Tuesday, March 25, 2014

ঘুর্ণিঝড় আতংকে পাইকগাছার ৪ লক্ষাধিক মানুষ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অব্যাহত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুকিপূর্ণ স্থানে থাকা উপকূলীয় পাইকগাছার ৪ লক্ষাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়সহ নানাবিধ সংকটে দিনাতিপাত করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না থাকায় অজানা আতংকে ভুগছে উপকুলবাসী।

৪ লক্ষাধিক মানুষের জন্য কোন সাইক্লোন শেল্টার নাই। প্রাইমারী স্কুল নির্ভর ২৫টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে যা জনসংখ্যার তুলনায় খুবই সামান্য। ১০টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপকুলীয় পাইকগাছা উপজেলা। এক সময় জনদপটি ছিল শষ্য শ্যামল সবুজ ঘেরা মনুষ্য বসবাসের নিরাপদ এলাকা। কিন্তু ৮০ দশক থেকে এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে শুরু হয় পরিবেশ বিধ্বংসী লবণ পানির চিংড়ি চাষ, শুরু হয় পরিবেশ শাসনের পালা।

বিস্তীর্ণ মিঠা পানির এলাকা চিংড়ি চাষের উপযোগী হিসেবে প্রস্তুত করতে অনুপ্রবেশ করানো হয় মাত্রাতিরিক্ত লবণ পানি। আর তখন থেকে মুলতঃ মায়াবী ছায়া সুশীতল জনপদ পড়তে থাকে পরিবেশ বিপর্যয়ের কালো থাবা। বিরূপ প্রভাব পড়তে থাকে জীব-বৈচিত্র্যের উপর। হ্রাস পেতে থাকে নদ-নদী, খাল-বিলের নাব্যতা। সম্প্রতি সময় নদী সমুহের নাব্যতা হ্রাসে জোয়ারের উগে দেওয়া পানিতে প্লাবিত হচ্ছে পাইকগাছাসহ আশ-পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উড়িষ্যয় ১৯৯৬ সালে পরিবেশ বিধ্বংসী চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ ঘোষনার পর বাংলাদেশও ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে মহামান্য হাইকোর্ট উপকুলীয় অঞ্চলে কৃষি জমিতে লবণ পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ করেন। তবে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের দুর্বলতা ও চরম অসচেতনতায় আইনটির যথাযথ প্রয়োগ না করার কারণে আলোর মুখ দেখেনি আজও।

সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা এ অঞ্চলের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার, নিরাপদ আশ্রয়ে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মান না করলে ৪ লক্ষ মানুষ থাকছে চরম ঝুকিতে।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, তার আওতাধীন উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে সুন্দরবনের কোল ঘেষা গড়ইখালী, দেলুটি, লতা, চাঁদখালী ও সোলাদানা ইউনিয়নে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় সেখানকার মানুষ সব সময় ঝুকিতে থাকে।

ইস্যু কপোতাক্ষ; কপিলমুনি বাজারের উন্নয়ন ব্যাহত করার অপচেষ্টা

পাইকগাছায় ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক শহর কপিলমুনি বাজারের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। কুচক্রী মহলটি বাজারের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে কপোতাক্ষ নদকে ইস্যু করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সর্বপরি স্থানীয় এমপিকে জড়িয়ে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এ বানিজ্যিক শহরটি সারাদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিতি থাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রসার ঘটার ফলে ধীরে ধীরে বাজারের জায়গা সংকীর্ন হয়ে আসছে। ফলে সীমিত জায়গায় মাছ, মাংস ও কাঁচা বাজার পরিচালিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাজারের পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে আসছে। অবশেষে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাছ বাজার সম্প্রসারনের জন্য এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের স্মরনাপন্ন হলে ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে পরিকল্পিতভাবে প্রোক্ত পন্যের বিক্রয়ের জন্য সম্প্রসারিত স্থান গড়ে তোলার জন্য এমপি ব্যবসায়ীদের আশ্বাস প্রদান করেন।

পরবর্তীতে বনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ী যুগোল কিশোর দে কে আহবায়ক করে একটি উন্নয়ন কমিটি গঠন করেন এবং কপিলমুনি বাজারের সাবেক সীমানার পাশে নদী ভরাটের কিয়দাংশ জায়গা নিয়ে মৎস্য আড়ৎ নির্মানের পরিকল্পনা করেন। অপরদিকে ইতোপূর্বে চরভরাটি জায়গায় প্রোক্ত বিপনী কেন্দ্র নির্মানের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় এমপি ভূমিমন্ত্রী বরাবর একটি ডিও লেটার প্রদান করেন।

সর্বপরি বনিক সমিতির পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মৎস্য আড়তের নির্মাণকাজ শুরু করায় চলতি বছর বাজার থেকে সরকারের রাজস্ব গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা জানান, গত বছর বাজারের ইজারা মূল্য ছিল ১৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, চলতি বছর মৎস্য আড়ৎ মার্কেটের নির্মানকাজ শুরু হওয়ায় চলতি বছর সরকারের রাজস্ব ৩২ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ জানান, মাছ বাজার সংকীর্ণ হওয়ায় এ অঞ্চলের উৎপাদিত হাজার হাজার মন মাছ অনত্র চলে যায়, এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব কমে যেত এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধিসহ মৎস্য ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তি পেতে হত।

