Thursday, April 9, 2015

পাইকগাছার জিরোপয়েন্ট টু পৌর বাজার রাস্তাটি অভিভাবকহীন

কে করবে সংস্কার কাজ? পৌরসভা নাকি সড়ক ও জনপদ বিভাগ?


২০১১ সালে পাইকগাছা-কয়রা সড়কের শিববাটী ব্রীজ উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকে পাইকগাছা পৌর বাসষ্ট্যান্ড জিরোপয়েন্ট থেকে বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা এক প্রকার অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। 

ছবি :: ফাইল ফটো (বর্তমান অবস্থা আরও করুণ)
ব্রীজ চালু হবার আগ পর্যন্ত রাস্তাটির দেখভাল করতো সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বিগত সাড়ে তিন বছরেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ রস্তাটি পৌরসভা বা উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর না করায় এর সংস্কার কাজ কে করবে তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। 

মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তার এতটুকু জায়গা ভালো নেই যেখান থেকে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারে। পৌর শহরের প্রধান সড়কটির বেহাল দশা কবে ঘুচবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনা।

অবশেষে পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর আঠার মাইল থেকে পাইকগাছা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগি হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে অত্র সড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসের সময় মাত্র ২ ঘন্টা ২০ মিনিট বেঁধে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ।

প্রথম থেকেই 'ভয়েস অফ পাইকগাছা' এই সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। সড়কটি সংস্কারে এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রামও করেছিল। এক পর্যায়ে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে সরকার সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।

আপাতত অত্রাঞ্চলের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে রয়েছে নানা আশংকা। কেননা সংস্কার কাজ শেষ নামতে না নামতেই রাস্তার অনেকাংশে পিচ-খোয়া উঠে যেতে দেখা গেছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমেই ভেঙ্গেচুরে রাস্তাটি ফের পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। 

এদিকে রাস্তা ভাঙ্গার বড় একটি কারণ-ভারী যানবাহন যেমন বাঁশ ও পাথরবাহী ১০ চাকার ট্রাকগুলো যাতে আঠার মাইলের পর থেকে অত্র সড়কে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, আশির দশকে রাস্তা পাকা হবার পর পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়। সেই শুরু থেকেই অবহেলিত এই দক্ষিণ জনপদের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই যানবাহন চলাচল করে আসছে। 

বিগত ২০১১ সালের আগস্ট মাসে কপোতাক্ষ নদের পানি বৃদ্ধি ও অতি বর্ষণের কারনে অত্র সড়কের তালা থেকে পাইকগাছার কাশিমনগর পর্যন্ত রাস্তা ৮/১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় অত্র সড়কের যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল। প্রায় দু’মাস পর রাস্তা থেকে পানি সরে গেলেও রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।