Thursday, September 25, 2014

সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক ভূমিকা ও মফস্বল সাংবাদিকদের প্রত্যাশা

এক সময় সংবাদপত্রের প্রয়োজনীয়তা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে দেশের সকল মানুষের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। স্বাধীনতা পরবর্তী গত ৪৪ বছরে সংবাদ মাধ্যমে ঘটেছে ব্যাপক সম্প্রসারণ।

প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্য নতুন চ্যানেল, সংবাদপত্র ও অনলাইনের সংখ্যা। প্রায় অর্ধশত বছর আগে ভূমিষ্ট হওয়া স্বাধীন দেশের সংবাদ মাধ্যম পরিণত হয়েছে গণমাধ্যমে। অবাধ তথ্য সরবরাহ, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখা, মানবাধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করা, কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার মাধ্যমে স্থান করে নিয়েছে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে। যদিও চলার পথটি সব সময় সুগম ছিল না। মাঝে মধ্যে অগণতান্ত্রিক সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপে হোচট খেতে হয়েছে গণমাধ্যমের।

নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যাদের সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে তারাই আজ অনেকটাই উপেক্ষিত। অর্থাৎ গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। বিশেষ করে, মফস্বল সাংবাদিকরা।

শহর কেন্দ্রিক সাংবাদিকদের কিছুটা সুযোগ সুবিধা থাকলেও মফস্বল সাংবাদিকরা না পায় বেতনভাতা, না পায় কোন সুযোগ সুবিধা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয় দেশের মফস্বল সাংবাদিকদের। সুবিধাবঞ্চিত এসব সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রয়োজন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক মনোভাব। গণমাধ্যম নিয়ে সরকারের মনোভাব যাই হোক সাংবাদিকদের কল্যাণে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটাই সাংবাদিক বান্ধব। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬ বছরে তিনি ২৮ হাজার ৬শ ১৯জন দুঃস্থ ও অসহায় সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ১ হাজার ৭৯৯ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন।

তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর দশম জাতীয় সংসদের ৩য় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সালে ২ হাজার ৪৭১ জন সাংবাদিককে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার ২২৮ টাকা, ২০১০ সালে ৩ হাজার ৬৪৫জনকে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৪ টাকা, ২০১১ সালে ৩ হাজার ৩৩২ জনকে ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯০ টাকা, ২০১২ সালে ৩ হাজার ৩০৯ জনকে ১৯ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার ৯৪৫ টাকা, ২০১৩ সালে ১০ হাজার ৪৩৭ জনকে ৯৫ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯০ টাকা এবং ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার ৪২৫ জন ইলেকট্রিক, প্রিন্ট ও অনলাইনের দুঃস্থ ও অসহায় সাংবাদিককে দেয়া হয় ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৪২২ টাকা। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তথ্যবহুল এ খবরটি পরের দিন অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। সংবাদটি পড়ে গত প্রায় ৬ বছরে সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের পরিসংখ্যানটি জানতে পারলাম।

সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসিত। পেশা একজন সাংবাদিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি সহায়তার ক্ষেত্রে মফস্বল সাংবাদিকদের অধিক গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানাই। ভবিষ্যতে সুবিধাবঞ্চিত সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা অব্যাহত থাকবে সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনটাই প্রত্যাশা সাংবাদিক সমাজের।

----মোঃ আব্দুল আজিজ

পাতড়াবুনিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পাইকগাছার পাতড়াবুনিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভর্ণিং বডির সদস্যগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার গড়ইখালীস্থ পাতড়াবুনিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার একাডেমিক ভবন নিজ বাসা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। মাদরাসার ছাত্র/ছাত্রীদের মান-সম্মত শিক্ষা না দিয়ে খামখেয়ালীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করছেন। ২০০৫ সালের পর থেকে তিনি আয়-ব্যয়ের হিসাব দেননি।

সুপার পদে বেতন ভাতা উত্তোলন করে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন, কমিটির সদস্যগণকে না জানিয়ে গোপন রেজুলেশনের মাধ্যমে মাদরাসা পরিচালনা করাসহ তিনি শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে অধ্যক্ষকে পাওয়া যায়নি।

কপিলমুনিতে এক প্রতারক আটক; অতঃপর মুক্ত

কপিলমুনির মামুদকাটীতে এক প্রতারককে স্থানীয় জনতা ধরে পুলিশে দেয়। অতপর স্থানীয় ফাড়ী পুলিশ তাকে মুক্তি দিয়েছে। জানা যায়, কপিলমুনির পাশ্ববর্তী মামুদকাটী গ্রামের অরুন বিশ্বাসের ছেলে দীপংকর বিশ্বাস (৪০) মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু দিন পূর্বে দীপংকরের পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য কলকাতায় পাঠায়। এ সময় রোগীর সাথে একই গ্রামের মুকুন্দ দত্তকে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে পাঠানো হয়।

রোগীর ভাই উত্তম জানান, চিকিৎসা খরচ বাবদ ৮ লক্ষ টাকা দিলেও আমার দাদা কে সে উন্নত চিকিৎসা দেয়নি, এবং সে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে বাড়ীতে ফিরিয়ে আনায় দাদা (দীপংকর) মারা যান। এদিকে এ ঘটনায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন মামুদকাটী বাজারে মুকুন্দকে পেয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলে।

খবর পেয়ে হরিঢালী ফাঁড়ী পুলিশ ওই স্থান থেকে মুকুন্দকে উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়ীতে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। উল্লেখ্য, মুকুন্দ মামুদকাটী গ্রামের মৃতঃ অনাথ দত্তের ছেলে।

এ ব্যাপারে হরিঢালী পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ বজলুর রহমান বলেন, আমি প্রশাসনিক কাজে বাইরে আছি; তবে সম্ভাবত মামুদকাটীর ইউপি মেম্বরের জিম্মায় মুকুন্দকে ছাড়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।

মামুদকাটী ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বর কুমারেশ দে জানান, পুলিশ মুকুন্দকে তার ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।