Voice of Paikgacha’র পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই মহানায়িকাকে !
আর যেন নেই কোন ভাবনা, যদি আজ অকারণ কোথাও হারায় মন জানি আমি খুঁজে তারে আর পাবোনা; তুমি যে আমার ওগো তুমি যে আমার, কানে কানে শুধু একবার বলো তুমি যে আমার; চম্পা চামেলী গোলাপেরও বাগে, এমনও মাধবী নিশি আসেনিতো আগে; ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা এই মাধবী রাত আসেনিতো বুঝি আজ জীবনে আমার; অথবা আরো কিছুক্ষণ না হয় রহিতে কাছে, আরো কিছু কথা না হয় বলিতে মোরে, এই মধুক্ষণ মধুময় হয়ে না উঠিত ভরে, এসব অমর গানে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের সকলেরই প্রিয় অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলনা; কিন্তু শেষ হয়ে গেল তাঁর পথ। তবে হ্যাঁ জীবনের ক্ষণস্থায়ী পথ শেষ হলেও তাঁর অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ ভক্ত হৃদয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল।
আর যেন নেই কোন ভাবনা, যদি আজ অকারণ কোথাও হারায় মন জানি আমি খুঁজে তারে আর পাবোনা; তুমি যে আমার ওগো তুমি যে আমার, কানে কানে শুধু একবার বলো তুমি যে আমার; চম্পা চামেলী গোলাপেরও বাগে, এমনও মাধবী নিশি আসেনিতো আগে; ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা এই মাধবী রাত আসেনিতো বুঝি আজ জীবনে আমার; অথবা আরো কিছুক্ষণ না হয় রহিতে কাছে, আরো কিছু কথা না হয় বলিতে মোরে, এই মধুক্ষণ মধুময় হয়ে না উঠিত ভরে, এসব অমর গানে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের সকলেরই প্রিয় অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলনা; কিন্তু শেষ হয়ে গেল তাঁর পথ। তবে হ্যাঁ জীবনের ক্ষণস্থায়ী পথ শেষ হলেও তাঁর অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ ভক্ত হৃদয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ২০১৪,
৪ মাঘ ১৪২০, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউতে
শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি অভিনেত্রী
কন্যা মুনমুন সেন ও দুই নাতনি রিয়া এবং রাইমাসহ অগণিত ভক্ত ও গুণগ্রাহী
রেখে যান।
গত ২৩ ডিসেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন সুচিত্রা সেন। প্রথমে চিকিৎসাধীন অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়াতেই তাঁর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এরপর তাঁর চোখের ছানি অপারেশনের কথা ছিল। তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন তিনি। উৎকণ্ঠা কাটাতে তাঁর কাউন্সিলিং করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয় তাঁকে। তখন তিনি সর্দি, জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
সুচিত্রা সেনের ফুসফুসে জল জমেছিল। ডায়াবেটিস থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও বেশি জটিল আকার ধারণ করে। তাঁর হার্ট ও কিডনির অবস্থাও ভালো ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে টানা ২৫ দিন ধরেই তার শারীরিক অবস্থার চড়াই উতরাই হতে থাকে। এ ছাড়া বহুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন।
১৯৩১ সালে (মতান্তরে ১৯২৯) ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের বর্তমান সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ‘ভাঙ্গাবাড়ি’ গ্রামে মাতামহ রজনীকান্ত সেনের বাড়িতে জন্ম হয় সুচিত্রা সেনের। তাঁর পিতামহের পূর্ব পুরুষদের বাড়ি ছিলো পাবনা জেলার সুজা নগর উপজেলায়। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রার পৈত্রিকবাড়ি। একতলা পাকা এ বাড়িটাতেই কেটেছে সুচিত্রা সেনের শৈশব। এখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক (মতান্তরে পাবনা পৌরসভার সেনেটারী ইন্সপেক্টর) ছিলেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিনী। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান।
গত ২৩ ডিসেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন সুচিত্রা সেন। প্রথমে চিকিৎসাধীন অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়াতেই তাঁর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এরপর তাঁর চোখের ছানি অপারেশনের কথা ছিল। তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন তিনি। উৎকণ্ঠা কাটাতে তাঁর কাউন্সিলিং করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয় তাঁকে। তখন তিনি সর্দি, জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
সুচিত্রা সেনের ফুসফুসে জল জমেছিল। ডায়াবেটিস থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও বেশি জটিল আকার ধারণ করে। তাঁর হার্ট ও কিডনির অবস্থাও ভালো ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে টানা ২৫ দিন ধরেই তার শারীরিক অবস্থার চড়াই উতরাই হতে থাকে। এ ছাড়া বহুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন।
১৯৩১ সালে (মতান্তরে ১৯২৯) ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের বর্তমান সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ‘ভাঙ্গাবাড়ি’ গ্রামে মাতামহ রজনীকান্ত সেনের বাড়িতে জন্ম হয় সুচিত্রা সেনের। তাঁর পিতামহের পূর্ব পুরুষদের বাড়ি ছিলো পাবনা জেলার সুজা নগর উপজেলায়। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রার পৈত্রিকবাড়ি। একতলা পাকা এ বাড়িটাতেই কেটেছে সুচিত্রা সেনের শৈশব। এখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক (মতান্তরে পাবনা পৌরসভার সেনেটারী ইন্সপেক্টর) ছিলেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিনী। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান।
চন্দনের শিখায় শেষকৃত্য সুচিত্রার
কেওড়াতলা মহা শ্মশানের চিত্তরঞ্জন দাস উদ্যানে চন্দন কাঠের চুল্লীতে ভস্ম হলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। সেই সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে তার শেষকৃত্য। শুক্রবার দুপুরে পারিবারের লোকজনের উপস্থিতেতে সুচিত্রা সেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে মহানায়িকাকে চুল্লীতে স্থাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মের প্রথানুযায়ী দুপুর ১টা ৪৬ মিনিটে মুখাগ্নি করেন মুনমুন সেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুনমুন।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান “গান স্যালুট” প্রদান করা হয়। এরপর বাজানো হয় মহানায়িকার প্রিয় গান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, শুভমসহ বাংলা চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ।