Monday, July 31, 2017

থ্রি কোয়ার্টার ও সানগ্লাস পরা নিয়ে কপিলমুনি কলেজে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ

পাইকগাছার কপিলমুনি কলেজে বহিরাগত মেহেদি নামের এক যুবকের প্রবেশাধিকার নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩ জন আহত হয়েছ। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ ও পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিলে খবর পেয়ে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ দাবি করেছে।


পুলিশ, কলেজ কতৃপক্ষ ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে কপিলমুনি কলেজে ছাত্রলীগের কলেজ কমিটির একটি অংশের সাথে ক্যাম্পাসে যায় উপজেলার রামনাথপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মেহেদি নামের এক যুবক। এসময় তার পরনে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও চোখে সানগ্লাস থাকায় তা দৃষ্টি কটু মনে হওয়ায় ছাত্রলীগের কপিলমুনি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি রাসেল তার গ্লাস খুলতে ও ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শালিনতা বজায় রেখে ক্যাম্পাসে আসতে বলে।

এসময় তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে মেহেদি কলেজের দ্বিতীয় তলার ২নং কক্ষে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের বাক-বিতন্ডা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌছালে খবর পেয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল ঘটনাস্থলে যান। এমন অবস্থায় তিনি তাদের উভয় পক্ষকে গোলযোগ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করলে তারা তার কোন কথায় কর্ণপাত না করে ধাক্কা-ধাক্কি করতে করতে নিচে নেমে আসে।

এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কলেজ ও ইউনিয়ন কমিটি উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র এখলাচুর রহমান আশিক নামের একজন গুরুতর আহত হয় বলে দাবি করেছে ইউনিয়ন কমিটি।

অন্যদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দাবি করেন যে, আকরাম শেখ ও মুন্না নামে তাদের ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত আশিক ও মুন্নাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।


কপিলমুনি ইউনিয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি আহত সহপাঠীকে নিয়ে খুলনায় আছেন, পরে কথা বলবেন।

কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, বহিরাগত ইস্যু নিয়ে অপর গ্রুপ আকষ্মিক তাদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আকরাম ও মুন্না নামে তাদের দু’সহপাঠীকে আহত করে। এনিয়ে তারা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।


কলেজের উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’টি গ্রুপের সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, একটা সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে পুলিশকে খবর দিলে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্যা বাহার জানান, শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে সোমবার তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেননা। তবে মারামারির ঘটনা শুনেছেন।

--শেখ দীন মাহমুদ, কপিলমুনি, পাইকগাছা। 

Sunday, July 30, 2017

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্রের জন্মস্থান পাইকগাছায় শোকের মাতম

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র অমিতের জন্মস্থান পাইকগাছায় সৎকার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। অমিতকে শেষ দেখা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায় তার বাড়িতে। পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারীতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। 

অমিত ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের অমীয় রঞ্জন সরকারের একমাত্র ছেলে। পিতা ডুমুরিয়ার শহীদ স্মৃতি মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক। সেই সূত্রে অমিতের পরিবারের সবাই দীর্ঘদিন ধরে ডুমুরিয়ায় বসবাস করে আসছে। অমিত হরিণটানা শহীদ শেখ আবুল কাশেম কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। 

দুর্ঘটনার আগের দিন বিকালে সে খুলনায় বোনের বাসায় যায়। সেখান থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে কলেজ সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে বাস ও ইজিবাইকের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটলে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। 

পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত দেহ গ্রামের বাড়ী আনা হয়। এ সময় প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও পিতা-মাতার আহাজারীতে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। এদিন রাতেই অমিতের অন্তষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।  

Saturday, July 29, 2017

পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে এমপি নূরুল হকের সৌদি আরব গমন

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক'সহ পরিবারে ৩ সদস্য পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমন করেছেন। তিনি ও তার পরিবার শনিবার সকাল ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান যোগে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সংসদ সদস্যের সাথে রয়েছেন তার বড়পুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম ও পুত্রবধু। 



সময় স্বল্পতার কারণে তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী অনেকের সাথে সাক্ষাত করে যেতে পারেনি। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে সুস্থ ও সুষ্ঠুভাবে পবিত্র হজ্জ পালন সম্পন্ন করতে পারেন এ জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এবার পাইকগাছার পোদা নদীর নেট-পাটা অপসারণ নিয়ে উত্তেজনা; পুলিশ মোতায়েন

পাইকগাছার আলোচিত মিনহাজ নদীর পর এবার পোদা নদীর অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর সাথে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, উপজেলার লতা ইউনিয়নের ধলাই, পুতলাখালী, আঁধারমানিক, সচিয়ারবন্দ, হালদারচক, গঙ্গারকোনা ও লতা সহ প্রায় ৮/১০ টি গ্রামের পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোদা নদী (বদ্ধজলমহল)। ৭৩ একর আয়তনের নদীটি ১৪২৩ হতে ২৫ সন পর্যন্ত ফতেপুর আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ইজারাদার নদীটি তত্ত্বাধায়নের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন। এরপর তপন, বাবু লাল, সমর, তাপস ও দেবব্রতসহ কয়েকজন ব্যক্তি নদীটি কয়েকটি খন্ডে ভাগ করে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করেন। এদিকে নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের অতিরিক্ত পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়।

