Monday, February 10, 2014

মহাসড়ক থেকে নছিমন-করিমন প্রত্যাহারে হাইকোর্টের নির্দেশ

খুলনা বিভাগের দশটি জেলার মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন ও ভটভটি সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করতে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বিবাদীদের বলা হয়েছে।

জেলাগুলো হলো যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা ও বাগেরহাট।

সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গনি সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশের পাশাপাশি রুল দেন।

গত ১৫ নভেম্বর ‘মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ অবৈধ যান নছিমন, করিমন, ভটভটি’ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ‘বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬, আহত ৫৭’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে দুটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ দুটি প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একজন আইনজীবী রিট আবেদনটি করেন।

আদালতে রিটের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

রুলে মহাসড়কে যান চলাচলে মোটরযান অধ্যাদেশ অনুসরণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ওই সব যানবাহন চলাচল বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর পুলিশ সুপারসহ ১৬ বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পাইকগাছায় অন্ত্যজ জনগোষ্ঠির অধিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় অন্ত্যজ (দলিত) জনগোষ্ঠির অধিকার, সংস্কার ও বাস্তবতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভূমিজ ফাউন্ডেশন, তালার উদ্যোগে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা অন্ত্যজ পরিষদের সভাপতি কুসুম রানী সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন। 

সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন ভূমিজ ফাউন্ডেশন তালার প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল্লাহেল হাদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল।

বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট বিপ্লব কান্তি মন্ডল, অধ্যাপক রেজাউল করিম, শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল, সাংবাদিক এস.এম আলাউদ্দীন সোহাগ, হাফিজুর রহমান রিন্টু, আব্দুল আজিজ, প্রকাশ ঘোষ বিধান, প্রভাষক মঈনুল ইসলাম, প্রভাষক মোমিন উদ্দীন, উদয় শংকর রায়, পারুল রানী মন্ডল, সীমা দাস, আন্দ্রিয় ডি রোজারিও ও রানী বেগম।

পৌরসভার বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় বিদ্যুতায়নের ঘোষনা

ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা পৌরসভার বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় বিদ্যুতায়নের ঘোষনা দিয়েছেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শহিদুজ্জামান আশ্বাস দেয়ার এক সপ্তাহ পর সোমবার দিনভর পেীর এলাকায় মাইকিং করে এ ঘোষনা দেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

সূত্র মতে, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রয়ারী উপজেলা সদরসহ গদাইপুর ইউনিয়নের ২.৫২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা হিসেবে গঠিত হয় পাইকগাছা পৌরসভা। ঐতিহ্যবাহী এ পৌরসভা দীর্ঘ দিন ‘গ’ শ্রেণীতে সিমাবদ্ধ থাকা এবং দক্ষ জনপ্রতিনিধির অভাবে প্রায় দেড় যুগ ধরে নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় পৌরবাসীকে।

ইতোমধ্যে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের নেতৃর্ত্বে বর্তমান পরিষদ ক্ষমতা গ্রহনের পর হতে গত দু’বছরে অবহেলিত পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীতকরনসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হলেও বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসিনতা ও সিমাবদ্ধতার কারনে অন্ধকারাছন্ন থেকে গেছে পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা।

১ ও ২নং ওয়ার্ডের গোপালপুর, ৩নং ওয়ার্ডের বান্দিকাটি/ সরল, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের সরল, ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের বাতিখালী ও ৯ নং ওযার্ডের শিববাটীসহ অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি। ফলে পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও দীর্ঘ দিন বিদ্যুতের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। বান্দিকাটি গ্রামের কওছার আলী গোলদার জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কার্যক্রম।

এদিকে গত ৩ ফেব্রয়ারী পৌরসভার ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পৌরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শহিদুজ্জামান পৌরসভার বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় বিদ্যুতায়নের আশ্বাস দেন।

পল্লী বিদ্যুতের এ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি সেসব এলাকায় বিদ্যুতায়নের প্রস্তুতি নিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য সোমবার দিনভর মাইকিং করে পৌরবাসীকে অবহিত করা হয়।

এ ব্যাপারে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, গত দু’ বছরে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুতের পোল স্থাপন করা হলেও এখনও অনেক এলাকায় বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি। এ ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ৬ কিলোমিটার এলাকায় ১৫০টি বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। পরিকল্পনাটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন পৌরবাসী।

অবশেষে ঢাকাগামী পরিবহন সরাসরি পাইকগাছায় চলাচল শুরু করেছে

অবশেষে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবহনগুলো সরাসরি পাইকগাছা পৌছে এবং যথারীতি পাইকগাছা কাউন্টার থেকেই ঢাকায় আসা-যাওয়া করছে।

জানা যায়, রাস্তা ভাঙ্গার অযুহাতে ঢাকা-পাইকগাছায় চলাচলরত পরিবহনগুলো বিগত চার মাস যাবৎ পাইকগাছায় না পৌছে তালা পর্যন্ত চলাচল করছিল। খুলনা- পাইকগাছা সড়কের আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার কারণে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো ঢাকা-তালা চলাচল শুরু করে।

ফলে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন পাইকগাছা-কয়রার হাজার হাজার যাত্রীরা। ঢাকা থেকে এসে তালায় নেমে পাইকগাছায় আসতে বা পাইকগাছা থেকে তালায় গিয়ে ঢাকার গাড়িতে উঠতে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে এতদিন কেউ জোরালোভাবে মুখ না খুললেও যাত্রীসাধারণের এই দুর্ভোগের কথা একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে
Voice of Paikgacha‘য়।

পাইকগাছায় বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণের অভাবে জনভোগান্তি বেড়েই চলেছে

পাইকগাছায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান সড়কটি বাসমালিকরা টার্মিনাল হিসাবে ব্যবহার করায় প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ও জনভোগান্তি বেড়েই চলেছে। টার্মিনাল না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে বাস মালিকরা জানিয়েছেন।

সূত্রমতে, উপজেলার পাইকগাছা- খুলনা রুটে ১২৪, কয়রা রুটে ৪৪, বেতবুনিয়া রুটে ৩০ এবং অমিট ১২৪ সহ খুলনা বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির ৩২২টি মিনিবাস রয়েছে। বাসগুলো পার্কিং করার জন্য নেই তেমন কোন টার্মিনাল।

তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. সম. বাবর আলী ১৯৮৬-৮৭ সালের দিকে উপজেলা পরিষদের পাশেই দেড় বিঘা জায়গার উপর বাসস্টান্ড তৈরী করেন। গত প্রায় ৩ দশকে অসংখ্য গাড়ী বৃদ্ধি পেলেও টার্মিনাল কিংবা স্ট্যান্ডের জায়গা সম্প্রসারণ করা হয়নি।

ফলে বাস মালিক ও শ্রমিকরা টেলিফোন অফিস হতে আসিফ ফিলিং স্টেশন (তেল পাম্প) পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার প্রধান সড়কের অর্ধেক জায়গা জুড়ে সারিবদ্ধভাবে টার্মিনাল হিসাবে ব্যবহার করায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পেতে হয়। পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহন অতিক্রম করার সময় হয় খাদে পড়ে যায়, না হয় দূর্ঘটনার শিকার হয়।

জন ভোগান্তির কথা জেনেও জায়গা স্বল্পতার কারনে অনেকটা বাধ্য হয়ে সড়কের উপর বাস রাখতে হচ্ছে বলে বাসমালিক সমিতির লাইন সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম জানান। বিষয়টি বারবার মেয়র এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত এমনকি মাসিক আইনশৃংঙ্খলা সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নে কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে তিনি জানান।

বিকল্প একটি টার্মিনাল স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান।