পাইকগাছায় প্রচন্ড তাপদাহ আর বিশুদ্ধ খাবার ও ব্যবহারিক পানির তীব্র সংকটে
হাহাকার চলছে মানুষের মাঝে। এর মধ্যে দিনভর বিদ্যুৎ না থাকাটা যে কতটা
যন্ত্রণাদায়ক গতকাল শনিবার পাইকগাছাবাসী বুঝতে পেয়েছে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।

যদিও এর আগের দিন সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় মাইকিং করে মেইন লাইন
রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য (শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত)
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
প্রচন্ড
খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। অসহ্য এ দাবদাহের মধ্যে পৌর এলাকাসহ পাইকগাছা
উপজেলা জুড়ে চলছে বিশুদ্ধ খাবার ও ব্যবহারিক পানির মহাসংকট। বহুদিন পর
গতকাল দুপুর ২টার দিকে পাইকগাছায় সামান্য বৃষ্টির দেখা মিললেও তা প্রয়োজনের
তুলনায় খুবই কম।
খালে, বিলে, পুকুরে, মৎস্য ঘের, জলাশয় কোথাও
পানি নেই। পানির অভাবে জলাশয়গুলো খাঁ খাঁ করছে। রোদে পুড়ে চৌচির হয়ে গেছে
অনেক জলাশয়। সামান্য যেটুকু পানি রয়েছে তাও সবুজ হয়ে গেছে। পানি দিয়ে
দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। প্রচন্ড গরম আর স্বল্প পানির কারণে মৎস্য ঘেরে মাছ মরে
যাচ্ছে। ঘের ব্যবসায়িদের মাথায় হাত উঠেছে।
গোলস, রান্নাবান্না,
থালাবাসন ধোয়ারও পানি মিলছে না। বাজারের হোটেল-রেঁস্তোরা গুলোতেও খাবার
পানির সংকট চলছে। এক কলস বিশুদ্ধ খাবার পানি যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাইলের পর মাইল পায়ে হেটে গৃহবধূরা খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। তাও দীর্ঘ
লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে অনেক অপেক্ষার পর মিলছে।
অসহনীয় গরম আর তীব্র
পানি সংকটে এমনিতেই উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ। আর তার মধ্যে দিনভর বিদ্যুৎ না
থাকাটা যে কতখানি কষ্টদায়ক গতকাল তা মর্মে মর্মে অনুভব করেছে পাইকগাছাবাসী।
অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে বিদ্যুতের দেখা মেলে।