জলাবদ্ধতার আশংকায় স্থানীয় লোকজন গত শুক্রবার নদীর কয়েকটি স্থানের নেট-পাটা অপসারণ করতে গেলে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতে শুক্রবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

ধলাই গ্রামের গোবিন্দ জানান, অত্র এলাকার পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোনা নদী। নদীর দু’পাশে কয়েক’শ চিংড়ি ঘের রয়েছে। এ সব ঘেরের পানি নদী দিয়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। কিন্তু পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম পোনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়া সহ আমন ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ইজারাদার সাইফুল ইসলাম জানান, নদীটি দেখা শুনার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি।

ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান জানান, নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে কোন সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে কেউ এখনো পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

মুশফিকের দেখা পাওয়ায় আপ্লুত আবুল বাজনদার

আবুল বাজনদারের শেষ অপারেশন আমরা করে ফেলেছি গত ১২ জুলাই। তার শরীরে আর অপারেশন করার পরিকল্পনা নেই আমাদের। তবে তার যে রিপোর্টগুলো এসেছে, তাতে মনে হচ্ছে শরীরের ভেতরের অংশে সমস্যাটি আবারও ফিরে আসতে পারে, তার এটা বারবারই হতে পারে। সেগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কিত, তাই তাকে নিয়মিত ফলোআপে রাখতে হবে চিকিৎসার স্বার্থেই।

বৃক্ষমানব বলে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পাওয়া আবুল বাজনদারের ব্যাপারে এ তথ্য দেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন। আবুল বাজনদারকে নিয়মিত ফলোআপে রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণাধীন নতুন হাসপাতালে (নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট) চাকরি দিয়ে তাকে রেখে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি আমরা। তাহলে বাজনদার আমাদের নিয়মিত ফলোআপে থাকবে, চোখের সামনে থাকবে।


প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই বিরল রোগে আক্রান্ত আরেক শিশু সাতক্ষীরার মুক্তামনিকে দেখতে যান জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সেসময় ডা. সামন্ত লাল সেনের কক্ষে আলাপচারিতার সময় তিনি আবুল বাজনদার সম্পর্কে জানতে চান। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘‘মুশফিক আমাকে বলেন, ‘স্যার, আমি জানি বাজনদারের সম্পর্কে, কিন্তু এটা কী রোগ আর কী করে হলো সেটা জানতে চাই। তখনই বাজনদারকে আমার কক্ষে নিয়ে আসার জন্য বলি।’’
এ প্রতিবেদকের সামনে সেখানেই দেখা হয় বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও আবুল বাজনদারের সঙ্গে। আবুল বাজনদার মুশফিককে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে আসেন, চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান মুশফিকুর রহিম। বাজনদারের বাম হাত তখন ব্যান্ডেজ করা আর ডান হাতটি খোলা, একদম স্বাভাবিক। সে হাতেই বাজনদার হাত মেলান মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে।


হাত ভালো হয়ে গেছে বাজনদার মন্তব্য করতেই ডা. সামন্ত লাল সেন পুরনো ফাইল থেকে বের করেন আবুল বাজনদার যেদিন প্রথম বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন সেই ছবি। দুই হাতে শেকড়ের মতো মাংসপিণ্ড নিয়ে শীর্ণকায় আবুল বাজনদারের ছবি দেখে বিস্মিত হন মুশফিক।
এদিকে মুশফিকের দেখা পাওয়ায় আপ্লুত আবুল বাজনদার। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এরকম একজন মানুষকে জীবনে দেখবো সেটা কোনোদিন চিন্তাও করি নাই। উনি আমার হাত ধরে ছিলেন, ভাল-মন্দ জিজ্ঞেস করেছেন। আমার খুব ভালো লাগছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আবুল বাজনদার ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। এরপর কেটেছে দীর্ঘ দেড় বছরের মতো। তবে এই সময়ে বদলে গেছে তার জীবন, ঘটেছে বিশাল পরির্বতন। হতাশাকে পেছনে ফেলে তিনি এখন দেখছেন নতুন জীবনের স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখছে তার পরিবারও। জীবনটা যে এভাবে বদলে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি ‘বৃক্ষমানব’ নামে পরিচিত বাজনদার।

বিরল রোগ ইপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভ্যারুসিফরমিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী বাজনদার। তার চিকিৎসায় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে নয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়।

বাংলাদেশে বাজনদারই এই রোগের প্রথম রোগী, আর বিশ্বে তৃতীয়। তার চিকিৎসার পুরো খরচ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বহন করছে। ১৫ বছর বয়সে বাজনদারের হাতে ও পায়ে গাছের শেকড়ের মতো মাংসপিণ্ড তৈরি হয়। যে কারণে তিনি পরিচিতি পান ‘বৃক্ষমানব’ হিসেবে।


সরেজমিনে দেখা যায়, বাজনদার এখন একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই হাত দিয়ে কলম ধরতে পারেন। নিজ হাতে ধরে পত্রিকা পড়া এবং একমাত্র মেয়েকে কোলেও নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘দেড় বছর আগেও হাত ছিল ভারী, কিছু ধরতে পারতাম না, নিজে নিজে চলাফেরাও করতে পারতাম না। কিন্তু সময় বদলে গেছে, এক বছর আগের বাজনদারের সঙ্গে আজকের বাজনদারের বিস্তর ফারাক।’ 

