Sunday, July 5, 2015

পাইকগাছায় ৩ দিনে নারী ও শিশুসহ ৯ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা

জীবন কি এতই মূল্যহীন ????


পাইকগাছায় বিষ ও বিষ জাতীয় দ্রব্য পান করে ৩ দিনে নারী ও শিশুসহ ৯ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। অসুস্থ্য একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর কয়েকজন পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা গেছে, পারিবারিক কলহ ও পরিবারের উপর অভিমান করে গত শনিবার পাইকগাছা উপজেলার দেবদুয়ার গ্রামের সালাম গাজীর শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন (১৬), লস্কর গ্রামের আতিয়ার গাজীর মেয়ে খুশি (১৪), ঘোষাল গ্রামের দিলিপ কুমারের স্ত্রী বন্দনা সরকার (২০), ফতেপুর গ্রামের মতলেব মোড়লের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬৫) ও গোপালপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী ঝুমুর বেগম (১৮) আত্মহত্যার চেষ্টা করে। 

এর আগে শুক্রবার চাঁদখালী গ্রামের সালাম গাজীর ছেলে আরিফ গাজী (২৫), বৃহস্পতিবার শ্যামনগর গ্রামের ইয়াছিন মোড়লের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (১৯) ও বুধবার শ্রীধরপুর গ্রামের ফারুক হাসানের ছেলে সাঊদ হাসান (৩৪), বান্দিকাটি গ্রামের কওসার গাজীর মেয়ে সোনিয়া (১৮) বিষ ও বিষ জাতীয় দ্রব্য পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরে তাদেরকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি করলে আশংকাজনক আরিফ গাজীকে খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে চিকিৎসাধীন সকলে আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার আবাসিক মেডিকেল অফিসার সিকদার সফিকুল ইসলাম। 

আত্মহত্যা কোন প্রতিবাদ নয়, অপরাধ 

আত্মহত্যা মহাপাপ, একই সাথে কাপুরুষত্বের বহিঃপ্রকাশ

পাইকগাছা কলেজে ২০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি

পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজটি ১৯৬৭ সালে ৫.৩৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আজ দক্ষিণ খুলনার শিক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছে। 

এইচ,এস,সি, এইচ,এসসি(বিএম) স্নাতক(বিএ,বিএসসি,বিকম) স্নাতক(সম্মান) বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, সমাজকর্ম, বিষয় চালু আছে। চালুর অপেক্ষায় আছে সমাজকল্যাণ, ইসলামিক স্টাডিজ,হিসাববিজ্ঞান,ভুগোল, ইতিহাস এবং এ বছরই কেন্দ্রের অনুমতি পেয়ে অনার্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। শিক্ষক ৬৪ জন এবং কর্মচারী ১৩ জন। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের বহর অবকাঠামো গত স্থান কলেজ প্রাঙ্গন, ভবন, ক্লাশ রুম সংকট কখনো কাটেনি বলে জানা গেছে।

৮০ দশকে ১০ কক্ষ্যে বিশিষ্ঠ ২ তলা কলা ভবন নির্মান হয়েছিল। বর্তমানে এই ভবনটি ছাদ ফেটে বড় বড় খাদ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ২ তলায় কোন শিক্ষক শিক্ষার্থী ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করতে চাযbনা। ১৯৯৫ সালে নির্মিত হয় ৩ তলা বিশিষ্ট ১২টি রুমের বিজ্ঞান ভবন। কলেজের একাডেমিক কাজের পরিধির উপর ভিত্তি করে সেই বিজ্ঞান ভবন এখন একাডেমিক ভবনের শুন্যতা পূরণ করে আসছে। 


তারপর থেকে বিএনপি, বর্তমান ক্ষমতাসীন আ‘লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উপজেলার শহীদ আয়ুব ও মুসা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে ও খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজ, জায়গীরমহল কলেজে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২টি আই,সি টি ভবন, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয় ও হরিঢালী কপিলমুনি কলেজে মোটা টাকার বিসিসি কম্পিউটার ল্যাব এর জন্য এবং চাঁদখালী কলেজে ও হরিঢালী কপিলমুনি মহিলা কলেজে নতুন ভবন হয়েছে। 

