Wednesday, January 8, 2014

পাইকগাছা কলেজে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

গত ৫ জানুয়ারি মানুষটির সফল কর্মজীবনের যবনিকাপাত ঘটেছে। এখন থেকে তার নামের পর যুক্ত হবে "অবসরপ্রাপ্ত" শব্দটি। তিনি পাইকগাছা কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) জি. এম. এম. আজাহারুল ইসলাম।

বুধবার পাইকগাছা কলেজে তার বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টুর পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) মো: সেকেন্দার হায়াত।

জি. এম. এম. আজাহারুল ইসলাম ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পাইকগাছা কলেজে যোগদান করেন। আজ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী বক্তব্যে তিনি তার দীর্ঘ ২৯ বছরের কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে কলেজের দুই জন চতুর্থ শেণীর কর্মচারীকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তারা হলেন শেখ আব্দুল হামিদ ও শেখ আব্দুল খালেক। জন্মলগ্ন থেকেই এই দুই জন পাইকগাছা কলেজে কর্মরত ছিলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারা অবসর গ্রহন করেন।

প্রসঙ্গ: জিরো পয়েন্টে যাত্রী ছাউনী ও গণশৌচাগারের প্রয়োজনীয়তা

পাইকগাছায় জনগুরুত্বপূর্ণ জিরো পয়েন্টে যাত্রী ছাউনী ও গণশৌচাগারের অভাবে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী সাধারণ


পাইকগাছায় জনগুরুত্বপূর্ণ জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাত্রী ছাউনী ও গণশৌচাগার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা। বিশেষ করে, টয়লেট ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিদিন চরম বিপাকে পড়ছেন মহিলারা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

সূত্র মতে, স্বপ্নের শিববাটী ব্রীজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর হতে গত দু’বছর যাবৎ উপজেলা সদরস্থ বাসস্ট্যান্ড থেকে এখন আর তেমন কোন যাত্রীকে উঠানামা করতে হয় না। শিববাটী ব্রীজের সংযোগ সড়কটি জিরো পয়েন্টে মিশে যাবার কারণে পাইকগাছা, কয়রা ও পার্শ্ববর্তী আশাশুনিসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে যাতায়াতের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে জিরো পয়েন্টে যাত্রা বিরতি করে যানবাহন পরিবর্তন করতে হয়। এ সময় দুরপাল্লার যাত্রীদের এক দিকে বিশ্রাম প্রয়োজন হয়, অপরদিকে প্রয়োজন হয় বাথরুমের।

বর্তমানে জিরো পয়েন্ট এলাকাটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিণত হওয়ায় হরতাল, অপরোধের কারণে প্রতিদিন এখানে প্রায় অর্ধশত পুলিশ মোতায়েন থাকে। দীর্ঘ সময় একই স্থানে অবস্থান করার কারণে অনেক সময় তাদেরও বাথরুমের প্রয়োজন হয়। অথচ, গত দু’বছরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে নির্মাণ করেনি কোন যাত্রী ছাউনী ও গণশৌচাগার। ফলে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।

এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস সমিতির লাইন সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম জানান, জিরো পয়েন্ট এলাকার আস-পাশ রোডস এণ্ড হাইওয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারী জায়গা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারী জায়গার উপর যাত্রী ছাউনী ও গণশৌচাগার নির্মাণ করতে পারেন।

পাইকগাছায় চুরির অভিযোগে যুবলীগনেতাসহ ১২ যুবক আটক

পাইকগাছায় চুরি ও চোরাইকৃত মালামাল ক্রয় করার অভিযোগে পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেশ কিছু স্বর্ণাংকার, ল্যাপটপ ও বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

থানার এস,আই জালাল ও এস,আই সিরাজ মঙ্গল ও বুধবার যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন, বাতিখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র ও পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাজু আহমেদ (৩৫), বান্দিকাটি গ্রামের মৃত সিরাজ মোড়লের পুত্র আব্দুল গণি মোড়ল (২৭), রহমত আলী গাজীর পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৫), হাফিজুর মোড়লের পুত্র রানা (২৪), ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের আব্দুল হাকিম মোড়লের পুত্র সবুজ মোড়ল (২১), সরল গ্রামের মৃত সোলাইমান গাজীর পুত্র (স্বর্ণ ব্যবসায়ী) মোশাররফ হোসেন (৩২), শেখ মোজাম্মেলের পুত্র শেখ শহিদুল (৪৬), গোপালপুর গ্রামের রফিকুল মোড়লের পুত্র হুমায়ুন কবির (২২), একই এলাকার ফরিদ উদ্দীন মোড়লের পুত্র অহিদুর রহমান (২৮), গদাইপুরের কাবুল গাজীর পুত্র আলমগীর (২৫), মৃত বাবর আলীর পুত্র নজরুল (৩০) ও একই এলাকার ইব্রাহিম মোড়লের পুত্র মনিরুল (২৫)।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সরল গ্রামের মৃত আবুল কালামের পুত্র শওকত গাজী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে মামলা করে। যার নং- ০৭।

এ ব্যাপারে ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এম. মসিউর রহমান জানান, সম্প্রতি এলাকায় চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দু’দিন এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক ৭ যুবকের বিরুদ্ধে বাসা বাড়ী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে চুরি করা ও চোরাই মাল ক্রয় করার অভিযোগ রয়েছে।

পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আটক

পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই কাজী ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে থানার এস,আই হারুন সিনেমা হলের সামনে থেকে তাকে আটক করে।

আটক ইকবাল গদাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়ালীর পুত্র ও গদাইপুর (সদর) ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চুর ভাই।

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কায় তাকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সরকারের বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে বলে পাইকগাছা থানার ওসি এম. মসিউর রহমান জানান।