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পাঁচ তলার একটি কেবিনে আবুল বাজনদারের দিন কাটছে। সেখানে তার সব সময়ের সঙ্গী স্ত্রী হালিমা খাতুন এবং সাড়ে তিন বছরের মেয়ে তাহিরা।

--জাকিয়া আহমেদ

ঢাকা-কয়রা রুটে চালু হলো বিআর‌টি‌সি এ‌সি বাস সা‌র্ভিস

২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিআর‌টি‌সি'র চেয়ারম্যান (কয়রা-খুলনা-ঢাকা) এসি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন। আপতত প্র‌তি‌দিন ১টি ক‌রে বাস উভয় দিক থে‌কে ছাড়‌বে। কয়রা থেকে বিকাল ৫টা এবং ঢাকা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। সরাসরি মাওয়া ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার হবে বিআর‌টি‌সি'র এই এসি বাস।

ভাড়া : ৭৫০ টাকা।


কয়রা কাউন্টার: ০১৭০৭-৬৯৮৫৩০
পাইকগাছা: ০১৭০৭-৬৯৮৫৩১
খুলনা জি‌রো প‌য়েন্ট: ০১৯১৩-২৬২১৪০
কল্যানপুর: ০১৯১৯-৬৫৪৭৫৩
কলাবাগান: ০১৮৩৪-৬৩৮০৬৭
কমলাপুর: ০১৮৩৪-৬৫১৯০৫
জনপদ: ০১৯১৫-৫০২৫৫০

Thursday, July 27, 2017

পাইকগাছায় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ছাদে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষিত

পাইকগাছায় প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার এক ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ের ছাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে থানায় রুজু করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী ওই যুবতী (২৫) জানান, প্রতি শনিবার হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী (রাজু) প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের মাঝে খাবার বিতরণ করে থাকেন।  ঘটনার দিন গত শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে খাবার খেতে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর একই গ্রামের সামছুর মজলিশের ছেলে আলাউদ্দীন (৩২) শাড়ি-কাপড় দেওয়ার কথা বলে ওই ভবনের ছাদে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনা জানাজানি হয় আজ বৃহস্পতিবার। এদিন বিকেলে কথিত ধর্ষিতা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিচার দাবি করেন।

থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

ঘটনার ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে জানা যায়, তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।

Tuesday, July 25, 2017

জনপ্রশাসন পদক প্রাপ্তিতে উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিনকে অভিনন্দন

জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন পাইকগাছার কৃতি সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কন্যা উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি গত রোববার খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ এর নিকট থেকে পদক গ্রহণ করেন।

গৌরবময় অর্জনের স্বীকৃতি স্মরূপ জনপ্রশাসন পদক পাওয়ায় সাবিনা ইয়াসমিন'কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে জন্মস্থান পাইকগাছার বিভিন্ন মহল। 

Monday, July 24, 2017

কমিটি আছে, কমিটি নেই- কি হচ্ছে পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগে?

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ২২ জুলাই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। সেই সাথে খুলনা জেলা শাখার সম্মেলনের পূর্ব পর্যন্ত কোনো কমিটি গঠন ও বিলুপ্ত করা যাবেনা বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ও সম্পাদ স্বাক্ষরিত এক দলীয় প্যাডে সভাপতি ও সম্পাদক এর নাম উল্লেখ করে পাইকগাছা উপজেলা শাখার ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নতুন কমিটির আয়ু হয় মাত্র কয়েক ঘন্টা! ২২ জুলাই শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ পাইকগাছা উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।

উল্লেখ, আগামী ২৭ জুলাই খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের দিন নির্ধারিত আছে। সম্মেলনের আগে প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, কলেজ ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্দেশ দেয়। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রতিটি জেলা ও উপজেলাসহ সকল ইউনিটে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশনা আছে বলে দলীয় একটি সূত্র জানায়। 
কয়েক ঘন্টার মধ্যে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণায় উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা হতাশা ও নিন্দা জানিয়েছে। অন্যদিকে অপর অংশ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
উপজেলায় দলীয় একাংশ বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ নূরুল হকের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করছে। অপর অংশ সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সোহরাব আলী সানা, উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী ও সদস্য সচিব মোঃ রশিদুজ্জামানের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করে আসছে।
গ্রুপিং এর কারণে ইতোপূর্বে দলের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দল হওয়া সত্ত্বেও মামলায় জড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য নেতাকর্মী। 
উল্লেখ, উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১০ সালে। সম্মেলনে শেখ আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি ও এসএম আমিনুর রহমান লিটুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। গত ৭ বছরেও দলের গুরুত্বপূর্ণ এ অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলন না হওয়ায় অনেকটা ঝিঁমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। বেড়েছে নামধারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। ছাত্রলীগ এবং নামধারী ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েকটি সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে ইতোমধ্যে।


Sunday, July 23, 2017

পাইকগাছায় ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার গাছের চারা রোপন

