Monday, December 4, 2017

যুগপূর্তি অনুষ্ঠান; নিবন্ধন শেষ ৫ ডি‌সেম্বর

সময়ের পরিক্রমায় দীর্ঘ এক যুগ পার করতে চলেছে ঢাকাস্থ পাইকগাছা সমিতি। 'পাইকগাছার উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ' - এমন স্লোগান নিয়ে ১২ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকায় বসবাসকারী পাইকগাছা উপজেলার সন্তানদের নিয়ে গঠিত সংগঠনটি।

যুগপূর্তি ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় ঢাকার তোপখানা রোডের বিএমএ অ‌ডি‌টো‌রিয়ামে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।


সমিতির যুগপূর্তি অনুষ্ঠান জাকজমকপূর্ণ করে তুলতে আয়োজন চলেছে জোরেসোরে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম। আগ্রহী যে কেউ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অংশগ্রহণ করতে পারেন এই অনুষ্ঠানে।

আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন যুগপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য সচিব তুহিন পারভেজ।

নিবন্ধনসহ যে কোন প্রয়োজনে নিন্মোক্ত নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পাইকগাছা সমিতির সভাপতি জিএম কেরামত আলী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুস সাত্তার।

০১৭১৬-৬০১৪৫৮ || ০১৭২৭-৫৪৯৫৯৭
০১৯১৬-০৩৯৭৬৬ || ০১৭১৩-২৪৩৫৬৫

(নিবন্ধন চলবে ৫ ডি‌সেম্বর পর্যন্ত)

তদন্তের মুখে আগড়ঘাটা মাধ্যমিকের ৩ শিক্ষক

পাইকগাছার আগড়ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হওয়া ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে মাউশি। গত ৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর টি এম জাকির হোসেন ৩৭.০২. ৪৭০০.০০০. ০১.০০১.০১. ১৭-২১৭১ স্মারকে অভিযুক্তদের নিয়োগ সংক্রান্ত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় কাগজপত্রসহ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষককে ৫ ডি‌সেম্বর মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলেছেন।


এর আগে তারা মাউশির নির্দেশে পর্যায়ক্রমে তাদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা সংশ্লিষ্ট কোষাগারে জমা দিয়ে দেন। তবে এই সংক্রান্ত একটি মামলা উচ্চা আদালতে চলমান অবস্থায় শিক্ষকদের মধ্যে ২ জন, মোঃ বাবর আলী গোলদার ও বিপ্লব কান্তি মন্ডল পুনরায় তঞ্চকতামূকভাবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে তাদের বেতন এমপিও করে নেন। ঠিক এমন অবস্থায় বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে ধরা পড়ায় নতুন করে তদন্ত শুর হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, গত ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী শিক্ষক হিসেবে ২ বছরের মধ্যে এমপিও না দেয়ার শর্তে নিয়োগ পান বাবর আলী গোলদার, বিপ্লব কান্তি মন্ডল ও বিধান কুমার বিশ্বাস।

তবে আইলা দুর্গত এলাকা দেখিয়ে ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য ডিও লেটার পাঠান। তার আগে ৫ জুলাই সাবেক প্রধান শিক্ষক মিহির কুমার দাশের পাঠানো আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্ত ভঙ্গ করে ২০১৩ সালের মে মাসে উক্ত ৩ শিক্ষকের বেতন এমপিও হয়।

এরপর ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর মাউশির মহাপরিচালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৯৯.১৮৪.১৬.৯৫৮৮৬/৬ নং স্মারকে বিদ্যালয়ের অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত উক্ত ৩ জন শিক্ষকের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। যার প্রেক্ষিতে বিধান বিশ্বাস ছাড়া অন্য ২ জন তাদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ কোষাগারে জমা দিয়ে দেন।

প্রসঙ্গত ঐসময় সারা বাংলাদেশে এভাবে নিয়োগ ও শর্ত ভঙ্গ করে এমপিওভুক্ত হওয়া ২৮৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে উচ্চা আদালতে তাদের নিয়োগ বাতিলে মাউশি থেকে একটি মামলা করা হয়। যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

এদিকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ জন মোঃ বাবর আলী গোলদার ও বিপ্লব কান্তি মন্ডল পুনরায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের অনলাইনে তাদের বেতন এমপিও করে নেন। যার ইনডেক্স নং যথাক্রমে ১০৭৫৮৮২ ও ১০৭৫৮৮৩।

সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবালয় নির্দেশনা/২০১৪ এর ১৭২ অনুযায়ী তদন্তপূর্বক সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ মতামত প্রেরণের নির্দেশ দিলে মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক এই তদন্ত শুরু করেছেন।