ব্যবসায়ী সাধন ভদ্র জানান, একটি কুচক্রী মহল উন্নয়ন কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় বাজারের উন্নয়ন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মহলটি কপোতাক্ষকে ইস্যু বানিয়ে উন্নয়ন কাজে বাঁধাগ্রস্থ করছে।

তিনি উদাহরণ স্বরুপ বলেন, মাগুরা থেকে পাটকেলঘাটার ভাগবা পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের উপর ২২টি ইটভাটা রয়েছে, তালা বাজার সংলগ্ন গরুহাট, কাঁচাবাজার ও মাছবাজার এবং কানাইদিয়া ও জেটুয়া এলাকায় হাজার হাজার বিঘা চরভরাটি জায়গা জবরদখল করে ঘের, ধানচাষ ও বসতবাটি স্থাপিত হয়েছে। অথচ সংকীর্ণ কপিলমুনি বাজারকে প্রশ্বস্থ করতে ৪৮০ ফুট নদের ৫০ ফুট বাজার সংলগ্ন জায়গায় মাছ বাজার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্ঠা করছে কুচক্রী মহলটি।

স্বাধীনতা পদক পেলেন ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান

স্বাধীনতাযুদ্ধ ছাড়াও শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং কৃষি উন্নয়নে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ বছর বিশিষ্ট ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তরা হলেন- সংস্কৃতিতে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সাবেক গণপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আবুল খায়ের (মরণোত্তর), মুন্সী কবির উদ্দিন (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, শহীদ কাজী আজিজুল ইসলাম (মরণোত্তর), খসরুজ্জামান চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এস বি এম মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হারিছ আলী এবং ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান (মরণোত্তর)।

কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের অবস্থা ভয়াবহ

উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত পাইকগাছা, কপিলমুনি-তালা টু আঠারমাইল সড়কটি। প্রায় ৯ মাস যাবৎ পরিবহন সহ ভারী যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নেই মেরামত বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ। শুধুমাত্র আন্তরিকতার অভাবে নাগরিক সুবিধাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। অবশেষে ৬ ফেব্রুয়ারি সড়কটির ভয়াবহ চিত্র জাতীয় সংসদে তুলে ধরে সংস্কারের দাবি জানান, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক।

ছবিটি পাইকগাছা ও তালা উপজেলার সীমান্তবর্তী সড়ক থেকে তোলা। (ফাইল ফটো)
অথচ পরিতাপের বিষয় ২০০৮ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা ও তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনার শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কের কোন উন্নয়ন হয়নি। সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়েছে এই জনপদের লাখ লাখ ভুক্তভোগী মানুষ।

সড়কের অবস্থা এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যানবহনতো দুরের কথা সাধারন মানুষ পায়ে হেটে চলতে পারেনা। বন্ধ হয়ে গেছে পরিবহন সহ ভারী যান চলাচল। চরম ভোগান্তির শিকার কয়রা, পাইকগাছা, তালা সহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে ব্যবসা বানিজ্য।

তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, আঠারমাইল থেকে তালা-কপিলমুনি টু পাইকগাছার ৩০ কিলোমিটার সড়কের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খাদ। প্রতিদিন দূর্ঘটনা লেগেই আছে। শুধুমাত্র হুস হচ্ছে না সরকার বা দায়িত্বশীলদের। বর্ষা মৌসুমে সড়কের তালা বাজারে কপোতাক্ষের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে ঐসব এলাকায় যান বহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ নানান সংগঠন গুলি চিৎকার করলেও সরকারে ৫ বছরেও সড়কটি মেরামত বা পুনঃসংস্কার হয়নি। ফলে ক্ষুদ্ধ এই অঞ্চলের প্রায় ৫ লক্ষাধীক মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষেরা। বাঁচার তাগিদে ভ্যান গাড়ী বা ইজ্ঞিন চালিত বাইক নিয়ে সড়কে চলাচল করতে গিয়ে যে টাকা আয় করছে তার চেয়ে দ্বিগুন টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে যানবহন মেরামতের জন্য।

এই সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়রা, পাইকগাছা, তালা এই তিনটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ চলাচল করছে আর গালিগালাজ করছে। অথচ এ বিষয়ে মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী সাবেক দুই সংসদ সদস্য নেননি কোন ভূমিকা।

তাছাড়া, আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এই সড়কে রয়েছে প্রায় ৫৬ টি বিপদজনক মোড়। এই সড়কের জাতপুর বাজার, তালা বাজার, কপিলমুনি বাজার, মামুদকাটি মোড়, আগড়ঘাটা বাজার, গদাইপুর, নুতন হাট খোলা, পাইকগাছা পৌরসভা প্রভৃত এলাকায় সড়কের উপর যত্রতত্রভাবে ভ্যান ও নসিমন করিমন রেখে যানজোট সৃষ্টি সহ যাত্রীবাহী মিনিবাস ষ্ট্যান্ডে না দাঁড়িয়ে ঐসব বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় যানজোট লেগেই আছে। বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ঠদের।

অথচ এই অঞ্চলের উৎপাদিত হিমায়িত চিংড়ি, কাঁকড়া, কুচে বিদেশে রফতানি করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে আসছে। শুধুমাত্র আন্তরিকতার অভাবে নাগরিক সুবিধাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তিমেতেই থেকে যাচ্ছে।

কৃষি যান্ত্রীকরণের উপর কর্মশালা ও গম কর্তন প্রদর্শণী

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী খুলনার উদ্যোগে সিসা এমটি প্রকল্পের আয়োজনে পাইকগাছা কৃষক প্রশিক্ষণ হলে খুলনা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষি যান্ত্রীকরণের উপর কর্মশালা ও গম কর্তনে যান্ত্রীকরণের প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষক প্রশিক্ষণ হলে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা দৌলতপুরের চীপ ইন্সটেক্টর এটিআই মোঃ আনিছুজ্জামান, খুলনা জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কিংকর চন্দ্র দাস, খুলনা শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ শেখ মোঃ শহিদুজ্জামান, খুলনা দৌলতপুর উদ্যানতত্ব বিদ মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র সাহা, অরবিন্দু কুমার, মোঃ শরিফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, পঙ্কজ কান্তি মজুমদার, বুদ্ধদেব সেন, জাকিয়া সুলতানা, শরিফুল ইসলাম, মোহন কুমার ঘোষ, বাদল কুমার কর্মকার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ মহাসীন আলী, শামিম আরা নিপা, জেসমিন খাতুন সহ পাইকগাছা ও কয়রার উপ-সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ।

উপজেলার মালথ গ্রামে যন্ত্রের সাহায্যে গম ক্ষেতের গম কর্তনের প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়। ১ একর জমিতে শ্রমিকের দ্বারা গম কাটতে ২৪’শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে কৃষি যন্ত্রের দ্বারা গম কাটতে খরচ হয় মাত্র ২ থেকে ৩’শ টাকা। গম কর্তন প্রদর্শণীতে মালথ ব্লকের ব্যাপক কৃষক-কৃষানী ও এলাকার সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কপিলমুনিতে বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস পালিত

কপিলমুনিতে ভূমিজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘বর্ণবাদ নিপাত যাক’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস-২০১৪ পালিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় এ উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি কপিলমুনি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা অন্ত্যজ পরিষদের সভাপতি কুসুম রানী সরকার।

ভূমিজ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল্লাহেল হাদী সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভূমিজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান অচিন্ত্য সাহা, অধ্যাপক রেজাউল করিম, ইমদাদুল হক, স্বরসতী দাস, রানী বেগম, সুজিত দাস প্রমুখ।

পাইকগাছায় ইসলামী ব্যাংকের নতুন ভবনের উদ্ভোধন

পাইকগাছায় ইসলামী ব্যাংক পাইকগাছা শাখার নতুন ভবনের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবর সকালে ফিতা কেটে পৌর সদরের প্রধান সড়কস্থ নতুন ব্যাংক ভবনের উদ্বোধন করেন জোনাল অফিসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট। 

পরে শাখা ব্যবস্থাপক মাগফুরুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোনাল অফিসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু নাসের মোহাম্মদ নাজমুল বারী।

জোনাল অফিসের অফিসার মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কাজী আজিজুল করিম, আমিন উদ্দিন সরদার, মুক্তিযোদ্ধা গাজী রুহুল আমিন, মাওঃ হাফেজ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, এ্যাড. হুমায়ুন কাদির, দাউদ শরীফ।

উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, আমিনুল ইসলাম বজলু, আলমগীর সানা, মোসাদ্দেক হোসেন মিন্টু, আলহাজ্ব মুরশাফুল আলম, কুদরত-ই খোদা খোকন, অতিশ মন্ডল, সহকারী ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসাইন, আব্দুস সালাম মল্লিক ও হাকিম শাহাদাৎ হোসেন।

বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে পাইকগাছায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা

বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে পাইকগাছায় জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসুচী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ব্রাকের যৌথ আয়োজনে সোমবার সকালে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

র‌্যালী শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রভাত কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বক্তৃতা করেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুকলাল বৈদ্য, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাফিকুল ইসলাম শিকদার, ব্রাকের উপজেলা ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার রায়, পিও ল্যাব সুপ্রিয়া রাণী মৃধা, পিও অনির্বান সরকার, আব্দুল গপ্ফার লিঠু, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি ইলিয়াস হোসেন, আইয়ুব হোসেন, পরিসংখ্যানবিদ মাসুরুজ্জামানসহ ব্রাকের স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বাস্থ্য সেবিকারা অংশ গ্রহন করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে উপজেলায় ২৯০ জন যক্ষা রোগী সানাক্ত করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।