পাইকগাছায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপজেলার ১৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক যোগে ১ হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স ম বাবর আলী পৌর সদরের কয়েকটি স্কুলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে গাছের চারা রোপন করেন। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার, জ্যোতি শংকর রায়, শোভা রায়, ইসলামুল হক মিঠু, নয়ন সাহা, প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফফার, আশুতোষ কুমার মন্ডল, সেলিনা পারভীন, বিজন কুমার, শিক্ষক শিল্পী পারভীন, সুষ্মিতা সরকার, পাপিয়া পারভীন, রুমা খাতুন ও এসএম আমিনুর রহমান লিটু।

পাইকগাছায় এইচএসসিতে গড় পাশের হার ৬৭.২৬%, 'এ' প্লাস ২৩

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের অধীন পাইকগাছা উপজেলার ১১টি কলেজে এবছর গড় পাশের হার ৬৭.২৬% (গতবার এ হার ছিল ৮৫.৬৭%)। এবছর উপজেলায় সর্বোচ্চ পাশের হার আর.কে.বি.কে হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েটে ৮৮.৩% এবং সর্বনিম্ন পাশের হার সরদার আবু হোসেন কলেজে ৪৪.৪৪%।
এছাড়া শহীদ আয়ুব ও মূসা মোমারিয়াল কলেজে পাশের হার ৮১.৩%, কালীনগর কলেজ ৮১.০৮%, চাঁদখালী কলেজে ৭৯.৩১%, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির ৭২.২২%, হরিঢালী কপিলমুনি মহিলা কলেজ ৬৯.৬৪%, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ ৫৮.৬৬%, লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েট ৫৮.১২%, পাইকগাছা কলেজ ৫৩.৪৩% এবং কপিলমুনি কলেজ ৫৩.৩৯%।
পাইকগাছা উপজেলার ১১টি কলেজের মধ্যে ৫টি কলেজ থেকে জিপিএ ৫ ('এ' প্লাস) পেয়েছে ২৩ জন। আর.কে.বি.কে হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট থেকে ৮ জন, কপিলমুনি কলেজ থেকে ৮ জন, পাইকগাছা কলেজ থেকে ৩ জন, লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েট থেকে ৩ জন এবং চাঁদখালী কলেজ থেকে ১ জন 'এ' প্লাস পেয়েছে।

এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর রাড়ুলী, গড়ইখালীসহ কিছুকিছু কেন্দ্রের চমকপ্রদ ফলাফল দেখে বিষ্মিত হয়েছেন সচেতন মহল। অনেকের ধারনা এ কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার সময় ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার কারনে প্রতিবারের ন্যয় এবারও সদরের কলেজগুলো থেকে প্রত্যন্ত এলাকার ওইসব কেন্দ্রে চমকপ্রদ ফলাফল এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ সব কেন্দ্রের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিবে। একই সাথে জিপিএ ৫ এর প্রলোভনে সদরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামীতে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চাইবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বোর্ড চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবকমহল। 
উল্লেখ্য, প্রতিবার পরীক্ষার সময় প্রত্যন্ত এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
বিস্তারিত ফলাফল ::
►পাইকগাছা কলেজ ::
পাশের হার :: ৫৩.৪৩%, মোট পরীক্ষার্থী :: ২৭৭, কৃতকার্য :: ১৪৮, অকৃতকার্য :: ১২৯
A+: ৩, A: ১০, A-: ‌২৬, B: ৪৮, C: ৫৯, D: ২
►কপিলমুনি কলেজ ::
পাশের হার :: ৫৩.৩৯%, মোট পরীক্ষার্থী :: ৩৫৪, কৃতকার্য :: ১৮৯, অকৃতকার্য :: ১৬৫
A+: ৮, A: ৩৭, A-: ‌৪৭, B: ৫৭, C: ৩৯, D: ১
►আর.কে.বি.কে হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট ::
পাশের হার :: ৮৮.৩%, মোট পরীক্ষার্থী :: ২৬৫, কৃতকার্য :: ২৩৪, অকৃতকার্য :: ৩১
A+: ৮, A: ১১০, A-: ‌৫৩, B: ৩৪, C: ২৯, D: ০
►শহীদ আয়ুব ও মূসা মোমারিয়াল কলেজ ::
পাশের হার :: ৮১.৩%, মোট পরীক্ষার্থী :: ২৪৬, কৃতকার্য :: ২০০, অকৃতকার্য :: ৪৬
A+: ০, A: ২১, A-: ৫৮, B: ৭৩, C: ৪৬, D: ২
►ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ ::
পাশের হার :: ৫৮.৬৬%, মোট পরীক্ষার্থী :: ১৭৯, কৃতকার্য :: ১০৫, অকৃতকার্য :: ৭৪
A+: ০, A: ৩২, A-: ‌২৮, B: ২৬, C: ১৭, D: ২
►লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েট ::
পাশের হার :: ৫৮.১২%, মোট পরীক্ষার্থী :: ১৬০, কৃতকার্য :: ৯৩, অকৃতকার্য :: ৬৭
A+: ৩, A: ২৪, A-: ‌২২, B: ২৭, C: ১৬, D: ১
►কালীনগর কলেজ ::
পাশের হার :: ৮১.০৮%, মোট পরীক্ষার্থী :: ৭৪, কৃতকার্য :: ৬০, অকৃতকার্য :: ১৪
A+: ০, A: ১০, A-: ‌১৯, B: ১৯, C: ১২, D: ০
►চাঁদখালী কলেজ ::
পাশের হার :: ৭৯.৩১%, মোট পরীক্ষার্থী :: ৫৮, কৃতকার্য :: ৪৬, অকৃতকার্য :: ১২
A+: ১, A: ১৫, A-: ‌১৭, B: ১১, C: ২, D: ০
►হরিঢালী কপিলমুনি মহিলা কলেজ ::
পাশের হার :: ৬৯.৬৪%, মোট পরীক্ষার্থী :: ৫৬, কৃতকার্য :: ৩৯, অকৃতকার্য :: ১৭
A+: ০, A: ১৪, A-: ‌৯, B: ৯, C: ৭, D: ০
►কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির ::
পাশের হার :: ৭২.২২%, মোট পরীক্ষার্থী :: ৩৬, কৃতকার্য :: ২৬, অকৃতকার্য :: ১০
A+: ০, A: ২, A-: ‌৫, B: ১৩, C: ৬, D: ০
►সরদার আবু হোসেন কলেজ ::
পাশের হার :: ৪৪.৪৪%, মোট পরীক্ষার্থী :: ১৮, কৃতকার্য :: ৮, অকৃতকার্য :: ১০
A+: ০, A: ০, A-: ‌৪, B: ১, C: ৩, D: ০

