Wednesday, June 26, 2013

কপিলমুনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ৭ বছরেও পুনঃস্থাপন হয়নি

খুলনার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাইকগাছার কপিলমুনি টিএন্ডটি টেলিফোন একচেঞ্জ ৭ বছরেও পুনঃস্থাপন করা হয়নি। তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রাণালয়ে ১৪ বছর ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে আছে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থা্পনের আবেদন।  

অপসরণ করা হলেও পুনঃস্থাপনের কোনো উদ্যোগ ৭ বছরে করা হয়নি। কপিলমুনি ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ না থাকায় শুধু আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নয় শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। অপসারণের ৭ বছর অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত তা পুনঃস্থাপন কিংবা উপজেলা ডিজিটাল এক্সচেঞ্জের সাথে অমত্মভূক্তি করা হয়নি। ফলে এখানকার গ্রাহকের কাছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এখন শুধুই স্মৃতি।

সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা যায়, ষাষ্টের দশকে ভাড়া করা ভবনে মাত্র ২০টি সংযোগসহ উপজেলায় প্রথম কপিলমুনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে কালের প্রবাহে আধুনিক কপিলমুনির ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিসহ নানাদিক প্রসারিত হওয়ায় আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার চহিদা বৃদ্ধি পায়।

যার ফলশ্রুতিতে এক্সচেঞ্জটি সিবি-১৪০ লাইনে উন্নিত করা হয়। কিন্তু তাতেও গ্রাহক চাহিদা মেটেনা। সে সময় আরো প্রায় দু’শতাধিক আবেদন পত্র ফাইলবন্দি ছিল সংশ্লিষ্ট দফতরে। তখন এ্যানালগ এক্সচেঞ্জে ১৪০টি লাইনের জন্য বোর্ড কর্ড ছিল মাত্র ৮টি। তাছাড়া অতিরিক্ত ওয়ার্কিং এর ফলে অধিকাংশ কর্ডই নষ্ট হয়ে যায়। সে কারনে সে সময় গ্রাহক সীমাবদ্ধ ছিল কপিলমুনির মধ্যে। এর বাহিরে জেলার সাথে যোগাযোগের জন্য ১টি ও.টি.ডি লাইন ছিল। তবে লাইন পেতে অপেক্ষা করতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা। ঠিক এমতাবস্থায় গ্রাহক চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে তৎকালীনি কপিলমুনিতে ২০০ লাইন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য পরিচালক (রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা) মনোয়ার হোসেন ২০০১ সালের ১৭ এপ্রিল একটি আবেদন পত্র (নং-এম-২৪-১৩/৯৮) সরকারের তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন।

ইতোপূর্বে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এলাকাবাসী বহু সভাসমাবেশ ও রাজপথে আন্দোলন করেছিল। গঠিত হয়েছিল আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটিও। কপিলমুনি ব্যবসায়ীক দিক দিয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ হওয়ায় ৬টি মুঠোফোন কোম্পানির দ্রুত টাওয়ার স্থাপন করে মানুষের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। কোনো রকম সেবা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগামিত্মতে।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অন্যান্য অভিযোগও কোম নয়। কিন্তু কপিলমুনি ভাড়া ঘরের সেই মন্দাতা আমলের এক্সচেঞ্জটি গত প্রায় ৭ বছর পূর্বে অপসারণ করা হলেও তা পুনঃস্থাপন বা উপজেলার সাথে অমত্মভূক্ত হয়নি। কপিলমুনিবাসীর কাছে টেলিফোন রিসিভার গুলিই এখন স্মৃতি। শুধু শান্তনা যে কপিলমুনিতে এক সময় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল এবং তারা তার গর্বিত গ্রাহক ছিলেন।

উল্লেখ্য, কপিলমুনি বাণিজ্যিক দিক দিয়ে পাইকগাছা উপজেলাকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি তালা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, কয়রা, আশাশুনির বৃহৎ অংশকে রাজধানীসহ দেশের বাণিজ্যিক সদরের সাথে সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্যে সংযুক্ত করে। বাংলাদেশ বেতার থেকেও প্রচার করা হয় এখানকার বাজার দর। এছাড়া কপিলমুনিতে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বীমা পোষ্ট অফিস, ডিজিটাল সাংবাদিক ফোরাম, প্রেস ক্লাব, রিপোটার ক্লাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, জাতীয় বার্তা সংস্থা এবং অনলাইন পত্রিকার প্রায় তিন ডজন সাংবাদিক কর্মরত আছেন। তাদের প্রতিমূহুর্তের সংবাদ প্রেরণ থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেটর পাশাপাশি টেলি-ফ্যাক্স প্রয়োজন হয়।

শিশু ধর্ষণের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে বিধবা সুফলা শীল

পাইকগাছার কপিলমুনি গণশৌচাগারে শিশু ধর্ষণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদকে পুঁজি করে একটি স্বার্থনেষী মহল বিধবা মহিলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে বিধবা সুফলা শীল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব পাইকগাছায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্বামী কিনা শীল মারা যাওয়ার পর ৩/৪ মাস যাবৎ তিনি কপিলমুনি বণিক সমিতি সংলগ্ন স্বামীর চা’পট্টির দোকানটি পরিচালনা করে আসছেন। মাঝে মাঝে তার স্কুল পড়ুয়া ১০ বছরের ছোট মেয়েটি তার চায়ের দোকানে সহযোগিতা করে। বিষয়টি স্বার্থনেষী মহল সুনজরে দেখছে না।

গত ৭ জুলাই বাজারের গণশৌচাগারে শিশু ধর্ষণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট নাটকের সৃষ্টি করে কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে। এ ব্যাপারে তিনি প্রকৃত সত্য ঘটনা উৎঘাটন করে প্রকাশ ও কুচক্রী মহলের হাত থেকে তার চা’পট্টির দোকান রক্ষায় প্রশাসনরে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সুফলা শীলের পুত্র কৃষ্ণ শীল ও মোকন সরদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পাইকগাছার মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিলসহ সাতক্ষীরায় আটক

সাতক্ষীরা থানাপুলিশ ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ পাইকগাছার আলোচিত এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। আটক সঞ্জীব দীর্ঘদিন ধরে ডায়াগনষ্টিক ব্যবসার অন্তরালে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে ইতোপূর্বে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

থানাপুলিশ সুত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার সৈকত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সঞ্জীব ও তার অপর ৩/৪ সঙ্গী দু’টি মটরসাইকেলযোগে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ফেনসিডিল ক্রয় করে বাড়ী ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার সদর পুলিশ তাদেরকে ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় পাকড়াও করলে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও মাদক ব্যবসায়ী সঞ্জীবকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় সদর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলে এএসআই শফিক জানান।

পাইকগাছায় নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি; পৌর বাজার প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পাইকগাছায় নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌর বাজারসহ বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

জানা যায়, নিুচাপের প্রভাবে গত দু’তিনদিন যাবৎ পূর্ণিমার প্রবল জোয়ারের পানি বাঁধ উপচে এলাকায় প্রবেশ করছে। ওয়াপদার বাইরে অসংখ্য ছোট ছোট চিংড়ী ঘের প্লাবিত হয়ে নদীর সাথে একাকার হয়ে গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে শিবসা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের উপচে পড়া পানি পৌর বাজারে প্রবেশ করে মাছ মার্কেট, পোনা মার্কেট, কাঁকড়া মার্কেট, থানা চত্ত্বরসহ কয়েকটি মার্কেট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

পৌর এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় বলে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান। পৌর শহরকে রক্ষা করতে অবিলম্বে শিবসা নদীর ধারে ফ্লাড ওয়াল নির্মাণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।