Tuesday, November 5, 2013

কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

পাইকগাছায় ঝুকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙ্গে কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জোয়ারের সময় বাঁধ ভেঙ্গে গেলে রাড়ুলী গ্রামের মালোপাড়া, নাথপাড়া, বারুইপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়।

এতে পানের বরজসহ কৃষি ফসলাদির ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অমাবশ্যার প্রভাবে নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার দুপুরে জোয়ারের সময় উপজেলার রাড়ুলীস্থ বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী পিসি রায়ের বসত বাড়ী সংলগ্ন জরাজীর্ণ বাঁধ ভেঙ্গে গেলে কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। পর পর কয়েকটি জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে রাড়ুলী গ্রামের মালোপাড়া, নাথপাড়া, বারুইপাড়া ও ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরসহ কয়েকটি স্থান তলিয়ে যায়। এতে পানের বরজের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন দাশ জানান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুল জোয়াদ্দার জানান, বাঁধের দুটি স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় জোয়ারের সময় পানি প্রবেশ করে এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোমিনুর রশীদ জানান।

কপিলমুনিতে হরতাল চলাকালে আটক ২

১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার কপিলমুনিতে হরতাল চলাকালে সবুজ (২২) ও অনিক (২৫) নামের ২জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সকালে পিকেটিংয়ের প্রস্তুতিকালে কপিলমুনির কলেজ মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে। আটক দু’ব্যাক্তিকে থানায় নেয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে। এ বিষয় কপিলমুনি ফাঁড়ির দারোগা এস আই আব্বাস জানান, আটক দু’ব্যাক্তিকে থানায় নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে হরতালে নাশকতা এড়াতে বাজারের সবখানে পুলিশি টহল ছিল জোরদার। দোকানপাট খোলা থাকলেও বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।

আজ হিজরী নববর্ষ ১৪৩৫

Voice of Paikgacha’র পক্ষ থেকে সবাইকে হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা ! স্বাগতম ১৪৩৫ হিজরী !


৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখ সোমবার মাগরিব নামাজের পর সারা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই হিজরী বছরের নতুন দিন শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখ হতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ১৪৩৪ হিজরী বছর গণণা করা হবে বা ৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখ মঙ্গলবার হলো ১ লা মহহরম ১৪৩৫ হিজরী।

হিজরী নববর্ষের গুরত্ব ও করণীয়:

হিজরী সন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ত্যাগ এর ঐতিহাসিক স্মারক। হিজরী সন আমাদের মনে করিয়ে দেয় কিভাবে অবিশ্বাসীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পৃথিবী হতে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তিনি আজো জাগরূক হয়ে আছেন মুসলিম বিশ্বে।

হিজরী সনের গুরুত্ব: তফসীরে কবীর ১৬ তম ভাগ ৫৩ পৃষ্ঠায় ইমাম রাজী (রহ.) কুরআন – হাদিস সূক্ষাতিসূক্ষভাবে গবেষণা করে বলেছেন যে, মুসলিমরা তাদের যাবতীয় কাজ করবে হিজরী সন দিয়ে।

কিছু ক্ষেত্র হিজরী সন, যেমন : রোযা, ফিৎরা, ঈদ, হজ্ব, যাকাত এবং কিছু ক্ষেত্রে, যেমন : ব্যবসা – বাণিজ্য ,ব্লগ সাইটে তারিখ লেখা, রাজনৈতিক কাজে, আইন – আদালতে,আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে, মহাকাশ গবেষণায়, যে কোন দিবস পালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাফের ও মুশরিকদের সন গ্রহণ করা আল্লাহর কাছে অগ্রহণযোগ্য। কারণ হিজরী সন মুসলিম জাতির ক্যালেন্ডার। তাফসীর গ্রন্হগুলো আমাদের তাই বলে থাকে।

হিজরী নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমাদের করণীয়:

