Monday, July 1, 2013

পাইকগাছায় স্কুল শিক্ষিকার বাড়ীতে দুধর্ষ চুরি

পাইকগাছা অভিনব কায়দায় এক স্কুল শিক্ষিকার বাড়ীতে দুধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে নগদ অর্থসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার স্বর্নালংকার চুরি করেছে বলে জানা গেছে।

পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সরল গ্রামের প্রভাষক
কার্তিক চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী স্কুল শিক্ষক সুষমা রাণী মন্ডল ঘটনার দিন রোববার সকালে পেশাগত কাজে স্কুলে কর্মরত ছিলেন। এদিন কার্তিক মন্ডল জরুরী প্রয়োজনে খুলনায় যান। বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে দুপুরে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র অভিনব কায়দায় বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে আলমারী ভেঙ্গে নগদ অর্থ ও ৪ ভরি স্বর্নালংকারসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায়। পরে ৪ টার দিকে স্কুল শিক্ষিকার এক আত্মীয় তাকে খবর দিলে বাড়ীতে এসে আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করা দেখতে পান।

এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষিকা সুষমা রাণী জানান, বাড়ির মেইন ফটক এবং ঘরের সকল দরজা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ থাকলেও কিভাবে চোরেরা ঘরের ভিতর প্রবেশ করল বুঝে উঠতে পারছি না।

পাইকগাছায় ডাকাতি ঘটনার মামলা না নেয়ার অভিযোগ

পাইকগাছায় দুধর্ষ ডাকাতি ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলা গ্রহন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন মঙ্গলবার দিনগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার লতা ইউনিয়নের কাঠামারি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ গাজীর পুত্র মুকিত গাজীর চিংড়ী ঘের সংলগ্ন বসতবাড়ীতে দুধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। ২৫/৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত বাড়ীর কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের ভিতরে থাকা আলমারী, সোকেচ ও বাক্স ভাংচুর করে নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা, দলিল পত্রাদি, মূল্যবান কাগজপত্র ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পরেরদিন থানায় অভিযোগ করলেও গত ৪দিনে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগের কথা স্বীকার করে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে ওসি (তদন্ত) ওমর ফারুক জানান।

মামলা প্রত্যাহারে সন্ত্রাসীদের হুমকি; নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক পরিবার

পাইকগাছায় সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সন্ত্রাসীরা হুমকি প্রদর্শন করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে সাংবাদিক পরিবার। হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। যার নং-১৩৬৬। এদিকে হামলার ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি।

জানা যায়, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে উপজেলার বাহিরবুনিয়া গ্রামের ছহিলউদ্দিন গাজীর পুত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী রাজীব ২৭ জুন সন্ধ্যায় গঙ্গারকোনা গ্রামের এক্ন্তা রায়ের পুত্র সাংবাদিক কৃষ্ণ রায়কে কাঠামারি বাজারে বেদম মারপিট করে আহত করে। এ ঘটনায় সাংবাদিক কৃষ্ণ রায় বাদী হয়ে ২৮ জুন সন্ত্রাসী রাজীবসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে।

এদিকে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী রাজীব ও তার দলবল গত শনিবার দুপুরে সাংবাদিকের বাড়ীতে চড়াও হয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের জন্য পিতা একান্ত রায় ও দাদা বিষ্ণুপদ রায়কে হুমকি প্রদান করে। ঘটনার ৪দিনেও পুলিশ কোন আসামীকে আটক করতে না পারায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে সাংবাদিক ও তার পরিবার। ভয়ে বাড়ী ফিরতে পারছে না হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক কৃষ্ণরায়। এ ব্যাপারে আসামীদের আটকের চেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে বলে এসআই সিরাজ জানান।

অপরদিকে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে পাইকগাছার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

পাইকগাছায় আটক ৩ বিএনপি কর্মীকে আদালতে প্রেরণ

পাইকগাছায় আটক বিএনপি অঙ্গসংগঠনের ৩ কর্মীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদক সেবন ও সরবরাহকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ৩ কর্মীকে ভিলেজ পাইকগাছার মটরসাইকেল স্ট্যান্ড থেকে আটক করে।

জানা যায়, ভিলেজ পাইকগাছা ও পৌর সদরের ৩ যুবক গত শুক্রবার সোলাদানার মটরসাইকেল স্ট্যান্ডে উঠতি বয়সের যুবকদের মধ্যে মাদক সরবরাহ করলে এ নিয়ে এলাকাবাসী ও মাদকসেবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এরই জের ধরে শনিবার বিকালে মাদকসেবীদের পক্ষে এলাকাবাসীদের মারপিট করার উদ্দেশ্যে একই স্থানে বিএনপি কর্মীরা অবস্থান নিলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রুস্তম, মামুন ও দীপংকর বাবু নামে বিএনপি অঙ্গসংগঠনের ৩ কর্মীকে আটক করে। আটককৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে এসআই তরিকুল ইসলাম জানান।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টূর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টূর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা রবিবার বিকালে স্থানীয় ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গমাতা ফুটবল টূর্নামেন্টের দক্ষিণ গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১-০ গোলে তকিয়া গোলাবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে।

অপরদিকে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টূর্নামেন্টে নিদৃষ্ট সময়ে কোন গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে তকিয়া গোলাবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তৃপ্তিরঞ্জন সেন, এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মিলি জিয়াসমিন, অহেদুল ইসলাম, দত্ত চিত্ত রঞ্জন, ছন্দা ঘোষ।

গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা অবৈতনিক করতে চান প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা অবৈতনিক করে দেয়া হবে। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ট্রাস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ ও একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে শিক্ষার বিকল্প নেই।

সম্মানীত পাঠকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি....

গতকাল Voice of Paikgacha-তে "ব্রীজের টোল আদায়ের নামে "চুদুরবুদুর" চলবে না !"- শিরোনামে একটি পোস্ট করা হয়েছিল। আপনারা যারা নিয়মিত আমাদের সাথে ছিলেন, নিকট অতীতে একই বিষয়ে আমাদের আরও একটি পোস্ট সম্পর্কে তারা অবগত আছেন।

গতকালের অলোচিত পোস্টে আমাদের একজন সম্মানীত পাঠক তার (সুচিন্তিত !) মন্তব্য করেছেন !

আমরা আপনাদের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করি না। তাই সম্মানীত পাঠকবৃন্দকে দায়িত্বঞ্জানের পরিচায় বহনকারী মন্তব্য প্রদান করে, আমাদের এগিয়ে চলার স্পৃহাকে উৎসাহিত করার জন্য আকুল অনুরোধ জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ !
 


পাইকগাছা পৌরবাসীর দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে

জলাবদ্ধতা, ভাঙ্গাচুরা রাস্তাঘাট ও পর্যাপ্ত সড়ক বাতির অভাব পাইকগাছা পৌরসভার প্রধানতম সমস্যায় রূপ নিয়েছে। পৌরবাসীর এসকল সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের ন্যুনতম ভ্রুক্ষেপ রয়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে না। ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাইকগাছা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভা গঠনের দীর্ঘ দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও পৌরবাসী প্রত্যাশিত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জনদুর্ভোগ দিন দিন শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে।

প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে পৌর শহরের বড় একটি অংশ থাকে পানিতে নিমজ্জিত। তাও আবার যদি হয় লবন পানি, তাহলে দুর্ভোগটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা’ সহজেই অনুমেয়। পৌর অভ্যন্তরে লবণ পানির অনুপ্রবেশ আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও চিংড়ি চাষ হয় না এমন কোন ওয়ার্ড নেই এখানে। ছোট-বড় অসংখ্য চিংড়ি ঘের রয়েছে গোটা পৌর এলাকায়। লবণ পানি নিয়ে প্রশ্ন তুললে পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবরই পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিদপ্তরকে দোষারোপ করে নিজেদের দায় এড়িয়ে যান। পরিবেশ বিধ্বংসী লবণ পানির প্রভাবে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পৌরবাসী।

শহরের রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেক রাস্তায় যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুঃসাধ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের প্রধান সড়কের ডাকবাংলোর দক্ষিণ পাশে, সিনেমা হলের দক্ষিণ পাশে, হাসপাতাল মোড়, টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও জিরোপয়েন্টের দক্ষিণ পাশে রাস্তায় বড়-বড় গর্তের কারণে সামান্য বর্ষা হলেই পানি জমে যায়। পৌর অভ্যন্তর হওয়া সত্ত্বেও প্রধান সড়কটি সওজ’র নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ সেই দোহাই দিয়ে আর সংস্কারের ব্যাপারে মাথা ঘামায় না।

