দীর্ঘ
প্রতীক্ষার পর অবশেষে পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর আঠার মাইল থেকে পাইকগাছা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন
জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগি হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে অত্র
সড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসের সময় মাত্র ২ ঘন্টা ২০ মিনিট বেঁধে দিয়েছে
বাস মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ।
প্রথম থেকেই '
ভয়েস অফ পাইকগাছা' এই সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। সড়কটি সংস্কারে এলাকাবাসী মানব
বন্ধন সহ ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রামও করেছিল। এক পর্যায়ে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে সরকার সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
আপাতত অত্রাঞ্চলের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে রয়েছে
নানা আশংকা। কেননা সংস্কার কাজ শেষ নামতে না নামতেই রাস্তার অনেকাংশে
পিচ-খোয়া উঠে যেতে দেখা গেছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমেই ভেঙ্গেচুরে রাস্তাটি
ফের পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
এদিকে
রাস্তা ভাঙ্গার বড় একটি কারণ-ভারী যানবাহন যেমন বাঁশ ও পাথরবাহী ১০ চাকার
ট্রাকগুলো যাতে আঠার মাইলের পর থেকে অত্র সড়কে প্রবেশ করতে না পারে সে
ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, আশির দশকে রাস্তা পাকা হবার পর পাইকগাছা-আঠার
মাইল সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়। সেই শুরু থেকেই অবহেলিত এই দক্ষিণ
জনপদের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় দুর্ভোগের মধ্যে
দিয়েই যানবাহন চলাচল করে আসছে।
বিগত ২০১১ সালের আগস্ট মাসে
কপোতাক্ষ নদের পানি বৃদ্ধি ও অতি বর্ষণের কারনে অত্র সড়কের তালা থেকে
পাইকগাছার কাশিমনগর পর্যন্ত রাস্তা ৮/১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। বন্ধ
হয়ে যায় অত্র সড়কের যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল। প্রায় দু’মাস
পর রাস্তা থেকে পানি সরে গেলেও রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে যানবাহন চলাচলের
অনুপযোগি হয়ে পড়ে।