জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্ত্রী ও শাশুড়ী কাউন্সিলরের জিম্মায় মুক্ত
পাইকগাছায় ধীরে ধীরে উন্মোচন হচ্ছে বহিরাগত যুবকের মৃত্যু রহস্য। ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে স্ত্রীর উপর অভিমান করেই যুবক সোহেল আত্মহত্যা করে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা স্ত্রী আসমা খাতুন আঁখি ও শাশুড়ী মুর্শিদা বেগমকে কাউন্সিলরের হেফাজতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার সকালে সরল এলাকা থেকে সোহেলের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চককাওয়ালী গ্রামের জনৈক কেয়ামুদ্দীন
খাঁ ও তার পরিবার প্রায় ৪ বছর পূর্বে গার্মেন্টসে কাজ করার সূত্রে
চট্টগ্রামে অবস্থান করে। সেখানে কেয়ামুদ্দীন খাঁ’র কন্যা আসমা খাতুনের সাথে
পরিচয় হয় কুমিল্লা জেলার বরুরা থানার কাচিয়াপুকুরিয়া গ্রামের মনু মিয়ার
পুত্র আক্তারুজ্জামান সোহেলের (২৮)।
পরিচয় সূত্রে সোহেল পাইকগাছায় এসে আসমাকে বিয়ে করে সরল গ্রামের শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাড়ী ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। সোহেল তার গ্রামের বাড়ী থেকে সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা পাইকগাছা পৌর ও চাঁদখালী এলাকার অনেকের সাথে লেনদেন গড়ে তোলেন।
অভিযোগ উঠেছে, সোহেলের স্ত্রীর আচার-আচরণ সন্তোষজনক না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। বাসা বাড়ীতে এলাকার প্রভাবশালী লোকজনের যাতায়াতকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
এর এক পর্যায়ে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে “বেঁচে থাকলে তোমাকে ঘৃণা করে বাঁচতে হবে, তাই তোমাকে মুক্তি দিয়ে চলে গেলাম।” এ ধরণের একটি চিঠি লিখে বাসা বাড়ী সংলগ্ন আম গাছে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার ওসি সিকদার আককাছ আলী জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতেই সোহেলের স্ত্রী ও শাশুড়ীকে জনৈক কাউন্সিলরের হেফাজতে দেয়া হয় এবং পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা বলা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
এই সংক্রান্ত পূর্ববর্তী পোস্ট :: পাইকগাছায় বহিরাগত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
পরিচয় সূত্রে সোহেল পাইকগাছায় এসে আসমাকে বিয়ে করে সরল গ্রামের শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাড়ী ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। সোহেল তার গ্রামের বাড়ী থেকে সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা পাইকগাছা পৌর ও চাঁদখালী এলাকার অনেকের সাথে লেনদেন গড়ে তোলেন।
অভিযোগ উঠেছে, সোহেলের স্ত্রীর আচার-আচরণ সন্তোষজনক না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। বাসা বাড়ীতে এলাকার প্রভাবশালী লোকজনের যাতায়াতকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
এর এক পর্যায়ে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে “বেঁচে থাকলে তোমাকে ঘৃণা করে বাঁচতে হবে, তাই তোমাকে মুক্তি দিয়ে চলে গেলাম।” এ ধরণের একটি চিঠি লিখে বাসা বাড়ী সংলগ্ন আম গাছে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার ওসি সিকদার আককাছ আলী জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতেই সোহেলের স্ত্রী ও শাশুড়ীকে জনৈক কাউন্সিলরের হেফাজতে দেয়া হয় এবং পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা বলা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
এই সংক্রান্ত পূর্ববর্তী পোস্ট :: পাইকগাছায় বহিরাগত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু