Monday, December 16, 2013

কপিলমুনিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

কপিলমুনিতে যথাযোগ্য মর্যাদা আর ভাব গম্ভীর্যে পালিত হলো মহান বিজয় দিবস। এ দিন বাঙ্গালী জাতী মুক্তি পেয়েছিল পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠীর শোষন ও নিপীড়নের হাত থেকে। তাই দিনটি পালনে তীব্র শীত উপেক্ষা করেও শহীদ বেঁদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সকল শ্রেণীপেশার মানুষ।

দিনের প্রথম প্রহরে বিজয় দিবসের র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি কপিলমুনি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় কপিলমুনি কলেজ, সহচরী বিদ্যামন্দি, মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কপিলমুনি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সলুয়া গোলাবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

দিনটি উপলক্ষে কপিলমুনি বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন।

এছাড়া দিবসটি পালনে কপিলমুনির সম্মিলিত বিজয় দিবস উদযাপন পরিষদ নানা কর্মসুচি গ্রহন করেছে। এ উপলক্ষে সন্ধায় মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

৭২ ঘন্টার অবরোধ ডেকেছে ১৮ দল

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এবার তিন দিন অবরোধ ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

এর আগে তিন সপ্তাহে তিন দফা অবরোধ করেছিল বিরোধী দল। এবার চতুর্থ দফা তিন দিন অবরোধের ডাক দেয়া হল। ১৮ দলের বিরোধিতার মধ্যেই আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পথে এগিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন স্থগিত না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি রয়েছে বিএনপির।

তিন লক্ষ বাঙালির কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত এখন বিশ্ব রেকর্ড

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিট। ঠিক এই দিন এই সময়টা থেকেই বাঙালি জাতি গলা ছেড়ে গাওয়ার অধিকার অর্জন করে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। কারণ এসময়টায় মুক্তিযুদ্ধের যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকবাহিনী।

সেই বিজয়ের দিনটি স্মরণে ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে সেই একই সময়ে একই স্থানে বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইলো প্রিয় গান ‘আমার সোনার বাংলা’। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য ! স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এ-ই প্রথম এতো বেশি সংখ্যক মানুষ একযোগে জাতীয় সংগীত গাইলো।

সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হতে যোগ দেয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। ৪৩তম বিজয় দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে এ আয়োজন করা হয় গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায়। এছাড়া, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজাগরণ মঞ্চের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘কনসার্ট ফর ফ্রিডম’।

পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ৪৩তম মহান বিজয় দিবস


ছবিটি পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল ময়দান থেকে তোলা।

আরেকটি ‘পতাকা বিজয়’; মানব পতাকা’য় বিশ্ব রেকর্ড

একাত্তরে পাকিস্তানের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনে লাল-সবুজ পতাকা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। এবার আরো একটি ‘পতাকা বিজয়’ ছিনিয়ে আনলো বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘মানব পতাকা’ তৈরি করে পাকিস্তানের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে এ বিজয় সূচিত হলো বাংলাদেশের।

সোমবার দুপুর একটা ৪৫ মিনিটে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে রবির অজিয়াটার লিমিটেডের আয়োজনে লাল সবুজের বিশ্বজয় অনুষ্ঠানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ‘মানব পতাকা’ তৈরি করে রেকর্ড গড়া হয়। ছয় মিনিট ১৬ সেকেন্ড স্তায়ী ছিল বাংলাদেশের অনন্য এ মুহূর্তটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় রবি আজিয়াটা লিমিটেডের তত্বাবধানে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৭ হাজার ১১৭ জন মানুষের সমন্বয়ে বিশ্বের সবেচেয়ে বড় এ মানব পতাকা তৈরি করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য স্কুলের শিশু এবং স্বেচ্ছাসেবীরা এতে অংশ নেয়।

বাংলাদেশের এ পদক্ষেপটি দেখার জন্য গিনিস ওয়ার্ল্ড কমিটির একজন অনুমোদিত পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। তিনি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য প্রমাণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও ছবি গিনিস ওয়ার্ল্ড কমিটির কাছে তুলে ধরবেন।

গিনেস বুকে এর আগের রেকর্ডটি পাকিস্তানের। গত বছর অক্টোবরে লাহোর হকি স্টেডিয়ামে ওই মানব পাতার অংশ হয়েছিলেন ২৪ হাজার পাকিস্তানি। এর আগে ২০০৭ সালে হংকংয়ের ২১ হাজার ৭২৬ জন নাগরিক মানব-পতাকা গড়েন।

পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস

পাইকগাছায় বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ৪৩তম মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমাবার ভোরে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসুচীর শুভ সূচনা হয়।

উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ্য থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে শহীদদের উদেশ্যে ১ মিনিট নিরাবতা পালন করার পর শপথ বাক্য পাঠ করান যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু। এরপর সকাল ৮ টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রকিব উদ্দীন এর সভাপতিত্বে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস মেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, রাবেয়া হোসেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, ওসি এম, মশিউর রহমান, ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম।

উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, গাজী রফিকুল ইসলাম, সুবোল চন্দ্র মন্ডল, আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, কৃষি অফিসার বিভাষ চন্দ্র সাহা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়াদ্দার, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশিষ মন্ডল, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহীর বরণ মন্ডল, রমেন্দ্র নাথ সরকার, উপাধক্ষ্য সরদার মোহাম্মদ আলী, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি, অপু মন্ডল, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমিরন সাধু, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, এস,এম আলাউদ্দীন সোহাগ, স্নেহেন্দু বিকাশ, তৃপ্তি রঞ্জন সেন সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক জামাত আলী, অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম ও প্রভাষক রেবা আক্তার কুসুম। অনুষ্ঠানে ষ্কাউটস্ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন।

এছাড়াও দিনব্যাপী অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বিকালে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, প্রীতি ফুলবল ম্যাচ, আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক পাইকগাছা পৌরসভা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ

ছবিটি আমাদের পাঠিয়েছেন :: Gm Rajib.

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধ চত্বরে অপেক্ষমান পাইকগাছাবাসী

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পাইকগাছা পৌরসভা স্মৃতিসৌধ চত্বরে অপেক্ষমান পাইকগাছাবাসী।

ছবিটি আমাদের পাঠিয়েছেন :: Gm Rajib.

প্রথম বর্ষ পূর্ণ করল Voice of Paikgacha

আজ ১৬ই ডিসেম্বর প্রথম বর্ষ পূর্ণ হল Voice of Paikgacha‘র।

শুভ জন্মদিন Voice of Paikgacha !

আজ ১৬ই ডিসেম্বর প্রথম বর্ষ পূর্ণ হল Voice of Paikgacha‘র।

 
আজকে সময় পিছু ফিরে দেখার !!!

হাটি হাটি পা পা করে পুরো ১টা বছর পার হয়ে গেল ! ২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, এক রৌদ্র মাখা সকাল ছিল
Voice of Paikgacha-এর জন্মলগ্ন।

৩৬৫ দিনের এই দীর্ঘ পথ চলা সহজ ছিল না। অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের নতুন উদ্দমে পথ চলার অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। বিগত ১ বছরের মত, সামনের দিন গুলিতেও আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার আশা রাখি।

আগামীতে কেমন হওয়া উচিৎ আমাদের কার্যক্রম ? দয়াকরে আপনার মূল্যবান মতামত জানাবেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ করব না আপনাদের।