Monday, September 1, 2014

আমাদের পাইকগাছা,

এখানে রাস্তাগুলো সব সময় চলাচলের অযোগ্য থাকে।
এখানে ২৪ ঘন্টার ২৩ ঘন্টায় লোডশেডিং এর আওতায় থাকে।
এখানে ইন্টারনেটে পেজ ওপেন করতে দিনভর অপেক্ষা করতে হয়।

তারপরও আমরা গর্বিত.... আমাদের পাইকগাছার মানুষ গুলো সবাই অনেক ভাল....

Courtesy :: Masud Rana.

চাঁদখালী বাজার দখল করতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর

পাইকগাছার চাঁদখালী হাটে বর্তমানে সরকারী ১১টি চাঁদনী, মহিলা মার্কেট, পাকা রাস্তা, ড্রেন এবং অন্যান্য বেসরকারী অফিসসহ কৃষি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ শাখা রয়েছে। পাশ্ববর্তী সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রাচীন বড়দল হাট বন্ধের উপক্রম হওয়ায় এ হাটের গুরুত্ব এবং এখানের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রতি বছর সরকার এ হাট থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করছে। এমতবস্থায় চাঁদখালী হাটের এক টুকরো জায়গা পাওয়ার জন্য অবৈধ দখলদার ও প্রভাবশালী মহল তৎপর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী বাজারের সরকারি সম্পত্তি রক্ষায়, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবীতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যবসায়ীরাসহ এলাকাবাসীরা এসব অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, চাঁদখালী দক্ষিণ খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ যা খুলনা মহাগনরী থেকে প্রায় ৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণে কপোতাক্ষ নদের তীরে পাইকগাছা, কয়রা মেইন রোডের উপর অবস্থিত।

বৃটিশ আমল থেকে চাঁদখালী বনবিভাগীয় সাব ডিভিশন ছিল এবং একজন ম্যাজিষ্ট্রেট এখানে বসতেন এবং ফরেষ্ট রেভিনিউ আদায় এবং সকল বনবিভাগীয় কেস পরিচালনা ও নিষ্পত্তি করতেন। প্রাচীনকাল থেকে এখানে ১৬ বিঘা সরকারী জমির উপর বিশাল গরুর হাট, বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, দাতব্য চিকিৎসালয়, পোষ্ট অফিস, তহসিল অফিস, কমিউনিটি ক্লিনিক অবস্থিত। তাছাড়া আছে চাঁদখাল বহুমূখী হাইস্কুল যেখানে বর্তমান এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। এক সময় চাঁদখালীতে সিল রাজস্ব অফিস ছিল। উক্ত অফিস বন্ধ হওয়ার পর ইতোমধ্যে সরকারি অফিস ভবনটি এক শ্রেনীর স্বার্থান্বেষী মহল গ্রাস করে নিয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, প্রখ্যাত এ হাটে বর্তমানে সরকারী ১১টি চাঁদনী, মহিলা মার্কেট, পাকা রাস্তা, ড্রেন এবং অন্যান্য বেসরকারী অফিসসহ কৃষি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ শাখা আছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রাচীন বড়দল হাট প্রায় বন্ধের উপক্রম ফলে চাঁদখালী হাট বাজারের গুরুত্ব বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ দিনে দিনে চাঁদখালীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর সরকার এ হাট বাজার থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করে থাকেন। দিনে দিনে চাঁদখালী হাট-বাজারের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে এক টুকরো জায়গা পাওয়ার জন্য অবৈধ দখলদার ও প্রভাবশালী মহল তৎপর হয়ে উঠেছে।

সম্মেলনে আরো বলা হয়, তাই সরকারী ১নং খতিয়ান ভুক্ত মূল্যবান সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার জন্য একদিকে জাল, তঞ্চকীপূর্ণ দলিলপত্র ও কাগজ সৃষ্টি করে এবং জবরদখল করে ২৭ ও ৩৫ দাগসহ গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান কয়েকটি স্থানে রাতে ও দিনে তড়িঘড়ি করে স্থায়ী ভাবে পাকা স্থাপনার কাজ শুরু করে, স্থানীয় বাজার কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদ একাজে বাধা প্রদান করলে এসব প্রভাবশালীগণ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসব অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করার পদক্ষেপ গহন করলেও তারা তা মানতে রাজী হয় না।

