Tuesday, March 4, 2014

পাকিস্তানকে ৪৩ রানে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা

মিরপুরের উইকেটে মুশফিকরা যখন পাকিস্তানের পুরুষ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে মারকুটে ব্যাটিং করছে, তখন কক্সবাজারে অভিষেক ঘটা শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট দলও পিছিয়ে নেই। তারা হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান প্রমীলা ক্রিকেট দলকে।

টস হেরে সালমারা ব্যাটিং পেয়ে সংগ্রহ করে ৪৯.৩ ওভারে ১৫২। আর পাকিস্তান প্রমীলারা অলআউট  ৪৪.১ ওভারে ১০৯ রানে।  ৪৩ রানের জয় পেয়েছে সালমারা। এটি পাকিস্তানের প্রমীলা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে প্রথম বিজয়। লতা চারটি আর জাহারা তিনটি উইকেট শিকার করে পাক প্রমীলা দলের ব্যাটিং লাইনে ধস নামান।

টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বিসিবি চেয়েছে বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট দল কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাক। সে লক্ষ্যে পাকিস্তান আর ভারতের প্রমীলা ক্রিকেট দলকে আমন্ত্রণ জানায় বিসিবি। তাতে সাড়া দেয় দুই দেশ। পাকিস্তান দুই ওয়ানডে আর দুই টি-২০ ম্যাচ খেলবে। এবং ভারত তিনটি টি-২০ খেলবে বিশ্বকাপের আগে।

মঙ্গলবার ছিল সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ প্রমীলা দল। এনমকি অধিনায়ক সালমা খাতুন ৬ রানে সাজঘরে ফেরত গেলে বেশ চাপে পড়ে দল। টপ অর্ডারে  আয়শা ৪, শারমিন১, ফরজানা ১০  রানে আউটের পর সালমাও ফিরে যান। কিন্তু মিডল অর্ডারে রুমানার ৪৪, শায়লার ২২ রানের সঙ্গে শেষ দিকে তাসনিয়ার ২৬ রানে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২।

১৫৩ রানের জবাবে পাক প্রমলা দলের ওপেনার নাহিদা দলীয়  ৩ রানেই ফেরত যান। আর দলের ৮ রানে ফেরেন ওয়ান ডাউনে নামা সাইদা। দলীয় ২৭ রানে বিশমা আর ৩২ রানে সানা। এর পরপর কানিতাকে ফেরত পাঠালে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৯.৫ ওভারে ৫ উইকেট ৩২! সব কটি উইকেটই পকেটে জমা করেন লতা মন্ডল। দলীয় ৫০ রানে জাবিরা আর ৫১ রানে নাদিয়া আউট হন। ৬৩ রানে বাতুল ফেরত গেলে নবম জুটিতে ২৩.১ ওভার থেকে ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করে।

তাতেও রক্ষা হয়নি। আশমাবিয়া ইকবাল আর সুমাইয়া সিদ্দিকীর ৩৮ রানের জুটি ভাঙে সুমাইয়াকে ৫ রানে জাহারারা আলম ফেরত পাঠালে। পরে ৪০ রান করা আশমাবিয়াকে ক্যাচ বানান সালমা খাতুন। ১০৯ রানে অলআউট পাক প্রমীলা ক্রিকেট দল।

পাইকগাছায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে বিপাকে ১৯ দলীয় জোট

পাইকগাছায় তৃতীয় দফার ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত মনোনিত প্রার্থীরা। অপরদিকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছে আ’লীগ মনোনিত একক প্রার্থী। 

নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে এসে বিপাকে থাকা একাধিক প্রার্থী সংকট নিরসনে ১৯ দলীয় জোটের জেলা নেতৃবৃন্দ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জোটসূত্র জানিয়েছে।

সূত্রমতে, হরিঢালী, কপিলমুনি, লতা, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, গদাইপুর, রাড়ুলী, চাঁদখালী ও গড়ুইখালীসহ ১০ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ হযরত আলী জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় ৬৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ জন ও মহিলা ৯২ হাজার ১৩৭ জন।

আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (হাঁস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি মনোনিত বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন। (পদ্মফুল) প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন আ’লীগের একক প্রার্থী ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী। (কলস) প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন জামায়াত মনোনিত শিক্ষক শাহানারা খাতুন। (ফুটবল) প্রতীকে রয়েছেন ওয়ার্কাস পার্টি মনোনিত প্রধান শিক্ষক মাছুমা খাতুন। এদিকে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন ১৯ দলীয় জোট প্রার্থীরা।

উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান পদে জোটের একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হলেও দুই ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ-মহিলা) পদে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে ব্যার্থ হয় জোট নেতারা। বিএনপি নেতারা রাবেয়া হোসেনকে জোট মনোনিত প্রার্থী দাবী করলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন জামায়াত মনোনিত প্রার্থী শাহানারা খাতুন। ফলে একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন জামায়াত-বিএনপি’র এ দু’প্রার্থী। শেষ মুহুর্তে এসে জোটের জেলা নেতৃবৃন্দ এ সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান।

অপরদিকে জামায়াত-বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর কারনে আ’লীগের একক প্রার্থী দীপ্তি চক্রবর্তী সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও তেমন কোন প্রচার-প্রচারণা নেই বলে তৃনমুল নেতাকর্মীরা জানান। শেষ মুহুর্তে ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হলে আ’লীগ ও জোট মনোনিত প্রার্থীর সাথে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে সাধারণ ভোটাররা জানান।

সাবাস বাংলাদেশ !

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য অনেক অনকে শুভ কামনা ! 


কি লিখলে যে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবো, বুঝতে পারছি না ! (বাকরুদ্ধ !)

 
বাংলাদেশ- ৩২৬/৩

এনামুল- ১০০ (১৩২), কায়েস- ৫৯ (৭৫), মোমিনুল- ৫১ (৪৭), মুশফিক *- ৫১ (৩৩), সাকিব *- ৪৪ (১৬)

পাইকগাছার শ্রমিকদের নরসিংদীতে ইটভাটায় আটকে রেখে নির্যাতন

নরসিংদীর পলাশের কাজিরচর এলাকার এম এ ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় শিশু'সহ ১৪ জনকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত গত রোববার রাত ১১টা দিকে তাঁদের উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় ইটভাটার মালিক আবদুল আজিজকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারটি শিশু ও ১০ জন শ্রমিক রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়।

শিউলি আক্তার ও আয়েশা আক্তার নামে দুই শ্রমিক জানান, 'ইটভাটায় রাতের বেলা তালাবদ্ধ করে ও দিনের বেলা পাহারা দিয়ে রাখা হতো তাদের। সপ্তাহে তিন দিন কিছু চাল আর অল্প সবজি দিত। আর তিন দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইকবাল ও সোহেল পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে মুসা, মকবুল ও আরেকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে নির্যাতন ও মারধর করে।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া লোকজন জানান, গত বছরের অক্টোবরে মানিকগঞ্জের মোবারক হোসেন নামের এক শ্রমিক সর্দারের সঙ্গে চুক্তিতে পাইকগাছার ৪৫ জন এম এ ব্রিকসে শ্রমিক হিসেবে যোগ দেন।

গত ডিসেম্বরে মোবারক হোসেন ইটভাটার মালিক আবদুল আজিজের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এতে মালিক ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের মজুরি না দিয়ে তাঁদের আটকে রেখে শুধু কাজ করান। এ কারণে বিভিন্ন সময় প্রায় ৩৫ জন শ্রমিক পালিয়ে যায়। এরপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়ায় বাকিরা পালাতে পারেননি।

জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইকবাল ও সোহেল মিয়া পালিয়ে গিয়ে সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ পাঠান।

এরপর গত রোববার রাতে জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে ইটভাটা থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার এবং একজন মালিকসহ ২ জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কে হচ্ছেন পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ?

পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গোটা পাইকগাছা, চলছে বিরামহীন মাইকিং


প্রতীক বরাদ্দের পর পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গোটা পাইকগাছা উপজেলা। চলছে বিরামহীন মাইকিং। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী লড়াই বেশ জমে উঠেছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রার্থীরা সুকৌশলে একে অন্যের দোষত্রুটি তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে।

পাশাপাশি নির্বাচিত হলে এলাকা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিবেন বলে বর্ননা করছেন। চায়ের দোকান থেকে অফিস আদালতে ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন প্রার্থীদের নিয়ে।

১৫ মার্চ তৃতীয় দফায় খুলনার একমাত্র পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে প্রধান চারটি রাজনৈতিক দল শক্তির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ নির্বাচনে রাজনৈতিক শক্তিতে বলীয়ান ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রশীদুজ্জামান (আনারস), ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক এমপি এডভোকেট স ম বাবর আলী (দোয়াত-কলম), উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর (ঘোড়া), সিপিবি’র জাতীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল (কাপ-পিরিচ), স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দী (মোটর সাইকেল), আরেক স্বতন্ত্র পার্টির কবি ডাক্তার জিএম আবদার রশীদ (চিংড়ি মাছ) প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান ৭ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লস্কর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান সানা (তালা), ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত উপজেলা জামায়াতের আমির শেখ কামাল হোসেন (টিউবওয়েল), সাবেক থানা ছাত্রদল সভাপতি ও প্রেসক্লবের সভাপতি জি এ গফুর (টিয়াপাখি), স্বতন্ত্র এ্যাডভোকেট এস এম মুজিবর রহমান (বই), জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক শেখ সামছুল আলম পিন্টু (উড়োজাহাজ), স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল (মাইক), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান সিরাজ সাজু (চশমা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি সমর্থিত রাবেয়া হোসেন (হাঁস), উপজেলা আ’লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইউপি সদস্য দীপ্তি রাণী চক্রবর্তী (পদ্মফুল), জামায়াত সমর্থিত শাহানারা খাতুন (কলম) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মাছুমা খাতুন (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।

এলাকাবাসীর জানায়, চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ প্রার্থীর নাম বেশ জোরালোভাবে আলোচনায় উঠে এসেছে। তারা হলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত রশিদুজ্জামান মোড়ল, বিএনপি সমর্থিত এ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর। অনেক মনে করছেন এ উপজেলায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভবানা রয়েছে।

উল্লেখ্য, হরিঢালী, কপিলমুনি, লতা, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, গদাইপুর, রাড়ুলী, চাঁদখালী ও গড়ুইখালীসহ ১০টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ জন ও নারী ৯২ হাজার ১৩৭ জন। ভোট কেন্দ্র ৬৯টি।

কয়রায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাদকসেবীর জরিমানা

গতকাল ৩ মার্চ কয়রা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামীম হাসান বেলা ১১টায় এক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যুবায়ের (১৭) রুনি হোসেন (১৭) ও আহাদ (১৬) নামের ৩ মাদকসেবীকে নিকট থেকে ২ হাজার টাকা হারে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

জানা গেছে, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত অভিযান চালিয়ে ২ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার আমাদী এলাকা থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় ঐ তিনজনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নির্বাহী অফিসার তাদেরকে এ জরিমানা করেন।

তবু হাল ছাড়ছেন না জিয়া !

আফগান রূপকথার উল্টো দিকে যে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা, সেখানে জিয়াউর রহমান এক পরাজিত সৈনিক। লড়েছেন সামর্থ্যের শেষটুকু দিয়ে, অসম্ভব এক জয়ের দোরগোড়ায় প্রায় নিয়েই গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলকে। কিন্তু ইদিপাসের মতোই শেষ পর্যন্ত তাঁকে হার মানতে হয়েছে নিয়তির কাছে। তবে এখান থেকেই আগামীর সম্ভাবনা খুঁজছেন তরুণ এ অলরাউন্ডার।

কেন জানি তাঁর ওপর খুব একটা আস্থা ছিল না অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুশফিক, একঝাঁক স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারের নির্বিষ বোলিং সেদিনও ছিল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের 'প্রিয় খাবার'। একজন তাঁর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন, কারো বদলে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে দলে নিলে একটু তো বৈচিত্র্য আনা যায়। অধিনায়কের উত্তর ছিল, দেশের পেস বোলিং অলরাউন্ডার মান তাঁর কাছে ঠিক আশানুরূপ নয়।

ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত, কিন্তু হলো না। পরদিন দেওয়া এশিয়া কাপের দলে মাহমুদ উল্লাহ বাদ গেলেন, জিয়া এলেন, তারপর মুশফিক দল নির্বাচন নিয়ে তাঁর হতাশা জানালেন গণমাধ্যমে। কথায় নয়, এবার প্রমাণ দেওয়া যাক অঙ্কে। জিম্বাবুয়ে সফরের শেষ ওয়ানডেতে জিয়া ৫ ওভারে দিয়েছিলেন ২৫ রান, নিয়েছিলেন সিকান্দার রাজার উইকেটও। এরপর তাঁর হাতে আর বল দেননি মুশফিক, খরুচে হলেও বল করিয়ে গেছেন শফিউল আর রাজ্জাককে দিয়ে, যাঁরা উইকেটই পাননি।

ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচেও জিয়া দিয়েছিলেন ৫ ওভারে মাত্র ২০ রান, অথচ ২৮তম ওভারের পর আর বলই পেলেন না। আর শেষদিকে রুবেল রীতিমতো দানছত্র খুলে বসলেন। ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে নিজের বোলিং কোটা শেষ করার ২ বল আগে পেয়েছেন বিরাট কোহলির উইকেট, ততক্ষণে ১৩৬ রান করে ম্যাচটা ভারতের পকেটে পুরে গিয়েছেন বিরাট কোহলি। ভাগ্যক্রমে সেই জিয়াই আফগানিস্তানের বিপক্ষে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের লজ্জা এড়ানোর শেষ অবলম্বন।

ভারতের বিপক্ষে ৪৬তম ওভারে ব্যাট করতে নেমে ১২ বলে ১৮ রানের ছোটখাটো ঝড় তুলেছিলেন জিয়া, কভারে বরুণ অ্যারন দুর্দান্ত ক্যাচটা না ধরলে হয়তো আরেকটু দীর্ঘস্থায়ীই হতো ইনিংসটা। আফগানদের সঙ্গে যখন মাঠে নেমেছিলেন, তখনো হাওয়াটা প্রতিকূলে। সেখান থেকেই আক্রমণের ভাষায় জবাব দিচ্ছিলেন জিয়া, ২২ বলে ৪১ রানের ইনিংসটা শেষ হয় মোহাম্মদ নবীর বলে বোল্ড হয়ে। এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে পারেননি, কিন্তু হতেও তো পারত !

সেসব এখন অতীত, কাল হোটেলের লবিতে বসে বন্ধু মোশাররফ হোসেনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে জানালেন, 'যে ম্যাচটা হয়ে গেছে, সেটা তো শেষ। চেষ্টা করব সামনের দুটি ম্যাচে ভালো করার।'

এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সারা দেশে তখন সুর উঠবে 'চার-ছক্কা হইহই, বল গড়াইয়া গেল কই ?'। কিন্তু ফতুল্লায় চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটানো জিয়া তখন স্রেফ দর্শক। নির্বাচকরা তাঁকে নেননি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে, এই নিয়ে অবশ্য আর আক্ষেপও নেই তাঁর, 'এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই তো শেষ নয়, আরো খেলা আছে। ওই সময় ফরহাদ রেজা খুব ভালো করছিল, আমারও ফর্ম ছিল না।'

কয়েকদিন আগে জাতীয় লিগের ম্যাচে ১৩ ছক্কায় করেছিলেন ১৬৭, আন্তর্জাতিক ম্যাচেও ধরে রেখেছেন ছন্দটা। বোলিংয়ের ধার বাড়াতেও বাড়িয়ে দিয়েছেন অনুশীলন। সবই চলছে, নেই শুধু ভাগ্যের ছোঁয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পরই যে এমন পারফরম্যান্স জিয়ার, তাই কেউ চোট পেয়ে ছিটকে না পড়লে খেলাই হবে না তাঁর ! যদিও এমন অমঙ্গল কামনা কখনোই করেন না জিয়া, বরং মন দিচ্ছেন নিজের খেলায়। মনের ভেতর দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন নিয়তিও হার মানবে তাঁর কাছে।