Friday, July 21, 2017

পাইকগাছার সন্তান উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত

পাইকগাছা উপজেলার কৃতি সন্তান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন মালা জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদক-২০১৭ এর জন্য সাবিনাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। 
সাবিনা ইয়াসমিন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) থাকাকালীন সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সহ আইনী সহায়তা প্রদানের লক্ষে ‘অপরাজিতা যশোর’ নামে একটি প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। যশোর জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির এ প্রকল্পের দলনেতা ছিলেন। তবে প্রকল্পের মুল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাবিনা ইয়াসমিন। প্রকল্পটি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নির্যাতিত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান গত সোমবার সাবিনা ইয়াসমিনের জনপ্রশাসন পদকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পত্র দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাবিনা ইয়াসমিন খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি (সাবেক চেয়ারম্যান) মিয়ার মেয়ে। সাবিনা মা সালমা বেগম এর গর্ভে থাকাবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন তার পিতা শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি মিয়া। তিনি ১৯৮৭ সালে পাইকগাছা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ৮৯’তে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ৯২’তে বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও ৯৩’ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (ইংরেজি) পাস করেন। 
লেখাপড়া শেষ করে তিনি ৯৮ থেকে ০৩ পর্যন্ত পাইকগাছার ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে চাকরি করেন। এখানে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২১তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ২০০৩ সালে সহকারী কমিশনার (ম্যাজিষ্ট্রেট) হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর কর্মরত থাকার পর ’০৭ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী, ময়মনসিংহ সদর এবং ’০৯ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে গাজীপুরের শেরপুর, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ কর্মরত ছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর’১৩ হতে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসাবে যশোরে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে পিএইচডি করছেন। তার গবেষণার বিষয় পাবলিক হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারী সিষ্টেম ইনদি কমিউনিটি হেল্থ অব বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তিনি এমআইডি ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণের আওতায় ভারত সফর করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে (শিক্ষা ও চাকুরী) ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়ীতা নির্বাচিত হন। 
শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার লেখক হিসাবে রয়েছে একটা পরিচিতি। ইতোমধ্যে তাহার রচিত লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন, বলিতে ব্যাকুল, পূর্ণিমার পরদিন, জলে জ্যোৎস্নায় এই অবেলায়, নি:শ্বরের গান, তমোঘœা, ফেরাবো অঙ্কুশে, তোমার জ্যোৎস্নায় পালক পুড়ে যায়,  নীল ঝোনাকী ও ধারা জল সহ ১০টি কাব্যগ্রস্থ প্রকাশিত হয়েছে। 
ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী মো. শরীফ হোসেন হায়দার বিচার বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। পুত্র রূবাইয়াৎ ইশম্মাম প্রিয়ন্ত ও কন্যা পুষ্পিতা পরিজাত টিপ'কে নিয়ে সুখেই রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। 
সর্বশেষ জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় এবং সাফল্য অর্জন প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রগতিশীল দলনেতা জেলা প্রশাসকের সঠিক দিক-নির্দেশনায় অপরাজিতা যশোর প্রকল্পে সাফল্য এসেছে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা জজ, জেলা নারী ও শিশু জজ, জেলা প্রশাসকের  সহধর্মিনী, অপরাজিতা প্রকল্পের সকল সহকর্মীসহ সুশীল সমাজের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

পাইকগাছায় দুই চিংড়ি ব্যবসায়ীকে জরিমানা

পাইকগাছায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিংড়ি পরিবহন করার অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ফরমালিন বিরোধী ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অংশ হিসেবে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস শিবসা ব্রীজ এলাকা থেকে পানি ভর্তি ড্রামে চিংড়ি পরিবহন করার সময় ৬০ কেজি পরিমাণের চিংড়ি মাছ জব্দ করেন।
পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান ব্যবসায়ী পারবয়ারঝাপা গ্রামের লতিফ গাজীর ছেলে কারিমুল গাজী (২৫) ও একই এলাকার রুহুল আমিন ফকিরের ছেলে শাহাবুদ্দীন ফকির (৩০) কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও অপদ্রব্য পুশ করা প্রায় ২শ কেজি চিংড়ি বিনষ্ট করেন মৎস্য দপ্তর কর্তৃপক্ষ।