পাইকগাছার সচেতন মহল ও অনেক শিক্ষক মন্ডলীর মন্তব্য ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজ নামেই থেকে গেল, উন্নয়ন ও শিক্ষক নিয়োগে অবকাঠামো ও সরকারি অনুদানের প্রাপ্তি শূন্যের কোঠায়।

পদাধিকার বলে সংসদ সদস্যরাই থাকেন সভাপতি তবে বরাদ্ধ বা অনুদান এর ক্ষেত্রে অনেক প্রতিশ্রুতির পরও সবসময় পাইকগাছা কলেজ বঞ্চিত। সকল অভাব পুরণ করে যাতে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে এবং মডেল কলেজে পরিণত হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষানুরাগীরা।

পাইকগাছা-কপিলমুনি সড়কের সংস্কার কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন

আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে চিরচেনা দুঃখ !


পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি এই প্রায় ১৫-১৬ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন করায় ইতিমধ্যে একাধিক স্থানে ভেঙে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ভেঙেচুরে ফের যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়বে এমনই আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাত্র মাস ২ আগেই অত্র সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই সময় পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ জোড়াতালি দিয়ে চলছে বলে ভয়েস অফ পাইকগাছায় সংবাদ প্রকাশ হলেও সেদিকে কর্ণপাত করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। 

এই ১৬ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে অসংখ্য জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আগড়ঘাটা বাজার এলাকায় বিশাল গর্তে বর্ষার পানি জমে হাটু পানি হতে শুরু করেছে। ভারী ও টানা বর্ষার কবলে পড়ে রাস্তাটি একেবারে যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়বে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এদিকে অত্র সড়কের বড় শত্রু ‘দশ চাকার’ ভারী ট্রাকগুলো চলাচল আজও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। প্রায়ই পাইকগাছা-কয়রায় বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজের জন্য ৩০ থেকে ৪০ টনের দশ চাকার পাথরবাহী ভারী ট্রাক আসা-যাওয়া করছে অনায়াসে। 

অথচ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্র মতে, অত্র সড়কের আঠারমাইলের পর থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ টন মালামালবাহী ট্রাক চলাচলযোগ্য। সেখানে তিন গুনেরও অনেক বেশি ভারী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অত্র সড়কে দশ চাকার ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় বিষ্মিত হয়েছেন সচেতর মহল। 

খুলনা-পাইকগাছা সড়কের কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত সড়ক ফের সংস্কার ও দশ চাকার ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার; ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

তরুনীদের পোশাক ভাবনায় ভারতীয় আগ্রাসন; পছন্দ কিরণমালা থ্রি পিচ !


পাইকগাছায় জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদ বাজার। ঈদকে সামনে রেখে ছিট কাপড় ও পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনা কাটা। ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু, তরুনী ও নারী। এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দের তালিকা প্রধান্য পেয়েছে কিরণমালা ও ফ্লোরটার্চ থ্রি পিচ। 

এদিকে ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্নে করতে পৌর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে ওসি মোঃ আশরাফ হোসেন জানান। 

পবিত্র ঈদুল ফিতরের এখনও প্রায় দু’সপ্তাহ বাকী রয়েছে। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় কেনাটা সেরে নিচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু, তরুনী ও নারীরা তাদের পোশাক-আশাক আগে ভাগেই কিনতে শুরু করে দিয়েছেন। এ জন্য ছিট কাপড় ও পোশাকের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় জমজমাট হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ বিপনী বিতানগুলো।

বিসমিল্লাহ গার্মেন্টের মালিক শফিয়ার রহমান জানান, এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দের পোশাক হিসেবে কিরণমালা ও ফ্লোরটার্চ থ্রি পিচ বেশি প্রধান্য পেয়েছে। শ্রেণীভেদে ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এ পোশাকগুলো।

এ বারের ঈদে ছেলের জন্য জামাপ্যান্ট কিনেছেন বলে জানান গৃহবধু মুন্নি বেগম। তৈরী করতে সময় লাগে এ জন্য আগে ভাগেই সুতী কাঁথানের থ্রি-পিচ কিনেছেন বলে জানান, তরুনী লিমা খাতুন। ঈদের শেষের দিকে কেনাকাটায় আরো বেশি প্রভাব পড়বে বলে ফজলু ক্লথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ ফজলু জানান।