অবশেষে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপে স্কুল শিক্ষকের বসতবাড়ির ভবনে হেলে পড়া গাছ সরিয়ে নিয়েছে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ। গত সোমবার প্রতিবেশী দিপক কুমার মন্ডল গাছটি কেটে নিয়েছেন বলে স্কুল শিক্ষক মিলিজিয়াসমিন জানিয়েছেন। হেলে পড়া গাছটির কারণে শিক্ষক পরিবার গত ১০ মাস ধরে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলিজিয়াসমিনের বসতবাড়ি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সরল গ্রামে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিবেশী দিপক কুমার মন্ডলের একটি বড় সিরিশ গাছ শিক্ষক মিলিজিয়াসমিনের বসতবাড়ির ভবনে হেলে পড়ে। ফলে একটু বাতাস হলে গাছটি ভবনে ধাক্কা দেয়। এতে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। এছাড়াও গাছটি যে কোন মুহূর্তে পড়ে গিয়ে ভবনের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা থেকেই যায়।
গাছটি কেটে নেওয়ার জন্য শিক্ষক মিলিজিয়াসমিন প্রথমে প্রতিবেশী পরিবারটিকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে কোন কাজ না হওয়ায় ১০ অক্টোবর মেয়র বরাবর লিখিত আবেদন করেন। মেয়র বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবি শংকর মন্ডলকে দায়িত্ব দেন। কাউন্সিলর বিষয়টি নিরসন করতে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষকের অনুকূলে ১৭ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনের মধ্যেই বিষয়টি থমকে যায়।
পরবর্তীতে শিক্ষক মিলিজিয়াসমিন ২২ অক্টোবর থানার ওসি বরাবর অভিযোগ করেন। এরপর নভেম্বর মাসের উপজেলা আইন শৃংখলা সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। শেষমেষ গত রোববার সন্ধ্যায় ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন। থানার বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার প্রতিবেশী দিপক কুমার মন্ডল হেলে পড়া গাছটি কেটে সরিয়ে নেন।
অবশেষে ওসির হস্তক্ষেপে ঝুঁকিপূর্ণ এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ায় ওসি আমিনুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক মিলিজিয়াসমিন ও তার পরিবার।