Thursday, July 20, 2017

অবিরাম বর্ষণে পাইকগাছায় জনদুর্ভোগ

পাইকগাছায় বৃহস্পতিবারের অবিরাম বর্ষণে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অসংখ্য চিংড়ি ঘের। অতিরিক্ত পানি জমে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের ক্ষেতে। প্রধান সড়কের কিছু অংশসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকায় যাতায়াতে বেড়েছে জন দুর্ভোগ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভারি বর্ষণে এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিু আয়ের দিন মজুর মানুষেরা। টানা বর্ষণের কারণে এ দিন কোন দিন মজুরই কাজ করতে পারেনি। অনেকেই বাড়ি হতে বের হতে পারেনি।
বান্দিকাটী গ্রামের ইউনুছ আলী গোলদার জানান, প্রতিদিন দিন মজুরের কাজ করে আমার সংসার চালাতে হয়, কিন্তু ভারি বর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার আমি কোথাও কাজ করতে যেতে পারিনি। মারাত্মকভাবে ব্যহত হয় ব্যবসা-বাণিজ্য সহ দৈনন্দিন সকল কার্যক্রম। 
এদিন ভারি বৃষ্টির কারণে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন থাকে।

Tuesday, July 18, 2017

ব্যাংকের গাফিলতিতে ফেরত গেছে পাইকগাছার ৯০টি স্কুলের লক্ষাধিক টাকা

পাইকগাছায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলাতির কারণে ফেরত গিয়েছে ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ২৮ হাজার ২৫০ টাকা। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা।
পুরাইকাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এপ্রিল-জুন মাসের আনুসাঙ্গীক খরচ বাবদ ৩ মাসের ১ লাখ ২৮ হাজার ২৫০ টাকার বিল, শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিসের মাধ্যমে গত ২১ জুন রূপালী ব্যাংকে দাখিল করা হয়। 
নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হিসাবের বিপরীতে বিলের উল্লেখিত টাকা জমা হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী হঠাৎ একদিন টাকা উত্তোলন করতে যেয়ে দেখি, হিসাবের বিপরীতে কোন টাকা জমা হয়নি। বরং ৩০ জুনের মধ্যে প্রক্রীয়া সম্পন্ন না করায় বিলের সমুদয় টাকা ফেরত গিয়েছে। 
বিপুল পরিমান টাকা ফেরত যাওয়ায় চরম ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন শিক্ষকরা। এর জন্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলাতিকে দায়ী করছেন ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকরা। 
এ প্রসঙ্গে রূপালী ব্যাংক পাইকগাছা শাখার বিল অফিসার আবু মুছা জানান, বিলটি দুই বার সোনালী ব্যাংকে পাঠানো হয়। কিন্তু বিলে ভুল থাকার কারণে তা তারা ফেরত পাঠায়। পরে ওই বিলটি ফাইলের নিচে চাপা পড়ে যায়। 
ব্যবস্থাপক মোঃ হারুণ-অর-রশীদ জানান, অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তবে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা আন্তরিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিস সহ শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। নতুন করে আবেদন সাপেক্ষে পুনরায় উল্লেখিত টাকা পাওয়া সম্ভব বলে ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। 
তবে যে টাকা ফেরত গিয়েছে এই টাকা কোন ভাবেই ফেরত পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, গাফিলাতি যাদের থাকুক, বিপুল পরিমাণ টাকার ক্ষতির দায়ভার কে নেবে?

Friday, July 14, 2017

পাইকগাছায় পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হলেন এমপি পত্নী মোমেনা হক

সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হকের সহধর্মিনী বেগম মোমেনা হকের জানাযা শেষে নিজ গ্রাম পুরাইকাটিস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে পুরাইকাটি ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, কয়রার উপজেলা চেয়ারম্যান মাওঃ আ.খ.ম. তমিজউদ্দীন, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, কয়রা’র ওসি এনামুল হক, এমপিপুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ  কামরুল হাসান টিপু, আব্দুল মান্নান গাজী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) এস.এম. জাবীদ হাসান, আ’লীগনেতা অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, হেদায়েত আলী টুকু, উপাধ্যক্ষ আফছার আলী, আবুল বাশার বাবুল সরদার, সরদার গোলাম মোস্তফা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, কয়রার ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আব্দুর রশিদ, ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস, কাওসার আলী জোয়াদ্দার, গাজী জুনায়েদুর রহমান, আমির আলী গাইন, এস.এম. শফিকুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী, কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, এ্যাডঃ জি,এ সবুর, জি.এম. আব্দুস সাত্তার, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ বাহার, শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, এস,এম, সামছুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম, গাজী আজিজুল হক, মাওঃ আফছারুদ্দীন ফিরোজী, উপাধ্যক্ষ সরদার মো‏হাম্মদ আলী, ইমরুল হাসান অমি, জি,এম, ইকরামুল ইসলাম, শেখ মাসুদুর রহমান, শেখ আব্দুস সাত্তার ও প্রভাষক ময়নুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
জানাযা পরিচালনা করেন মাওঃ দিছার উদ্দীন। এর আগে দুপুরে খুলনায় মরহুমার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, এমপি পত্নী মোমেনা হক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুলনার বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। আগামী রবিবার বিকালে পুরাইকাটিস্থ বাসভবনে মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পাইকগাছায় দুই শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