অতঃপর বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানালে তিনি নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া কথা বলেন। তাররপরও দখলকারীরা কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২৯অক্টোবরের একসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই অবৈধ স্থাপনা প্রতিহত করা ও সরকারের বিভিন্নস্তরে জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং সে মোতাবেক পরিষদের চেয়ারম্যান মুনছুর আলী গাজী ইতোমধ্যে সংশ্লিস্ট দপ্তরে চিঠিপত্র পাঠিয়েছেন। তারপরও দখলবাজরা নিরস্ত হয়নি ফলে চাঁদখালীবাসির পক্ষ থেকে আমরা দখলবাজদের প্রতিহত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি এবং কোটি টাকার সরকারী সম্পদ সুরক্ষার জন্য আইনগত সবকিছু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক অধ্যাপক শেখ দিদারুল আলম, এডভোকেট জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক জুলফিকার আলী, আলম খান প্রমুখ।

পাইকগাছায় রাস্তা ভেঙ্গে নদী গর্ভে

পাইকগাছার পল্লীতে সরকারি রাস্তা কেটে খালের ভিতর বাঁধ তৈরী করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধের কারণে জোয়ারের পানিতে চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে নদী গর্ভে। হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী। ঘটনাটি উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২০ পোল্ডারের জামতলা হতে আলোকদ্বীপ বাজার পর্যন্ত।

প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২০ নং পোল্ডারের অবস্থিত নড়ানদী। উক্ত নদী দিয়ে অত্র এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির পানি সরবরাহ করে। নদী সংলগ্ন রয়েছে কয়েকটি স্লুইচ গেট। গেটের জোয়ার ভাটার পানিও সরবরাহ করে নড়া নদী দিয়ে।

উক্ত নদীর দক্ষিণ সীমানায় রয়েছে জামতলা খাল। খালের পাশ দিয়ে জামতলা হতে আলোকদ্বীপ বাজার হয়ে রাঁধানগরের ভিতর দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। জামতলা হতে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে খালটি মাটি দিয়ে বেঁধে মৎস্য চাষ করছে রাঁধানগর গ্রামের প্রভাবশালী ঘের মালিক বিভূতি বিশ্বাসের পুত্র চম্পক বিশ্বাস। যে কারণে পানি সরবরাহে বাঁধার সৃষ্টি হওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া উক্ত চলাচলের রাস্তা দিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে একটি স্লুইজ গেট নির্মিত হয়। যে গেট দিয়ে চক্রী-বক্রী, দিঘুলিয়া সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা জমির পানি সরবরাহ করত। কিন্তু বর্তমানে উক্ত স্লুইজ গেটটি অকেজো করে তার পার্শ্ববর্তী নদীর উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারের পানিতে রাস্তাটি ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হওয়ায় এলাকাবাসীর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলে যাওয়া আসা বন্ধ রয়েছে শতশত ছাত্র-ছাত্রীদের। আবার সরকারী খালে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সরকারি রাস্তা কেটে স্লুইজ গেট অকেজো করে পানি সরবরাহ বন্ধ করায় এলাকায় দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। একটি পক্ষ জনস্বার্থে অন্যপক্ষ নিজেদের স্বার্থে।

এ ব্যাপারে ঘের মালিক চম্পক বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরকারী খাল নয় রেকর্ডীয় জমির মালিকদের নিকট থেকে ডিড বুনিয়াদে জমির সীমানা দিয়ে ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ পূর্বক মৎস্য চাষ করছি। যার বর্তমান রেকর্ড ও আমার জমির মালিকদের নামে। স্লুইজ গেট অকেজো করে রাস্তা কাটার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এটা চেয়ারম্যান ও প্রজেক্ট কমিটির ব্যাপার।

প্রজেক্ট কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার রায় জানান, পুরানো রাস্তাটি ও স্লুজ গেটটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় আগে ৪০ দিনের কর্মসূচীতে উক্ত রাস্তা কেটে নতুন রাস্তা তৈরী করায় আমি উক্ত রাস্তা সংস্কার করি। জলাবদ্ধতা ও সরকারী রাস্তা কেটে স্লুইজ গেট অকেজো করায় এলাকায় সৃষ্ট দুটি পক্ষের মধ্যে যে কোনো সময় বড় ধরণের সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে এলাকার সচেতনমহল ধারণা করছে।

জীবিকা নির্বাহে সুন্দরবন নির্ভরতা কমছে

আইলার পর বেঁচে থাকাটা যেন ছিল কঠিন। লবনের কারণে কোনও ফসলই হত না জমিতে। আর তাই জীবিকার জন্য বছরে ১১ মাসই সুন্দরবনে থাকতে হত। ছিল জীবনের নানাবিধ ঝুঁকি। সব কিছুকে পাল্টে দিয়েছে চাষাবাদের বহুধারার সংযোজন। একই জমিতে ৩ ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতায় এখন আর সুন্দরবনে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না- কথাগুলো একটানেই বললেন কয়রার উত্তরবেদকাশি গ্রামের আইয়ুব আলী।


তিনি জানান, এখন তার সন্তানেরা স্কুলে যায়। সংসারে নেই কষ্টকর দিনগুলো। আইয়ুব আলীর মত কয়রার আরও ৫শ’ জনগোষ্ঠী এখন বনের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে ফেলেছে। যারা নিজ জমিতে চাষাবাদ করে। এক জমি থেকেই পায় ধান, মাছ ও নানা ধরনের সবজি।

কয়রা সদরের আব্দুর রহমানও সুন্দরবনে যেতেন নিয়মিত। এখন সংসারের ৪জন মিলে ৪ বিঘা জমির নিয়মিত কাজই শেষ করতে পারেন না। সুন্দরবনে যাওয়ার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন না। নিজেরাই বিকল্প কর্মসংস্থান করে ফেলেছেন।

আগে কয়রার ৩ হাজার জনগোষ্ঠী নিয়মিত বনে যেত। সেখানে তারা দীর্ঘদিন অবস্থান করত। আহরিত মাছ, কাকড়া পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠাত। বন বিভাগ ৫০ ভাগ পাশ-পারিমট দেওয়া বন্ধ করায় জেলেরা বিপদে পড়েন। পাশ ছাড়া তারা বনে যেতে আগ্রহ হারান। এ অবস্থায় বিকল্প কর্মসংস্থান করতে থাকেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে ১২টি এনজিওর তৎপরতায় এ সব পথহারা মানুষ নতুন পথের সন্ধান পান। বেঁচে থাকার নতুন অবলম্বন হিসেবে কৃষিকে আকড়ে ধরেন। তারা এখন কম পরিশ্রমেই প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করছেন।

জাগ্রত যুব সংঘ (জেজেএস) নামে একটি এনজিওর পরিবর্তন প্রকল্পের আওতায় এমন ভাগ্য বদলেছে কয়রার সহস্রাধিক লোকের। যাদের একটি বড় অংশই সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। অসহায় ও দরিদ্র মানুষেরা এখন নিজেরাই স্বাবলম্বী।

ইয়াসিন আলী নামে এক কৃষক জানান, তিনি পরিবর্তন প্রকল্প থেকে তিনি ঘের তৈরী, ধান ও সবজি বীজ কেনা এবং মাছের পোনা কেনার জন্য অফেরতযোগ্য অর্থ পেয়েছেন। তাদের শর্ত রয়েছে যে কোনও মূল্যেই হোক এই চাষাবাদ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা। এ কাজের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরছে। সবজি বিক্রির অর্থ দিয়ে সংসারের নিয়মিত খরচ মেটানো যাচ্ছে সহজেই। মাছ ও ধানের অর্থ মজুদ থাকছে। তিনি বলেন, ‘আগে আমন ধান পাওয়া যেত। নতুন প্রক্রিয়ায় চাষ করার ফলে আউশ ধানও কেটেছি। আবার ওই জমিতেই আমন রোপন করবো। ‘

