আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমান প্রায় ৭ লাখ !
পাইকগাছা উপজেলা খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল-গম সংগ্রহ করা হয়েছে বলে
অভিযোগ উঠেছে। সামান্য কিছু ভালো মানের চাল-গমের বস্তার আড়ালে গুদামজাত করা
হয়েছে এসব নিম্নমানের চাল-গম।
সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে
টিআর/কাবিখা প্রকল্পের আওতায় পাইকগাছা উপজেলায় চাল ১৫৫ টন ও ৮৬ টন গম
সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ হয়। উপজেলার ৭ জন মিল মালিক উক্ত ১৫৫ টন চাল সরবরাহের
জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় এবং প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত ৮৬ টন গম
সংগ্রহের কথা। সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় চাল প্রতি কেজি ৩২ টাকা আর
গম প্রতি কেজি ২৮ টাকা।
![]() |
ছবি :: ফাইল ফটো |
তবে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ কামরুল
ইসলাম ও চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা পুরানো চাল কমদামে সংগ্রহ করে ওই চাল
আঠারমাইল-যাতপুর এলাকার প্রসেসিং মিলে নিয়ে মিলিং করে পাইকগাছা উপজেলা
খাদ্যগুদামে রাখেন। এদিকে একই সময়ে এলাকায় মাইকিং করে প্রকৃত কৃষকদের কাছ
থেকে বরাদ্দকৃত ৮৬ টন গম সংগ্রহের কথা থাকলেও স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের
কাছ থেকে বেশিরভাগ নিম্নমানের পুরানো গম সংগ্রহ করা হয়েছে।
অভিযোগে
জানা যায়, প্রতি কেজি চাল ৩২ টাকার স্থলে ৪ টাকা কমে ২৮ টাকায় ক্রয় করা হলে
১৫৫ টনে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়া উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ
কামরুল ইসলাম প্রতি টনে ৫০০ টাকা করে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নিম্নমানের চাল-গমের বস্তাগুলো কিছু ভালো মানের
চাল-গমের বস্তা দিয়ে আড়াল করে রাখা হয়েছে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করা হলে
বিষয়টি ধরা পড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য গুদামের এক কর্মচারী বলেন,
খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা অফিস স্টাফদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম তার
বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাদ্য বিভাগে এত বড় দুর্নীতি
করার সুযোগ আছে বলে আমার জানা নেই।
--এম, আর মন্টু, পাইকগাছা।