এদিকে ৬নং ওয়ার্ডে প্রবেশের মূল সড়ক (আদালত ভবনের পূর্ব পাশ দিয়ে), ৫নং ওয়ার্ডের আল-আমিন মসজিদ সংলগ্ন সড়ক, সরল কালিবাড়ি মন্দিরের পেছনের সড়কসহ অসংখ্য ইটের সড়কের ইট উঠে রাস্তা ভেঙ্গেচুরে যাওয়ায় সেখানে যানবাহন বা পায়ে চলাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, শহরের বেশির ভাগ স্থানে সড়ক বাতি নেই। ফলে সন্ধ্যা নামার সাথেই এক ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয় গোটা শহরজুড়ে। রাতের আধারে পৌর শহরের রাস্তায় চলাফেরা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকায় ছিচকে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক বাতি না থাকার কারনে। পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, লবন পানি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ভাঙ্গাচুরা রাস্তাঘাট সংস্কার ও পর্যাপ্ত সড়ক বাতি স্থাপনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

লবণ পানির দাপটে ভাল নেই পাইকগাছা-কয়রার মানুষ

সুন্দরবন ঘেঁষে অবস্থিত পাইকগাছা-কয়রা অঞ্চলের অধিবাসীরা ভাল নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও লোনা পানির দাপটে প্রতিনিয়ত তারা রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। অভাব-অনটন জেঁকে বসেছে তাদের পরিবারে। আজও তারা আইলা বা সিডরের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

আগামীতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছে বিশেজ্ঞরা। আর এর অন্যতম কারণ প্রাকৃতিক সমারোহের বিলুপ্তি ঘটিয়ে কৃষি জমিতে অবাধে লোনা পানি তুলে চিংড়ির চাষ। ফলে এখানকার অধিবাসীদের জীবনচিত্রের সাথে সাথে এখানকার ভৌগলিক চিত্রও পাল্টে গেছে। নেই কৃষি জমি। এতে করে দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের তীব্র সংকট। অথচ ৮০ দশকের সময় পাইকগাছা-কয়রায় ঘরে ঘরে পালন করা হতো গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু-পাখি। আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল প্রতিটি ঘরে। তাদের সন্তানরাও থাকতো দুধে-ভাতে।

কিন্তু চিংড়ি চাষের এই দাপটে হারিয়ে গেছে সেই দৃশ্যপট। নেই কৃষাণ-কিষাণীর ধান কাটাসহ ধান মাড়াই ইত্যাদির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এখন আর হয় না কোন নবান্নের উৎসব। ধুম পড়ে না পৌষের পিঠাপুলি তৈরির ব্যস্ততার। এদের জোটে না দুবেলা দুমুঠো ভাত।

৯০ দশকের পর থেকে এ অঞ্চলে ওয়াপদার ভেড়িবাঁধ কেটে অবাধে লোনা পানি ঢুকিয়ে শুরু হয় প্রভাবশালীদের একের পর এক চিংড়ি চাষ। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ মুখর হলেও এদের অবৈধ অর্থের দাপটে তারা বড় অসহায়। প্রতিবাদী গৃহবধূ করুণাময়ী সরদার হত্যা ঘটনা ঢামাচাপা পড়ে গেছে। ওয়াপদার বাঁধ কাটার কারণে আইলা ও সিডরের প্রচন্ডতায় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। ভেঙে যায় ঘরবাড়ি, গৃহহারা হয়ে পড়ে মানুষ। তাদের জীবনে নেমে আসে এক অবর্ণনীয় কষ্ট। আজও তারা সেই কষ্ট কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ হলেও সেই টাকা হয়েছে হরিলুট। আবারও পাউবো এর একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে ভেড়িবাঁধ কেটে লোনা পানি তোলার মহোৎসব শুরু হয়। ফলে আগামীতে আইলা বা সিডরের মত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে এ এলাকায় ঘটতে পারে ব্যাপক প্রাণহানী।