আমরা একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেই....
বাঁচবে সম্ভাবনাময় একটি জীবন, নিভবেনা একটি পরিবারের আশার প্রদীপ
পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে ডুমুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম রামনগর। এই গ্রামের মোঃ সাইফুল্লা খানের তৃতীয় সন্তান মোঃ মিন্টু খান, যার শৈশবকাল কেটেছে চরম দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে। শিশু বয়সে সবাই যখন খেলা করে সময় পার করত, সে তখন খাতা কলম কেনার অর্থ জোগাড় করার জন্য অন্যের গরু চরাতে মাঠে যেত। বড়দের সাথে মৎস্য ঘেরে সারাদিন কাজ করে কিছু টাকা রোজগার করত। বাবা-মা কষ্ট করে সামান্য যে কয়টি টাকা আয় করতেন তা দিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করাই কঠিন ছিল।
এভাবে নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে চরম দারিদ্রতার মাঝে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে। সে ২০০৫ সালে কে.আর.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাশিমনগর থেকে ৪.১২ পেয়ে এস.এস.সি পাস করে এবং ২০০৭ সালে কপিলমুনি কলেজ থেকে ৪.৪০ পেয়ে এইচ.এস.সি পাস করে। ২০১৩ সালে বি.এল. বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বি.এ (অনার্স) অর্থনীতি বিষয়ে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে সে মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র।
![]() |
মোঃ মিন্টু খান |
কিন্তু হঠাৎ অগ্ন্যাশয়ের প্যানক্রিয়েটাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে খুলনা নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে মিন্টু বাড়ী ফেরে।
কিন্তু বিধি বাম, বর্তমানে তার অবস্থা আবারও ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। তার পরিবারের পক্ষে এ চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।এলাকার কিছু উদ্যমী শিক্ষিত ছেলে আশে পাশের স্কুল ও কলেজ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে কোনমতে তার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করছে।
ডাক্তারের ভাষ্য মতে, তাকে অনেক দিন সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তার অসহায় পরিবার তাদের আশার প্রদীপকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে করজোড়ে অর্থ সাহায্য প্রার্থনা করছে। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করলে হয়ত সম্ভাবনাময় জীবনটি বাঁচানো সম্ভব হবে।
আমরা কি আমাদের সকল মানবিকতা নিয়ে মিন্টুর পাশে দাড়াতে পারিনা?
সাহায্যের ঠিকানা ::
মোঃ মিন্টু খান
সঞ্চয়ী হিসাব নং - ৩৪০৮৪৬৮৬
জনতা ব্যাংক, কপিলমুনি বাজার শাখা
পাইকগাছা, খুলনা।
সাহায্য পাঠেতে পারেন বিকাশ নম্বরে :: ০১৭৩৪-১৯৪৮৯৪ (পার্সোনাল)