১. আত্মসমালোচনা করা: একটি বৎসরের বিদায় নিল আর নতুন আরেকটি বৎসরের আগমনের মধ্যে রয়েছে চিন্তা ভাবনার খোরাক। আত্মসমালোচনা করে দেখতে হবে, কেমন ছিল গত বৎসরে আমার আমলনামা। কী পরিমান বরকতময় আমলসমূহ করেছি তা হিসাব করতে হবে। কম হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

২. আগামী বছরে কী করা হবে তার পরিকল্পনা নেওয়া:
ক) বরকতময় আমলসমূহ করার জন্য সময় ভাগ করে নিতে হবে।

খ) নিজের পেশাগত জীবনকে উন্নত করার জন্য পরিকল্পনা সাজাতে হবে। যেমন : ডাক্তার হতে আগ্রহী কলেজ ১ম বর্ষের ছাত্রের মেডিক্যাল ভর্তি গাইড এক বছরে বুঝে মুখস্হ করা এবং সব পরীক্ষায় ১ম হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা। এপদ্ধতিটাই ডাক্তার হওয়ার জন্য ইসলামের দৃষ্টিতে যথাযথ প্রথম পদক্ষেপ। গতানুগতিক পদ্ধতি হলো : ইন্টার পরীক্ষা শেষ, তাবলীগে এক চিল্লা দাও , কিছু দিন ঘুরো , তারপর কোচিং সেন্টারে দৌড়াও। এপদ্ধতিতে সফলতার হার ১০ % মাত্র।

গ) আখেরাতের জন্য ভাল লোকদের খুজে বের করা : বিভিন্ন সাইট, প্রতিষ্ঠান ও নিজের পরিবেশ হতে ভাল লোকদের খুজে বের করতে হবে যারা বরকতময় আমলসমূহ করতে সাহায্য করবে , মারা গেলে দু,আ করবে এবং ইসলাম প্রচার ও প্রসারে সাহায্য করবে। এরাই মূলত বন্ধু।

ঘ) আয় বর্ধক কাজের পরিকল্পনা নেওয়া : কলেজ ১ম বর্ষের ছাত্রটার উচিত হবে বা – মার উপর নির্ভর না থেকে আয় বর্ধক কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া। যেমন : টিউশনি , ছাগল পালন, বাড়ির ছাদে গোলাপ ফুল চাষ , আউট সোর্সিং।

ঙ) বিভিন্ন ভাষায় দক্ষতা অর্জন : আরবী ভাষাসহ নূন্যতম অপর একটি ভাষা শিখার পরিকল্পনা নিতে হবে। কারণ মুসলিম জাতির সদস্যদের একক ভাষা আরবী এবং তারা চার হাজারেরও অধীক ভাষায় কথা বলে। মুসলিম জাতির সদস্যরা জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান। এক্ষেত্রে আরবীর পাশাপাশি রাশিয়ান, ফ্রান্স, চীনা ইত্যাদির কোন একটা শিখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হবে।

চ) সামাজিক কাজ করার পরিকল্পনা নিতে হবে : পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, মসজিদের জন্য ভাল হুজুর সংগ্রহ ,স্বাক্ষরতা অভিজান চালানো, কুরআন শেখার কোর্স পরিচালনা করা এবং আকাশ চেনা – গাছ চেনা – সাতার শেখার কাজের পরিকল্পনা নিতে হবে।

ছ) মহররম মাসের ৯,১০,১১ তারিখ রোজা রাখতে হবে। এভাবে প্রতি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ রোজা রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে হবে। এসব আমল হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

শিক্ষণীয় দিক ও করণীয়: আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করেছেন যাতে আমরা তার পথে দাবিত হই। হযরত মূসা (আ) ও ফেরাউনের ঘটনা। সেখানে ইসলাম বিজয়ী হয়েছ ।এ ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটেছিল পবিত্র মহররম মাসের ১০ তারিখে। এদিনকে বলা হয় আশুরা।

ইসলাম ও কুফরের দ্বন্দ্ব ও সংঘাতে মুমিনের মনে আশুরার শিক্ষা সর্বদা অনুপ্রেরণার সঞ্চার করে, মিথ্যা যতই শক্তির অধিকারী হোক না কেন তার পতন অনিবার্য। আল্লাহর সাহায্যে মুমিনদের বিজয় আসে। মিথ্যা যতই শক্তির অধিকারী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।

আশুরা অর্থাৎ মহররম মাসের দশম দিবস এ কারণেই এত ফযীলতের। ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা) মদীনা শরীফে হিজরত করে আসার পর দেখতে পেলেন, ইহুদীরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কি কারণে তোমরা আশুরার দিবসে রোজা রাখো। তারা উত্তর দিলেন, এটা হচ্ছে একটা মহান দিন। আল্লাহ এদিন মূসা (আ) এবং তাঁর জাতিকে উদ্ধার করেছিলেন। আর ফেরাউন ও তার লোকজনকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। মূসা (আ) আল্লাহর শোকর আদায়ের উদ্দেশ্যে এ দিনে রোযা রাখতেন। আমরাও তাই করছি। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, মূসা (আ) এর ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমাদের হক ও করণীয় আরও বেশি। তারপর থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) আশুরার দিবসের রোযা রাখা শুরু করলেন এবং সাহাবীদেরকেও রাখতে বললেন।-(বুখারী ও মুসলিম)

আরেকটি রেওয়াতে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা) আশুরার রোযা রাখা শুরু করলে এবং রাখার জন্য সাহাবীদেরকে বললে অনেকেই বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ। এটা তো ইহুদী ও খৃষ্টানদের একটা পবিত্র দিন। তিনি বললেন, ‘‘আগামী বৎসর যদি বেঁচে থাকি ইনশাআল্লাহ তাহলে ৯ই মহররম ও রোযা রাখব।’’ আগামী বৎসর আসার পূর্বেই অবশ্য তিনি ওফাৎ লাভ করেন।-মুসলিম অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে, আশুরার আগের দিন বা পরের দিন আরেকটি রোযা রাখো। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এ বরকতময় আমল করার তাওফিক দিন। আমীন!

উপসংহার : আসুন ইসলামের আলোয় আলোকিত হই। নিজেকে রাঙাই আল্লাহর রঙে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শে।

মনে রাখা জরুরী যে, মুহাররম মাস শুধুমাত্র কারবালার ঘটনা স্মরণ করার মাসই নয় এমাস গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার, ত্যাগের, ভালো কাজ করার, খারাপ কাজ হতে বেঁচে থাকার এবং মুসলিম বিশ্বকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা করার মাস।

হিজরী নববর্ষ আমাদেরকে ইসলামের ত্যাগের আদর্শের দিকেই আহবান করছে।
সবশেষে কবিকণ্ঠে বলি,

“ফিরে এলো ঐ মুহাররম মাহিনা,
ত্যাগ চাই, মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা।”

৩৬ বছর দায়িত্ব পালন করে অবসরে গেলেন কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ সহর আলী গাজী

সুদীর্ঘ ৩৬ বছর একই প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে অবসরে গেলেন কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ জনাব সহর আলী গাজী। ৪ নভেম্বর ২০১৩ ইং সোমবার তার চাকুরী জীবনের শেষ কর্ম দিবসে উপাধ্যক্ষ বাবু ত্রিদিব কান্তি মন্ডলের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। 

কলেজ সূত্রে জানা যায়, রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর স্মৃতি বিজড়িত দক্ষিন-খুলনার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি কলেজটি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৬ বছরের মধ্যে প্রথম ১০ বছরে ৮ জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া জনাব সহর আলী গাজী ২০ ফেব্র“য়ারী ১৯৭৩ সালে জীব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৬ জুন ১৯৭৭ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে একাধারে ৩৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

