Monday, June 30, 2014

পাইকগাছায় রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণহীন স্বেচ্ছাচারিতা

পবিত্র মাহে রমজান আসতে না আসতেই পাইকগাছা পৌর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌরবাসীর অভিযোগ, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় পৌর বাজারে ব্যবসায়ীরা বরাবরই অন্যান্য জায়গার তুলনায় জিনিষপত্রে দাম বেশি নিয়ে থাকেন। 

মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গত শনিবার পৌর বাজারে যে কাঁচামরিচ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা’ গতকাল রবিবার প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে বেগুনের দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ টাকায় দাড়িয়েছে। প্রতি কেজি পিয়াঁজে ৪ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৩৬ টাকা, প্যাকেট ময়দা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, খোলা আটা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ১০০ গ্রাম আদার মূল্য ২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা, কাচকলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সুকনো মরিচ ১০০ গ্রামের দাম ২০ টাকা, ব্যাসন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ডিম এক হালি ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাচামরিচ (মোটা) প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পুঁইশাক প্রতি কেজি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লালশাক প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, খিরাই প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, প্রতি পিচ বাতাবি লেবু ২ টাকা, প্রতি কেজি পেপে ২৫ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, পৌর বাজারে ভালোমানের পাঁকা কলা পাওয়া মুশকিল। যা কিছু আছে তা’ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা মাছ বাজারে বরাবরই ভালো কোন মাছ পাওয়া যায় না বললেও ভুল হবে না। যা পাওয়া যায় তার মধ্যে মরা-পচা কিছু তেলাপিয়া, চিংড়ি, পারশে ও পাঙ্গাশ মাছই উল্লেখযোগ্য। তাও আবার চড়ামূল্য। ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্চে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট সাইজের টেংরা মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, একটু বড় হলে ৪০০ টাকা কেজি।

অপরদিকে, পৌর বাজারের প্রায় সব মুদি দোকানীরা প্যাকেটজাত মালের মূল্য প্যাকেটের গায়ে যা লেখা রয়েছে তার থেকে কম তো দূরে থাক বরং আরো বেশি রাখছেন। প্রশ্ন করলে জবাবে বলা হয়, কোম্পানী দাম বেশি রাখলে আমাদের কি করার আছে। মোদ্দাকথা পৌরবাসী বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছেন। তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে জিনিষপত্রের দাম ইচ্ছেমত নিয়ে থাকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে সরকারিভাবে জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং না করার ফলে ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অবৈধ সুযোগ নিয়ে থাকেন। অন্তত রমজান মাস উপলক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী।