Friday, March 28, 2014

বোয়ালিয়া খেয়াঘাট পারাপারে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার

পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদের বোয়ালিয়া খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালিয়া খেয়াঘাট পারাপারে জোয়ারের সময় তেমন একটা অসুবিধা না হলেও ভাটার সময় নদের তলাদেশে পানি নেমে যায়। 

ছবিটি জোয়ারের সময় তোলা। (ফাইল ফটো)
এ সময় ঘাটের পূর্বপাশে খাড়া ইট বসানো পথে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে উপরে উঠানামা করতে হয়। আর পশ্বিম পাশে প্রায় ২০০ গজ ঘাটের উপর থেকে নদীর ভিতর গিয়ে ট্রলারে উঠে নদী পার হতে হয়। এই ২শ গজের পথে কিছু অংশ ইট বসানো থাকলেও নদীর পলিমাটি পড়ে সব সময় কর্দমাক্ত হয়ে থাকে।

তাছাড়া পশ্বিম পাশ থেকে ট্রলারে উঠার সময় হাঁটু পানিতে নেমে কাঁদা মেখে উঠানামা করতে হয়ে। অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজের আসা-যাওয়া কর্মজীবি ও ছাত্র/ছাত্রীদের জুতা মোজা খুলে খেয়া পারাপার করতে হয়। তবে সব থেকে অসুবিধা ভোগ করছে মহিলা ও বাচ্চারা। তারা এমতাবস্থায় মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হচ্ছে।

পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া খেয়াঘাটের পশ্বিম পাশে রাড়ুলী ইউনিয়ন অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক জনকে অফিস, আদালত, ব্যবসা-বানিজ্য ও স্কুল-কলেজের কাজ’সহ দৈনন্দিন কাজে বোয়ালিয়ার খেয়া পারাপার হতে হয়। তাছাড়া পাইকগাছার সহিত সাতক্ষীরার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ পথে বোয়ালিয়া খেয়া পারাপার এক বড় প্রতিবন্ধকতা।

খেয়া পারাপারের যাত্রী আহম্মদ আলী বাচা, আব্দুল খালেক গাজী, শেখ শাহাবুদ্দীন জানান, প্রতিদিন তাদের বিভিন্ন কাজে পাইকগাছায় আসা যাওয়া পথে বোয়ালিয়া খেয়া পার হওয়ার সময় কাঁদা পানি মেখে ট্রলারে উঠতে হয়। অনেক সময় কাঁদায় পা পিছলে নদের পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের দাবী ভাটার সময় খেয়া ঘাটের ঠিকাদার উঠানামার পথে ইটের উপর কাঁদার প্রলেপ পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে ও আরো কিছু ইট বিছিয়ে দিলে যাত্রীদের কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হবে।

তবে কপোতাক্ষ নদের বোয়ালিয়া খেয়াঘাটের পাশ দিয়ে ব্রীজ নির্মানের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ হলে বোয়ালিয়া খেয়া পারাপারের যাত্রী বিড়ম্বনার অবসান ঘটবে। ব্রীজটি নির্মান কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত খেয়া পারাপারের ঠিকাদার যেন খেয়া পারাপারে উঠা নামার ইট বিছানো পথটি চলাচলের উপযুক্ত রাখে, তার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন খেয়া পারাপারের ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় অনির্বাণের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনির্বাণ লাইব্রেরীর উদ্যোগে পাইকগাছা উপজেলার মামুদকাটী গ্রামে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচী থেকে জনগনের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বুধবার বেলা ১১টায় লাইব্রেরী চত্বরে সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্যদিয়ে চিকিৎসা সেবা কর্মসূচী শুরু হয়। কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গুরুদাশ দেবনাথ'এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর উদ্বোধনী অণুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক যামিনী সরকার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গণেশ ভট্টাচার্য ও সমরেন্দ্র হালদার, ডা. প্রভাত সরকার ও বিশ্বজিৎ মন্ডল, লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজীব গাঙ্গুলী প্রমূখ। কর্মসূচীতে ঢাকা ও খুলনা থেকে যাওয়া ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এলাকার ৫ শতাধিক সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন।

এর আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। সকালে প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয় এলাকার সর্বস্তরের জনগন। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণেল মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শেষ হয়।

সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:

আমরা কি পারি না আমাদের পাইকগাছা পৌরসভাতেও একই সুবিধা চালু করতে ? Voice of Paikgacha'র পক্ষ থেকে পাইকগাছার পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর’এর কাছে এই বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানাই।

 

