Saturday, July 4, 2015

পাইকগাছায় রমজানে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও কাঁচা মরিচ

পাইকগাছায় বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানের গত ১৫ দিনে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে হাট বাজারগুলোতে। ফলে প্রয়োজনীয় এ দুটি নিত্য পন্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় মাহে রমজানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা খুচরা মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। 

শুক্রবার সকালে পৌর কাঁচা বাজারে দেখা গেছে, রমজানের আগে যে বেগুনের কেজিপ্রতি মূল্য ছিল ৩০-৩৫ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। কাঁচা মরিচের ৫০-৬০ টাকার স্থলে ১২০ টাকা। এদিকে পিঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে কাচ কলা, পটল, ঝিঙে, পেঁপে সহ অন্যান্য সবজির মূল্য অনেকটাই স্বাভাবিক থাকলেও পৌর বাজার, সরল বাজার, জিরো পয়েটস্থ বউ বাজার, নতুন বাজার, মানিকতলা হাট, গদাইপুর হাট, আগড়ঘাটা বাজার, কপিলমুনি হাটসহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি হাট বাজারে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন এবং কাঁচা মরিচ। 

এ ব্যাপারে পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আশিকুল জানান, বর্তমানে অন্যান্য সবজির মূল্য স্বাভাবিক থাকলেও বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম গত ১৫ দিনে প্রায় দ্বিগুন পেয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে, ব্যবসায়ী মুন্না। 

রমজানের শেষ দিকে হলেও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হোক এমনটাই দাবী জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় আহলে হাদীসের ৬৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ

পাইকগাছায় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের জনপ্রতি ফিতরা মূল্য ৬৫ টাকা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বান্দিকাটি আহলে হাদীস জামে মসজিদে জুম্মাবাদ ফিতরা নির্ধারণী কমিটির এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। 

সভায় (সৌদি এক সা সমান) দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য দ্রব্য আড়াই কেজি (২ সের সাড়ে ১১ ছটাক) চালের মূল্য হিসেবে ৬৫ টাকা জনপ্রতি ২০১৫ সালের ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। 

আলহাজ্ব রহমত আলী গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ মাসুদুর রহমান, ক্বারী নূর মোহাম্মদ, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, মোশাররফ হোসেন ও অলিউর রহমান।