Wednesday, September 11, 2013

মন্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার এখনও এক মাস বাকী। এরই মধ্যে মন্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।

ছবিটি পাইকগাছার কাঠামারি সার্বজনীন পূজা মন্দির থেকে তোলা।


তালা-পাইকগাছা সড়কের ৩৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাইকগাছা-খুলনা ৬৪ কিঃমিঃ সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কের পাশে সাতক্ষীরা ও খুলনা মোট দুই জেলার লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এ অঞ্চলের মানুষের বিভাগীয় শহর খুলনার সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সড়ক এটি। এ সড়কের আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৪ কিঃমিঃ রাস্তার বেহাল দশা। 

যে কোন মুহূর্তে বিছিন্ন হতে পারে যোগাযোগ ব্যাবস্থা। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে লাখো মানুষ। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা ও রাস্তা সংস্কারের সময় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দায়সারা কাজ করার খেশারত দিতে হচ্ছে এ অঞ্চলের লাখো মানুষের। সংস্কারের নামে দায়সারা কাজ করায় ইতিমধ্যে রাস্তার পিচ খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যা সরেজমিন পরিদর্শন না করলে বাস্তবতা বোঝা কঠিন।

উল্লেখ্য, বিগত দিনে ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত টেন্ডারের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়। সংস্কার কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে রাস্তার পিচ উঠে গেলে তার ছবিসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ফল হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা বাণিজ্যের মাধ্যমে বিল প্রদান করেছে। সংস্কারের কাজ কিছুই হয়নি।

জানা যায়, ১৮ মাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৪ কিঃমিঃ রাস্তা কপোতাক্ষ তীরবর্তী হওয়ায় প্রতি বছর এ সময় রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায় এবং রাস্তার সব অংশই খানা খন্দে পরিণত হয়।

দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তালার শিবপুর গ্রামের বাস চালক মিলন সরদার আক্ষেপ করে জানান, আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৪ কিঃমিঃ রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। বাস চালানো প্রায় অসম্ভব। রাস্তার গর্তের মধ্যে পড়লে আর উঠানো যায় না। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে পড়ে। যে কোন মুহূর্তে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে পারে মালিক সমিতির কর্তৃপক্ষ।

রাশেদ জানায়, রাস্তার করুণ অবস্থা। মটর সাইকেল নিয়ে রাস্তার গেলে অর্ধেক পানিতে ডুবে যায়। আর একটু বৃষ্টি হলে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

বাসযাত্রী ইমরান হোসেন জানান, রাস্তার গর্তের মধ্যে গাড়ি পড়লে ওঠে না। গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। তারপরও কোন উপায় না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে উঠতে হয়।

পাইকগাছা থানার আবাসিক ভবন নির্মাণকাজে শুভংকরের ফাঁকি

পাইকগাছা থানার প্রায় কোটি টাকার আবাসিক ভবন নির্মান কাজে শুভংকরের ফাঁকি দেয়ার অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। পুলিশ ও গণপূর্ত বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার এ তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে গণপূর্ত বিভাগের অধীনে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত পাইকগাছা থানার দ্বিতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোপূর্বে খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউনুস এন্ড ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণকাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও ইলেকট্রিক লাইট, সেফটি ট্যাংক, প্লাষ্টার, কাঠের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে বিল উত্তোলন করে নির্মাণ কাজ শেষ করেন বলে খোদ পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ ও গনপূর্ত বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটির নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার সকালে থানাভবন পরিদর্শন করে তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন।

এ ব্যাপারে জেলার অন্যান্য থানার চেয়ে পাইকগাছা থানার ভবন নির্মাণ কাজে সবচেয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে বলে তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ জানান। নির্মাণকাজে অনিয়মের কথা স্বীকার করেন কমিটির অন্যতম সদস্য গণপূর্ত বিভাগ খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিত বিশ্বাস। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপরিশ করা হবে বলে জানিয়েছে।