Friday, March 21, 2014

একটি বিশেষ ঘোষণা

বিশ্ব টি-টোয়েন্টি উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য (পাইকগাছায়) যারা বাড়িতে অথবা বাড়ির ছাদে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছেন, তারা সেই ছবি তুলে Voice of Paikgacha'র পেজে (https://www.facebook.com/voiceofpaikgacha) পোস্ট করতে পারেন। 


প্রচারযোগ্য হলে আপনার পাঠানো ছবিটিও প্রচারিত হতে পারে Voice of Paikgacha'য়। তো আর দেরি কেন ? আজ থেকেই আপনার বাড়ির ছাদে শোভা পাক আমাদের অহংকারের লাল সবুজ প্রতীক !

বি.দ্র.:
  • ছবির রেজুলেশন ভালো হতে হবে।
  • ছবিটি অবশ্যই পাইকগাছা থেকে তোলা হতে হবে।

সুসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

পাইতগাছায় সুসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ৮৮তম মৃত্যুবাষির্কী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব পাইকগাছার কার্যালয়ে পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তৃতা করেন রাড়ুলী সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি পঞ্চানন সানা, সপ্তদ্বীপা সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি নলিনী কান্ত সানা, কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি সমীরণ কুমার ঘোষ, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক, গাজী নজরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, মতিউর রহমান, মুনছুর আলী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক। কাজী ইমদাদুল হক পারিবারিক পরিবেশে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর খুলনা জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে এফএ পাস করেন। কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে ডিগ্রি ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পাস কোর্সে বিএ পাস করেন।

১৯০৩ সালে তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯০৬ সালে আসামের শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর অফিসের উচ্চমান সহকারী পদে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিয়োজিত হন। ১৯১১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে তিনি ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সালে তিনি কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি প্রথম সচিব নিযুক্ত হন।

শিক্ষা বিভাগের কাজে গভীর দায়িতবোধ, অসামান্য দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি স্বরৃপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব ও ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করেন। ১৮৯৬ সালে কাজী ইমদাদুল হক স্কুলে পড়াকালীন কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯০৩ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আখি জল প্রকাশিত হয়। নবী কাহিনী ও কামারের কাণ্ড তার শিশুতোষ গ্রন্থ। তিনি শিক্ষক নামে মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য সৃষ্টি হিসাবে তার সর্ব শ্রেষ্ঠ কৃতি আব্দুল্লাহ উপন্যাস।

১৯২৬ সালের ২০ মার্চ তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। কলকাতার গোবরা কবর স্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়। ইমদাদুল হকের মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ উপন্যাস গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

কয়রা-চাঁদালী সড়কটি খানাখন্দে ভরা, চলাচলে চরম দুর্ভোগ

কয়রা উপজেলা সদরের সাথে ১শ’ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জেলা শহর খুলনার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী কয়রা-চাঁদালী সড়কটির বেহাল দশা কিছুতেই কাটছে না। দীর্ঘ সময় ধরে ১৩ কিলোমিটার সড়কটি সংস্করের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত অগনিত মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে উপজেলা সদরসহ বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।

বিগত দিনে সড়কটির বেহাল দশার খন্ড চিত্র পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। শেষমেষ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ২০১১-১২ অর্থ বছরে সড়কটির মেরামত কাজ করা হলেও বছর ঘুরে যেতে না যেতে আবারো সেটি খানাখন্দে ভরে যায়। ফিরে যায় পূর্বাবস্থায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কের দেয়াড়া, বামিয়া, বাগালী ও চাঁদালী ব্রীজের দক্ষিন অভিমুখী প্রায় জায়গায় ছোট বড় খানাখন্দে ভরে উঠেছে। নামমাত্র সিলকোট করা হলেও এখন রাস্তার বেশীরভাগ জায়গায় সিলকোট উঠে গেছে। গাড়ীর চাকা ঘুরলে লালচে ধুসর ধুলোয় মানুষের চোখ মুখ ভরে যাচ্ছে। বাস, মিনিবাস ট্রাক, মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন বলেন, সবে যোগদান করেছি। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।

কয়রায় অপহরণের ৭ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার

কয়রায় অপহৃত এক স্কুল ছাত্রীকে ৭ দিন পর উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ভিকটিম মদিনাবাদ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলা নং-০৯। তাং ১৭/০৩/১৪ ইং। আসামীরা হলো মিজান (৪০), আফজাল (৫৫), শামীম (৩০) ও স্বপ্না (৩০)।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ১নং কয়রা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুল পড়ুয়া কন্যা গত ১০ মার্চ বিকেলে পান সুপারি কিনতে বাড়ির পার্শ্বস্থ দেউলিয়া বাজারে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামীরা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে ভিকটিমের মা থানায় অভিযোগ করেন।

থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১৭ মার্চ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠান। পুলিশ গত ১৯ মার্চ ভিকটিমকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে নিরাপদ হেফাজাতে প্রেরণ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হাফিজুর রহমান জানান, মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে। আসামীদের ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।