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করেছে মেহেরপুর পৌরসভা


প্রথমবারের মতো ওয়াই-ফাই ও শব্দ নেটওয়ার্ক চালু করেছে মেহেরপুর পৌরসভা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনের পর থেকে শহরবাসী এই সুবিধা পাচ্ছেন। শব্দ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিনোদন, ধর্মীয় নিদের্শনা ও সেবামূলক বিভিন্ন তথ্য সম্প্রচার করা হবে। এ জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় শব্দযন্ত্র।

পৌর মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ জানিয়েছেন, প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ফ্রি ওয়াই-ফাই পাওয়া যাবে। গড় ইন্টারনেট গতি থাকবে ৫১২ থেকে এক এমবিপিএস। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সকাল সাড়ে ৭টায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ জানান, ইন্টারনেটমুখী নতুন প্রজন্মকে কাজে লাগাতে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। এতে আউট সোর্সিংয়ের কাজ বৃদ্ধি পাবে। ছেলেমেয়েরা আয়ের পাশাপাশি নিজেদের তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া শব্দ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নাগরিকরা আযান, বিনোদনের জন্য রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি এবং মুক্তিযুদ্ধ ও দেশাত্ববোধক গানসহ পৌরসভার বিভিন্ন তথ্য শুনতে পাবেন। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে এই সুবিধা চালু করা হয়েছে বলে জানান মেয়র মুতাছিম।

বাতিখালী মন্দিরে ১৬ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু

বিশ্ব শান্তি ও সর্বজীবনের মঙ্গল কামনায় বাতিখালী, সরল, শিববাটী পূর্বপাড়া ও পাইকগাছা বাজার সার্বজনীন পূজা মন্দিরের যৌথ উদ্যোগে বাতিখালী হরিতলা সার্বজনীন পূজা মন্দির প্রাঙ্গনে ১৬ প্রহরব্যাপী ১১তম শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

১২ই চৈত্র ১৪২০ বঙ্গাব্দ, ২৭শে মার্চ ২০১৪ ইং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৬ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানের শুভ অধিবাস ও মঙ্গলঘট স্থাপিত হয়। এতে অত্র এলাকাসহ দুরদুরন্ত থেকে সনাতন হিন্দু ধর্মের ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ যজ্ঞানুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

যজ্ঞানুষ্ঠানে মহানাম পরিবেশন করবেন, নিত্যানন্দ সম্প্রদায়, খুলনা; গৌরসুন্দর সম্প্রদায়, খুলনা; লক্ষ্মী্প্রিয় সম্প্রদায়, খুলনা; মাতৃমন্দির সম্প্রদায়, খুলনা; আদি গৌরঙ্গ সম্প্রদায় যশোর; আদি রামকৃষ্ণ সম্প্রদায়, বাগেরহাট।

কপিলমুনিতে সেই ২ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

কপিলমুনিতে বারুণী মেলার মাঠে তুচ্ছ ঘটনায় এক যুবককে নির্মম মারপিটের ঘটনায় জড়িত সেই ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হলেন, কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য আহসান হাবিব (৫৭৭) ও রফিক (১১৭৬)।

উল্লেখ্য, কপিলমুনি মহা বারুণী মেলার সার্কাস প্যান্ডেলের মাঠে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোলযোগ বাধে। এসময় পাশে অবস্থানরত তোফাজ্জেল সরদার (৩৩) গোলযোগ ঠেকাতে যায়।

এ সময় কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য আহসান হাবিব ও রফিক ঘটনাস্থলে পৌছে তোফাজ্জেলকে বেদম পেটাতে শুরু করেন। পুলিশের ধারণা তোফাজ্জেল সেখানে গোলযোগ করছিল। পরে পুলিশ তোফাজ্জেলকে ফাঁড়ীতে নিয়ে যায়।

কপিলমুনিতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও আলোচনা সভা

কপিলমুনি সম্মিলিত স্বাধীনতা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে কপিলমুনি কলেজের সার্বিক ব্যাপস্থাপনায় এক র‌্যালী ও আলোচনা সভা বুধবার কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পস থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে কপিলমুনি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয় এবং বেলা ১১টায় দেশব্যাপী সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিনবেশনায় অংশগ্রহন করেন। 

কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা বিদ্যালয়, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ, ৮নং কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাফর আওলিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও বিনোদ বিহারী শিশু বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী'সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য এ্যাড. বিপ্লব কান্তি মন্ডল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সহর আলী গাজী, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এ্যন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক হরে কৃঞ্চ দাশ, কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সরদার ফারুক হোসেন, শিক্ষক হাসানুজ্জামান, সহকারি অধ্যাপক বিশ্বনাথ ভট্রাচার্য, সিনিয়র প্রভাষক আব্দুস সামাদ, শেখ আহম্মদ আলী প্রমূখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আফসার আলী। সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বাংলা বিভাগের প্রভাষক শফিউল আলম ও দর্শন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বিমানবিহারি গোলদার।