Wednesday, April 17, 2013

পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলায় ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে পাইকগাছা নাগরিক কমিটি দেলুটি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে দেলুটি জিরবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে ইউনিয়ন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রভাষ সরকারের সভাপতিত্বে কর্মসূচীকে প্রধান অতিথি ছিলেন পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, শুকৃতি রায়, গুরুদাস রায়, কমরেড শিশির সরকার, কৃষ্ণপদ রায়, প্রদিপ গোলদার, বিউটি রায়, প্রভাষী সরকার, শ্যামল সরদার, শিখা সরদার, ও রিংকু সরদার।

সভায় বক্তারা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবী জানান। পরে নাগরিক কমিটির সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীঘর পরিদর্শন করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।


পাইকগাছায় মুজিবনগর দিবসের র‌্যালী ও আলোচনা সভা

পাইকগাছায় ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, বক্তব্য রাখেন-সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ৭১ এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাঃ হোসেন বাচ্চু, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, শিক্ষক অপু বিশ্বাস, শংকর কুমার মন্ডল। পরিচালনা করেন প্রভাষক ময়নুল ইসলাম ও প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু।


১৯ এপ্রিলের এইচএসসি পরীক্ষা ৩ মে

উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে অবশেষে ১৯ এপ্রিলের পরীক্ষা আগামী ৩ মে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, “বুধবার আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধ‍ান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ এপ্রিলের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে।” ১৯ এপ্রিলের সকালের পরীক্ষাগুলো ৩ মে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবং বিকেলের পরীক্ষাগুলো ৩ মে দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে।

মনস্তাত্বিক শক্তি বর্ধক !!!


আগামী সোম ও মঙ্গলবার হরতাল দিতে পারে ১৮ দল

আগামী সোম ও মঙ্গলবার (২২ এবং ২৩ এপ্রিল) হরতাল ডাকতে পারে বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল মঙ্গলবার ১৮ দলের বেঠকে নতুন এ কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী ২১ এপ্রিল রোববার নিম্ন আদালতে শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের জামিন না দিলে পরের দু’দিন হরতাল ডাকা হবে।

তালিকা প্রস্তুত, ‘অপারেশন ফ্রিডম’ নিয়ে মাঠে নামছে সরকার

সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের একটি সম্মিলিত বাহিনীর মাধ্যমে জামাতী জঙ্গীদের নির্মূল করার জন্য শীঘ্রই 'অপারেশন ফ্রিডম' নামে দেশব্যাপী একটি অভিযান চালাবে সরকার। সেই সাথে বিভিন্ন নাশকতার সাথে জড়িতদের নামের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিককালে জামাত-শিবিরের ভয়াবহ আক্রমণ এবং বিশৃঙ্খলা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা, সমালোচনা ও নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে। মহা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সাধারন মানুষ।

গত দুই মাস ধরে জামায়াত-শিবিরের সারাদেশে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। তার পাশাপাশি বিএনপিও হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসুচীতে সহিংসতা সৃষ্টি করছে। পুলিশের উপর চালানো হচ্ছে নারকীয় হামলা। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার রেল লাইনের স্লিপার তুলে নাশকতা চালানো হচ্ছে। যানবাহনের পাশাপাশি ট্রেনের বগিতেও অগ্নিসংযোগ চলছে। তাদের ধ্বংসাতক কর্মকান্ড রুখতে গেলে ভয়াবহ সংঘর্ষের রূপ নিচ্ছে। চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।

এরমধ্যে যোগ হয়েছে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। আর এই সংগঠনকে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বধীন সরকারের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে চাচ্ছে। জামাত শিবির হেফাজতিরা মসজিদের মাইকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে উসকে দিচ্ছে। সম্প্রতি ফটিক ছড়িতে সহিংস ঘটনা ঘটনার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াতের পরো ইন্দন রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

দেশের প্রধান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ তাদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছে। হরতালকারীদের ওপর একরকম বলা যায় গুলি চালাতে বাধ্য হচ্ছে। গত কয়েকদিনে পুলিশের গুলিতে যেমন অনেক লোক মরেছে, তেমনি নৃসংসভাবে পুলিশও মরেছে জামাত শিবির হেফাজতিদের হাতে।

সরকারের বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধী হিসাবে অভিযুক্ত আটক নেতাদের মুক্ত, বিচার বানচাল ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজনীতির নামে এমন ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। তাদের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। এজন্যই 'অপারেশন ফিড্রম' নাম দিয়ে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি এবং পুলিশের সৎ মেধাবী ও যোগ্য সদস্যদের বাছাই করে একটি চৌকস বাহিনী মাঠে নামছে। এই বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা এবং ইনডেমিনিটি প্রদান করে সারাদেশের জঙ্গীদের অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য মাঠে নামানো হচ্ছে।

সূত্র মতে, অপারেশন ফ্রিডম চলাকালীন সময়ে দেশে বিশেষ ধরণের জরুরি অবস্থা জারী করা হবে। ঐ অবস্থায় অপারেশন ফ্রিডমের কর্মকান্ডের খবর প্রকাশে বিশেষ বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে। অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য হবে স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গী, সন্ত্রসী, চিহ্নিত অপরাধী এবং ক্ষেত্র বিশেষ দূর্নীতিবাজদের দমন। এমনকি সরকারি দলের ছত্রছায়ায় যেসব লোক বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত তাদেরকেও এই অপারেশনের আওতায় আনা হবে।

গোয়েন্দাদের প্রস্তুতকৃত নাশকতায় নেপথ্যদের নামের তালিকা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে দেওয়া হয়েছে। গত মাসেই এই তালিকার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে জামায়াতের ১২৪ জন ও বিএনপির ৬৮ জন, খুলনা বিভাগে জামায়াতের ৯৩ জন ও বিএনপির ৮ জন, রংপুর বিভাগে জামায়াতের ১শ জন, বিএনপির ৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে জামায়াতের ১৩৯ জন, বিএনপির ১০২ জন, ঢাকা বিভাগে জামায়াতের ১৭২ জন, বিএনপির ১১৬ জন, বরিশাল বিভাগে জামায়াতের ৫৪ জন বিএনপির ১০৮ জন ও সিলেট বিভাগে জামায়াতের ৭৫ জন ও বিএনপির ৪৮ জনের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

তালিকায় থাকা সবাইকে নজরদারীর মধ্যে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: http://www.istishon.com/node/1181