিনে, হযরত সুলাইমান (আঃ) এর হারানো আংটি ফিরে পাওয়া, হযরত ইউনূস (আঃ) এর মাছের পেট থেকে মুক্তিলাভ, হযরত আইয়ুব (আঃ)এর রোগমুক্তির দিনটিও ছিলো আশুরার দিন। এমনি অসংখ্য ঘটনা ঘটে এদিনটিতে। মহিমান্বিত এই দিনটিতে নফল রোজা পালনে অশেষ ছওয়াব দেন মহান আল্লাহ পাক।

আজ সিডর দিবস: উপকূলবাসীর সেই ভয়াল রাত

আজ ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস। বিভীষিকাময় একটি কালো রাত্রি। ৬ বছর আগে ওই রাতে সিডরের নামে মহাপ্রলয়ঙ্ককারী ঘূর্ণিঝড় চরম আঘাত হানে উপকূলীয় জনপদে।

২৪০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার বাতাসের গতিতে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পানি আর বাতাসের সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে যারা বেঁচে গিয়েছিল তারা ১৬ নভেম্বর ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছু দেখেনি।

দুবলার চরে আজ থেকে ৩ দিনব্যাপী রাসমেলা শুরু

আজ শুক্রবার থেকে সাগর তীর দুবলার চরে ৩ দিনব্যাপী রাসমেলা শুরু হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় পূণ্যস্নানস্থল এ রাসমেলাকে ঘিরে আয়োজক কমিটি পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

প্রতি বছরের বাংলা অগ্রহায়ণ মাসের শেষ পূর্ণিমার তিথিতে এ মেলা প্রায় দু’শ’ বছর আগে থেকে হয়ে আসছে। এ মেলা চলবে ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

এ মেলা হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূণ্যস্ন্যানস্থল হলেও হিন্দুদের মধ্যে এর সীমাবদ্ধতা নেই। এখানে দর্শানার্থী হিসেবে হাজার হাজার মুসলমানদেরও সমাগম ঘটে থাকে। প্রতি বছর এ মেলায় প্রায় লক্ষাধিক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটে এবং এ খাত থেকে বনবিভাগ মোটা অঙ্কের রাজস্ব পেয়ে থাকে।

এ বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতার কারনে পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ। ফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় রাজস্বও হ্রাস পেতে পারে বলে জানান, মেলা উদযাপন কমিটির সমম্বায়ক ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডি এফ ও ) মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী।

৩ দিনের প্যাকেজ টুরে মাথা পিছু ৫০ টাকা হারে রাজস্ব দিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মেলাস্থলে যেতে হচ্ছে। এ মেলায় যাতায়াতের জন্য সুন্দবনের ভেতর দিয়ে নদী পথে ৮ টি রুট করা হয়েছে। এ সব পথে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কোস্টগার্ড, নেভী, র‌্যাব, পুলিশ ও বনরক্ষীরা টহল দিচ্ছে।