পাইকগাছায় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুই শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। হাঁস চুরির অভিযোগে ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান জুম্মন সরদার ও হাসান নামে দুই শিশুকে কয়েক ঘণ্টা গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে বলে শিশুসহ তাদের পরিবার অভিযোগ করেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, বান্দিকাটি গ্রামের ভাড়াটিয়া হাবিল সরদারের ছেলে ও মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুম্মন সরদার ও গোপালপুর গ্রামের কছিমউদ্দীন মোড়লের মঠবাটী মাদরাসার ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে হাসান ও তাদের সহপাঠী জাহিদুল শুক্রবার দুপুরের দিকে খেলা শেষে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের ভিতর থেকে প্রতিবেশী পুরাইকাটি গ্রামের ব্যবসায়ী ছবেদ আলীর ছেলে শাহিনুর রহমানের একটি হাঁস মেরে ও অপর ৩টি হাঁস ধরে নিয়ে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। পরে টের পেয়ে শাহিনুর রহমান শিশু জুম্মন ও হাসানকে ধরে এনে বসত বাড়ীর আম গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মারপিট করে বলে জুম্মনের মা পারভীন বেগম জানিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা বেঁধে রাখার পর সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে জড়ো হলে তখন দুই শিশুকে তাদের অভিভাবকের নিকট ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে সরেজমিন গেলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শাহিনুর রহমান বলেন, আমি রাগের বশে দুই শিশুকে কিছু সময়ের জন্য গাছের সাথে বেঁধে রাখি। পরে আমি ভুল বুঝতে পেরে তাদেরকে ছেড়ে দেই।

ভোলায় পাইকগাছার সন্তান জিমি'র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ভোলায় পাইকগাছার সন্তান সহকারী কর কমিশনার জিএম সাহিনুর রশিদ জিমি'র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শহরের গাজীপুর রোডের সরকারি কোয়ার্টারে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে জিএম সাহিনুর রশিদ জিমি'র লাশ পাওয়া যায়। 
সাহিনুর ভোলার কর সার্কেল-১০ এ কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি পাইকগাছা উপজেলায়। সাহিনুর রশিদ জিমি ৩৩তম বিসিএস-এ উত্তীর্ণ হয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যোগদান করেন। 


ভোলা মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, সাহিনুর শহরের গাজীপুর রোডের সরকারি কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকতেন। “বৃহস্পতিবার রাতে নিজ কক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।”
ওসি বলেন, তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। 
খবর পেয়ে নিহতের মা ও সেনা কর্মকর্তা বড় ভাই হেলিকপ্টার যোগে শুক্রবার ১১টার দিকে  ভোলায় আসেন। তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন রথিন্দ্রনাথ রায় জানান, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

পৌর সদরে ইজিবাইক প্রবেশে বাধা; সমস্যা নিরসনে এমপি’র উদ্যোগ

পাইকগাছায় বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বাধার কারণে পৌর সদরে ঢুকতে পারছেন না ইজিবাইক চালকরা। পৌর অভ্যন্তরে প্রবেশদ্বার তেলপাম্প সংলগ্ন এলাকায় বাস শ্রমিকদের বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন ইজিবাইক চালকরা। বাধার কারণে গত ৪ দিন যাবৎ বিপাকে রয়েছেন তারা। বর্তমানে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। বাস শ্রমিকদের বাধা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের স্বরণাপন্ন হয়েছেন ঐক্যবদ্ধ ইজিবাইক চালকরা।

উল্লেখ্য, পাইকগাছা কপিলমুনি সড়কে প্রায় শতাধিক ইজিবাইক চলাচল করে। আর এই ইজিবাইক শতাধিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম। বর্তমানে বাস শ্রমিকদের বাধার কারণে ইজিবাইকের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন চালকরা। বৃহস্পতিবার বিকালে শতাধিক চালক ইজিবাইক নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিষয়টি নিরসনে এমপি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে সংসদ সদস্য দু’পক্ষকে সাথে নিয়ে বিষয়টি নিরসন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান ও ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে নির্দেশ দেন।

পাইকগাছায় দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হস্ত, বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা

পাইকগাছায় দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হস্ত, বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা। এ লক্ষ্যে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন পেলে আগামী দু’একদিনের মধ্যে মেলা উদ্বোধন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করতে পারেন বলে আয়োজক কমিটির প্রধান রুহুল আমিন বাপ্পি জানিয়েছেন। তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়ে এ ধরণের মেলা সচারাচর হয়ে থাকে না। এ মেলা এলাকার বিনোদন প্রিয় মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য মেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজন রয়েছে।
পাইকগাছা কলেজের প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু জানান, এলাকায় শিশুদের জন্য বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নাই। শুধু শিশু নয় সব শ্রেণির মানুষের জন্য হস্ত, বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলার মাধ্যমে এলাকার শিশু-কিশোর ও সব ধরনের মানুষের বিনোদনের চাহিদা পূরণ হবে।
তবে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় কিছুটা হলেও মেলার মূল উদযাপন ব্যাহত হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এ ক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমকে মাথায় রেখে পর্যাপ্ত অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা হবে বলে আয়োজকরা জানান।
মেলার স্বাজ-স্বাজ রব দেখে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সহকারী কর কমিশনার সাহিনুর রশিদ জিমি'র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ভোলায় পাইকগাছার সন্তান সহকারী কর কমিশনার জিএম সাহিনুর রশিদ জিমি'র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শহরের গাজীপুর রোডের সরকারি কোয়ার্টারে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে জিএম সাহিনুর রশিদ জিমি'র লাশ পাওয়া যায়।
সাহিনুর ভোলার কর সার্কেল-১০ এ কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি পাইকগাছা উপজেলায়। সাহিনুর রশিদ জিমি ৩৩তম বিসিএস-এ উত্তীর্ণ হয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যোগদান করেন।


