দীর্ঘ অপেক্ষার পর চালু হতে যাচ্ছে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের স্মৃতিবিজড়িত পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রিজ। কয়েক মাস আগে শেষ হওয়া ব্রিজটির এপ্রোস সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসছিল না। আইনী জটিলতায় দীর্ঘদিন এপ্রোস (সংযোগ) সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। আর এতে করে পাইকগাছা ও সাতক্ষীরা জেলার লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বোয়ালিয় ব্রিজ চালু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তারা।
পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ও রাড়ুলী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মাণ করা হয়েছে বোয়ালিয়া ব্রিজ। দু’দফা সময় বাড়ানোর পর কয়েক মাস আগে ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের মাঝা মাঝি সময় ব্রিজ চালু করা সম্ভব হবে।
সূত্রমতে, ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা। ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্য, ৭ মিটার প্রস্থ ও ৯টি ইস্পান সম্বলিত এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২১ কোটি ৬১ লাখ ৯৫২ টাকা। যৌথ ভাবে ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএমবি-আইটি জয়েন্ট ভেঞ্চার। দরপত্র অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিলের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়।
ব্রিজের কাজ শেষ হলেও এপ্রোস সড়কের কাজ এখনও শেষ হয়নি। জমি অধিগ্রহণ আইনী জটিলতার কারণে দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে জটিলতা কাটিয়ে সংযোগ সড়কের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এদিকে বোয়ালিয়া খেয়াঘাটের বেহালদশা কারনে সাতক্ষীরা ও পাইকগাছার হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন উপজেলার কাটাখালী দিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে যাতয়াত করতে হচ্ছে। ব্রিজের পশ্চিম (বাঁকা-রাড়ুলী) পাশে ২৪৫ মিটার ও পূর্ব (বোয়ালিয়া) পাশে ১৮৬ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মোঃ মামুন বলেন, মূল ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দু’পাশের সংযোগ সড়কের কাজ বাকি।
উপজেল প্রকৌশলী মোঃ আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এপ্রোস সড়কের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করে ব্রিজটি আগামী ৫/৬ মাসের মধ্যে জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবর আলী জানান, ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী হলে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের জন্মস্থান রাড়ুলীসহ পাশ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে বিজ্ঞানীর জন্মস্থানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে এছাড়াও এ এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে।
--মহানন্দ অধিকারী মিন্টু