সরেজমিন দেখা গেছে, আগে যেখানে আমন ধানই চাষ করা দুরুহ ছিল, এখন সেই জমিতে আউশ ও বোরো চাষ হচ্ছে। ধানের পাশাপাশি গলদা ও হরিণা চিংড়ি, রুই, কাতলা এবং ঢেড়স, শষা, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা, আখ, কচু শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ হচ্ছে। অনেকেই বাড়ির আঙ্গীনায় নানা ধরনের সবজি চাষ করছেন। আইলা ক্ষতিগ্রস্ত হায়দার শেখ উঠানে সবজি বাগান তৈরী করেছেন। বিভিন্ন প্রকারের সবজি বিক্রির অর্থ দিয়ে সংসারের নিয়মিত খরচ উঠে আসছে। আউশ ধান কাটা শেষে এখন আমন ধান লাগিয়েছেন। শিগগিরই মাছ বিক্রি শুরু হবে।

কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় আবাদযোগ্য ১৫ হাজার হেক্টর জমি আইলার পর লবনাক্ততার কারণে পতিত অবস্থায় ছিল। বর্তমানে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। লবণের কারণে বোরো চাষ কমছে। পাশাপাশি ঘেরের আইলে সবজি চাষ বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।‘

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হাসান বলেন, ‘দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি, বীজ ও সার সরবরাহ, সারের ভর্তুকি প্রদান করাসহ নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়। এ জন্য ১২টি এনজিও‘র সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।‘

কয়রা উপজেলা জাগ্রত যুব সংঘের পরিবর্তন প্রকল্পের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম জানান , প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট ঝুঁকি হ্রাস ও অভিযোজনের লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। দরিদ্র পরিবারকে অর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে ১৭ বিঘা জমিতে ৭টি পাইলট প্রকল্প করছেন। এ প্রকল্পের সফলতা দেখে আরও ১ হাজার ৮২ জন উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তারাও নিজেদের আঙ্গিনাসহ পরিত্যাক্ত জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। ছোট পুকুর কেটে মাছ ছাড়ছেন।

কয়রায় স্টেক হোল্ডার কর্মশালা

কয়রায় ক্রেলের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট প্রধান জলবায়ু আপদ জনগোষ্টির ঝুঁকি ও বিপন্নতার ওপর স্থানীয় স্টেক হোল্ডার দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৩১ আগষ্ট সকাল ১০টায় উপজেলা বিআরডি’র হলরুমে এ কর্মশালায় সিএমসি, পিপলস ফোরাম, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, বন বিভাগের লোকজন অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন বিসিএএস প্রতিনিধি শেখর কান্তি রায়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যন ও সিএমসি কমিটির সভাপতি এসএম শফিকুল ইসলাম, ক্রেলের দাকোপ-কয়রা সাইট অফিসার মোঃ বাবুল ইসলাম, এনআরএম ফ্যাসিলিটর নুর আলম, আছাদুল্লাহ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টারের মাতার মৃত্যু; বিভিন্ন মহলের গভীর শোাক

পাইকগাছা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম নূর আলীর স্ত্রী ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মিথুন মাহফুজের মাতা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা লতিফা খানম রানী (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তিনি গতকাল ৩১ আগষ্ট রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে পাইকগাছা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডস্থ নিজস্ব বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ২ পুত্র ও ২ কন্যা’সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আছরবাদ কলেজ মাঠে জানাযা শেষে সরকারি কবরস্থানে মরহুমার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের প্রভাষিকা হিসেবে পাইকগাছা কলেজে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে অবসরে যান। বর্তমান পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি হওয়ার পূর্বে তিনি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব আকবার হোসেনের শ্বাশুড়ি ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, বিটিভি ও যুগান্তরের খুলনা ব্যুরো প্রধান মকবুল হোসেন মিন্টুর বোন।

মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবার সকালে মরহুমার বাসভবনে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, অবঃ অধ্যাপক রমেন্দ্র নাথ সরকার’সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

মরহুমার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক, বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক ও সাবেক ইউ.এন.ও ড. এএফএম মনজুর কাদির, নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আতিয়ুর রহমান, জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইসরাত জাহান মুন্নি, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন মালা, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, অবঃ অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান ও পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।

পাইকগাছার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা বৈষম্যের শিকার

সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে


বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে ফের চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা’র) প্রায় ২৪ হাজার গ্রাহক। ঘন ঘন ট্রিপ ও দীর্ঘস্থায়ী লোড শেডিংয়ের কারণে সার্বিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, আর যদি সামান্য ঝড়ো হাওয়া হয়েছে তো এক-দু’দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা মেলে না। বিদ্যুতের এ খামখেয়ালীতে গ্রাহকদের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন-ঘন ট্রিপ, লো- ভোল্টেজ ও দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধ্বস নেমেছে তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ এখানকার সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পৌর বাজারের কম্পিউটার কম্পোজ ও ষ্টুডিও ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানে আয় করতে পারছি না। বিদ্যুৎ যখন থাকছে তখন মাঝে মাঝে লো-ভোল্টেজ দেখা দিচ্ছে। বাজারের মোবাইল ফোন মেকানিকরা ক্ষোভের সাথে বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। এই আসে এই যায় অবস্থা। ফলে কোন কাজ ধরে শেষ তুলতে পারছি না।

পৌর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে যেসব ওষুধ ফ্রিজে রাখতে হয় এমন অনেক ওষুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের সামনের প্যাথলজী ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুতের অভাবে রোগীদের পরীক্ষা নীরিক্ষা কার্যক্রম সময়মত করতে পারছিনা। ফলে রোগীদের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। অভিভাবক মহল দুশ্চিস্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে। দিনভর সীমাহীন লোডশেডিং থাকা সত্ত্বেও প্রত্যহ সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।

পাইকগাছায় সার পাচারের দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

পাইকগাছায় সার পাচারের অভিযোগে ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গত শনিবার বিকালে চাঁদখালীর বিসিআইসি ডিলার আল্লার দান ট্রেডার্সের মালিক মোখলেসুর রহমান ৫ বস্তা ইউরিয়া ও ৫ বস্তা পটাশ সার কয়রা উপজেলায় পাচারকালে স্থানীয়রা আটক করে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরকে সংবাদ দেয়।

সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সার ব্যবস্থাপনা আইনে মোখলেসুরকে ৫ হাজার ও তার অপর সহযোগী কয়রা উপজেলার চান্নির চক গ্রামের আব্দুল গাজীর ছেলে মোঃ আশরাফুলকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা’সহ সংশ্লিষ্টরা।

একটি শোক সংবাদ ::

পাইকগাছা কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা লতিফা খানম গতকাল ৩১ আগষ্ট রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে পাইকগাছা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডস্থ নিজস্ব বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও ২ কন্যা’সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্বামী পাইকগাছা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ নূর আলী।

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের প্রভাষিকা হিসেবে পাইকগাছা কলেজে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে অবসরে যান। বর্তমান পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি হওয়ার পূর্বে তিনি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন।

কপিলমুনিতে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ

কপিলমুনিতে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করায় লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে।

জানা যায়, কপিলমুনির শহরতলীর উত্তর সলুয়া গ্রামের বিষ্ণুপদ কর্মকারের সলুয়াস্থ মৎস্য ঘেরে শনিবার রাতে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে। পরদিন সকালে দেখা যায় ঘেরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে পানির উপরে ভেসে উঠেছে।

বিষ্ণুপদ কর্মকার বলেন, আমার ঘেরে শত্রুতামূলকভাবে কে বা কারা বিষ দেয়। এতে মাছ মরে ১ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।