এ ব্যাপারে আগড়ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, তার নিয়োগের বেশ পূর্বেই তাদের নিয়োগ হয়েছে, তাই তাদের নিয়োগ ও কাগজপত্র প্রেরণের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

--শেখ দীন মাহমুদ, পাইকগাছা।

শিবসা সাহিত্য অঙ্গনের সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী শিবসা সাহিত্য অঙ্গনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠের আসর, বেগম রোকেয়া দিবস ও মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে রোজ বার্ড কিন্ডার গার্টেন স্কুল মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি সুরাইয়া বানু ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।


উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন অধ্যাপক রমেন্দ্রনাথ সরকার, প্রধান শিক্ষিকা অনিতা রানী মন্ডল, এসআই রফিকুল ইসলাম রফিক, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, প্রভাষক লুৎফা ইসলাম, সোমা রায়, বজলুর রহমান, সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, আফরোজা পারভীন শিল্পী ও গাজী শহিদুল ইসলাম খোকন।

অনুষ্ঠানের শুরতেই পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের উপর আলোচনা করা হয়।

এছাড়া কবিতা পাঠের আসরে ওসি আমিনুল ইসলাম'সহ শিবসা সাহিত্য অঙ্গনের সদস্যরা কবিতা ও সংগীত পরিবেশন করেন। 

সবশেষে আগামী ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

তীব্র যানজটে স্থবির কপিলমুনি বাজার

পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারের মাঝখানে প্রধান সড়কের উপর সব সময়ই দাড়িয়ে থাকে পাইকগাছা-খুলনা রুটের কোন না কোন বাস। ফলে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজটের।


পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা অন্য কোন বাস, দাড়িয়ে থাকা বাসটিকে ওভারটেক করার উপক্রম না করলে বাস ছাড়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। পরের বাস ১০ মিনিট/ ২০ মিনিট/ ৩০ মিনিট যত দেরিতেই আসুক না কেন, কিছুই যেন আসে যায় না বাস শ্রমিকদের।


ছবি তুলেছেন :: এ. কে আজাদ

পাঁচারকালে রোহিঙ্গা তরুণীসহ ২ মাওলানা আটক; একজনের বাড়ি পাইকগাছায়

ত্রাণ বিতরণের নামে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসা দুই মাওলানা এক সুন্দরী রোহিঙ্গা তরুণীকে পাঁচারকালে ধরা পড়েছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা শিবির থেকে ওই সুন্দরী তরুনীকে কক্সবাজারের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে।


শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের উখিয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে হাতে-নাতে ধরা পড়েন রোহিঙ্গা তরুণীসহ মওলানাদ্বয়। 

পরে ধৃতদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা উখিয়া থানার পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। পুলিশ থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোহিঙ্গা তরুণীকে ছেড়ে দিলেও ভ্রাম্যমান আদালত আটক হওয়া ২ মওলানাকে ৭ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

দণ্ডিত মাওলানাদ্বয় হলেন, পাইকগাছা উপজেলার বেতবুনিয়া এলাকার ফাতেউল সরদারের ছেলে মাওলানা মোঃ হারুন অর রশিদ (৩৬) ও সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার জামালনগর এলাকার আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে মুফতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম (৩৭)। আটক বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা বস্তির তরুণী খালেদা বেগমকে (২০) তার পিতার জিন্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জানান, রোহিঙ্গা শিবিরে এসব ‘ধান্দাবাজ ত্রাণদাতা’দের উপ্রদব এত ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে যে, আমরা তাদের সামাল দিতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছি। তিনি জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকেই এরকম ‘ধান্দাবাজ’ ব্যক্তিরা নানা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের সেবার নামে আসছে।

বাস্তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রকৃত ত্রাণদাতাদের চাইতে এরকম রোহিঙ্গা নারীর সন্ধানে আসা লোকের সংখ্যাই বেশি। জেলা প্রশাসক বলেন, এর আগেও ত্রাণ দেয়ার নামে শিবিরে ঢুকে নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৬ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদেরও বেশির ভাগ নিজেদের আলেম-ওলামা পরিচয়ধারি ব্যক্তি বলে জানান জেলা প্রশাসক।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, আটক মাওলানাদ্বয় সর্ম্পকে আমি তাদের স্ব স্ব এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তারা দুইজনই বিবাহিত। তাদের উভয়েরই ঘর-সংসার থাকা সত্বেও এই রোহিঙ্গা তরুণীকে ফুসলিয়ে কক্সবাজার শহরের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

তিনি জানান, ইতিমধ্যে এরকম নারীসহ মানব পাচারকারী ও মাদক পাচারকারীসহ নানা অপরাধে ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।