যদিও বিধি অনুযায়ী ৫ নভেম্বর ২০০৮ ইং তার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়। তবুও তার দক্ষতা ও কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি হয়ে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের অনুরোধে তাদের সুপারিশক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ বছর করে পরবর্তীতে আরও ১ বছর মোট ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে। তার এ মেয়াদ শেষ হয় ৫ নভেম্বর ২০১৩ সন। সর্বমোট তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ৪০ বছর ৮ মাস ২৭ দিন চাকুরি করেন।

অবশেষে তিনি একদিন পুর্বেই ৪ নভেম্বর সোমবার শেষ কর্ম দিবস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে উপাধ্যক্ষ বাবু ত্রিদিব কান্তি মন্ডলের নিকট দায়িত্ব বুঝে দেন। এ উপলক্ষে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে তার দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ক্ষিতিশ চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ত্রিদিবকান্তি মন্ডল, প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ ভট্রাচার্য, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার দাস, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রমেশ চন্দ্র ঢালী, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আব্দুস সামাদ, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পরিমল কুমার সাধু, বাংলা বিভাগের প্রভাষক শফিউল আলম, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য জালাল হাজরা, আসাদুল ইসলাম পিয়ারুল, বর্তমান সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন, প্রাক্তন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী কলিম উদ্দীন শেখ প্রমূখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিমান বিহারী গোলদার। বক্তারা বলেন, সকলের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক জনাব সহর আলী গাজী তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহোযোগিতায় কলেজটির অবকাঠামো সহ ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে গেছেন।

একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৪১ বছর চাকুরীর ৩৬ বছর অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালন করার ঘটনা খুবই বিরল। বিজ্ঞ, দক্ষ একজন প্রশাসককে পেয়ে আমরা ধন্য হয়ে ছিলাম। তিনি আমাদের পাশে থেকে ছায়ার মত সকল ঝড়-ঝাপটা থেকে রক্ষা করে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমরা তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বর্তমান কলেজটিতে বাংলা, রাষ্ট্রাবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।

কপিলমুনিতে কালী প্রতিমা বিসর্জন পুর্ব র‌্যালী অনুষ্ঠিত

কপিলমুনিতে কালী প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে এক সুবিশাল র‌্যালী সোমবার বিকাল ৪টায় কপিলমুনি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিসর্জন পূর্ব র‌্যালীর নের্তৃত্ব দেন পুজা উদযাপন পরিষদ কপিলমুনি শাখা।

এতে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতা চম্পক কুমার পাল, সাধন চন্দ্র ভদ্র, তরুণ কুমার পাল, যুগোল কিশোর দে, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, মতিলাল সিংহ, সন্তোষ সরকার, রথীন্দ্র নাথ দত্ত, প্রণব সাধু, জয়ন্ত সাধু, শংকর সাধু, পংকজ সাহা, মিন্টুসহ সহস্রাধীক ধর্মপ্রাণ ও উৎসুক মানুষের উপস্থিতিতে প্রায় শতাধিক কালী প্রতিমা একত্রে প্রদর্শন করা হয়।

এরপর সন্ধা মুহুর্তে কপোতাক্ষের তীরবর্তী কালীবাড়ী ঘাটে বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। কালী প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে কপিলমুনি হিন্দু সম্প্রদায়ের এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

কপিলমুনিতে সর্বাত্ত্বক শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত

১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিনে কপিলমুনিতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সর্বাত্ত্বক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হরতাল পালিত হয়।

সকালে জোটের ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেককেই দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। দুর পাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ও ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চলাচল করেছে। তবে হরতালের কারনে মানুষের দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।

পাইকগাছায় ছিনতাই !

রবিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরের রাস্তায় তিন যুবক পায়ে হেটে বাড়ি যাবার প্রাক্কালে অপর তিন ছিনতাইকারী তাদের মারধর করে দু’টি মোবাইল ও একটি মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।