ভোলা মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, সাহিনুর শহরের গাজীপুর রোডের সরকারি কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকতেন। “বৃহস্পতিবার রাতে নিজ কক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।”
ওসি বলেন, তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
খবর পেয়ে নিহতের মা ও সেনা কর্মকর্তা বড় ভাই হেলিকপ্টার যোগে শুক্রবার ১১টার দিকে ভোলায় আসেন। তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন রথিন্দ্রনাথ রায় জানান, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Sunday, July 2, 2017

১৩ বছরেও সম্মেলন হয়নি পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের

গত ১৩ বছরেও সম্মেলন হয়নি পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের। ফলে একদিকে ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। অপরদিকে দিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে মূল দল সহ প্রায় সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। সম্মেলন না হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে দলীয় গ্রুপিংকে দায়ী করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

দলীয় একাংশ বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করছেন। অপর অংশ সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী ও সদস্য সচিব মোঃ রশিদুজ্জামানের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে অনেকটাই যেনতেন ভাবে দলীয় কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে বলে ধারণা করা হয়। গ্রুপিং এর কারণে ইতোপূর্বে দলের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দল হওয়া সত্ত্বেও মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।

সূত্রমতে, পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৪ সালে। সম্মেলনে প্রয়াত শেখ বেলাল উদ্দীন বিলুকে সভাপতি ও প্রয়াত মেয়র এসএম মাহবুবর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পথিমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুবরণ করলে গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি পদ ভারপ্রাপ্ত দিয়ে পরিচালিত হয়। সম্মেলনের ১০ বছর পর ২০১৪ সালে গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহবায়ক ও মোঃ রশিদুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ ওঠে কমিটিতে এমপি নূরুল হক অনুসারী ও সক্রীয় এবং ত্যাগী নেতাদেরকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে এমপি সমর্থিত ও পদ পদবী বঞ্চিত নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয়ের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মামলাও হয়। আহবায়ক কমিটি গঠনের ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সম্মেলন হয়নি ক্ষমতাসীন দলের অভিভাবক সংগঠনটির। বর্তমানে একদিকে আহবায়ক কমিটির ব্যানারে ও বর্তমান এমপি’র সমর্থিতদের আহ্বানে পৃথক পৃথক ভাবে চলছে দলীয় কার্যক্রম।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা আ’লীগের সদস্য সচিব মোঃ রশিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জেলা কমিটির মিটিংএ রয়েছি। এই মুহূর্তে কোন কিছু বলা সম্ভব নয়।

অনুরূপভাবে, ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারী সর্বশেষ সম্মেলন হয় উপজেলা যুবলীগের। সম্মেলনে এসএম শামছুর রহমানকে সভাপতি ও কাজল কান্তি বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী এ সংগঠনেরও গত ১৩ বছরে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। মূলদলের দলীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেলেও যুবলীগের তেমন কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় না। মূল দলের ন্যায় এ সংগঠনটিরও নেতাকর্মীরা রয়েছে দিধা-বিভক্ত।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম শামছুর রহমান সংগঠনের নাজুক অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, সম্মেলন না হওয়ার পিছনে অনেক কারণ করেছে। যার মধ্যে জেলার মূলদল সহ যুবলীগের দলীয় গ্রুপিং অন্যতম কারণ। আর এ কারণে উপজেলা পর্যায়ের সংগঠনেও বিভিন্ন গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনের কোন কর্মসূচি আহ্বান করলে খোদ সংগঠনের অনেকেই কর্মসূচি বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। যার কারণে এখন অনেকটাই নিরাবতা পালন করছি বলে উপজেলা যুবলীগের এ নেতা জানিয়েছেন।

একই ভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১০ সালে। সম্মেলনে শেখ আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি ও এসএম আমিনুর রহমান লিটুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। গত ৭ বছরেও দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ এ অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলন না হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। অপরদিকে বেড়েছে নামধারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এতে একদিকে সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে নেতাকর্মীরা। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ছাত্রলীগ এবং নামধারী ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েকটি সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফলে সংগঠনের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমিও চাই সংগঠনের সম্মেলন হোক এবং সম্মেলনে নতুন নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসুক। সংগঠনে নতুনদের দরকার রয়েছে, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠনের মধ্যে নামধারী ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আর এরাই সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।

সবমিলিয়েই যেনতেন ভাবে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রম। অনেকেই মনে করছেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সম্মেলন জরুরী হয়ে পড়েছে। মূলদল সহ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন সম্পন্ন করতে না পারলে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

--মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা।