Friday, March 24, 2017

কপিলমুনি বধ্যভূমি আজও অবহেলিত

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর আজও অবহেলিত পাইকগাছার কপিলমুনিতে মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি। মুক্তিযুদ্ধে কপিলমুনির রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস।  রয়েছে একাধিক স্মৃতিচিহ্ন। তবে কপিলমুনির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্মৃতিচিহ্ন রক্ষায় সে ভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনেটা ভুলতে বসেছে নতুন প্রজন্মসহ এলাকাবাসী।
এমনকি কপিলমুনি মুক্তদিবস পালন করা হয় না এমন অভিযোগ স্থানীদের। ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১, এদিন পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি পাক হায়েনা ও তাদের দোসরদের কবল থেকে মুক্ত হয়।

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে তথা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কপিলমুনির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কপিলমুনি ছিল রাজাকারদের দুর্গ এবং শক্তিশালী ঘাঁটি। এ ঘাঁটির মাধ্যমে কপিলমুনি, তালা, ডুমুরিয়াসহ খুলনা ও সাতক্ষীরার বিশাল অংশ রাজাকাররা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
খুলনার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক নগরী বিনোদগঞ্জ প্রতিষ্ঠাতা রায় সাহেব বিনোদ বিহারীর বাড়িটি ছিল রাজাকারদের ঘাঁটি। প্রায় ২০০ রাজাকার ও মিলিশিয়ার ছিল সশস্ত্র অবস্থান। সুবিশাল দোতলা ভবন, চারদিকে উঁচু প্রাচীর অনেকটা মোগল আমলের দুর্গের মতো। সুরক্ষিত দুর্গে বসে চলতো তাদের অত্যাচার।
তাদের নির্যাতনের মাত্রা এতটা ভয়াবহ ছিল যে, আজো সে দিনের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে অনেকেই গা শিহরে ওঠেন। নিরহ মানুষদের নির্যাতন করে হত্যার পর গোপন সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে লাশ পাশের কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয়া হতো। নদের ফুলতলা নামক স্থানে মানুষদের হত্যা করা ফেলা হতো।

স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ প্রায় ৪২ বছর বধ্যভূমি সরক্ষণ করা হয়নি। ২০১৩ সালে বছরের প্রথম দিকে তৎকালীন সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব মোঃ রশীদুজ্জামান মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমি নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
কিন্তু পরবর্তী ক্ষমতার পালাবদল ও অর্থাভাবে মাঝ পথে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অর্ধনির্মীত স্মৃতিস্তম্ভ গত কয়েক বছর একালাবাসী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঅর্ঘ্য নিবেদন করে আসছে।
কিন্তু গত বছর কপোতাক্ষ নদ খননের নামে অর্ধনির্মীত স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করা হয়। আর বছরের অন্যসময় অর্ধনির্মীত অরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ থাকছে নোংরা অবস্থায়। এর আগে উপজেলা ভূমি অফিস বাংলা ১৪১৮/১৯ সালে বধ্যভূমির জায়গায় নক্শা প্রনয়ন করেন। সে মোতাবেক ডিসিআরও দেওয়া হয়।
বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্থম্ভ নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় বাংলা ১৪২০ সালের জন্য ডিসিআর নিয়ে কতিপয় ভূমিদস্যুরা স্মৃতিস্তম্ভ এর সামনের জায়গা দখলে যায়। তবে নদ খননে সে দখল টিকে থাকেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র পরিকল্পিক ভাবে বধ্যভূমির স্মৃতি নষ্ট করতে চায়।
বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক ২৫ মার্চ ফুলতলা বধ্যভূমি ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন বলে ২৪ মার্চ দুপুর ১টার দিকে নাম ফলক বসানোর কাজ চলতে দেখা যায়।

--মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, কপিলমুনি, পাইকগাছা।

আন্তর্জাতিক মানের পাইকগাছা-কপিলমুনি সড়ক !

গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে কড়ুলিয়া খেয়াঘাটের রাস্তা সংস্কার

পাইকগাছা পৌরসভাস্থ কড়ুলিয়া খেয়াঘাটের রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই শোচনীয়। রাস্তা খুবই সরু ও নিচু হওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয় পৌরসভার সাথে শিবসা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন কড়ুলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের জন্য বসে না থেকে নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধানের উদ্যোগ নেয় গ্রামবাসী। স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে শুক্রবার সকাল থেকে মাটি কেটে রাস্তা চওড়া ও উচু করার কাজ শুরু করে কড়ুলিয়া গ্রামের লোকজন।
ছবি :: চন্দন সরকার



এই কাজের উদ্যোক্তা কড়ুলিয়া গ্রামের শিক্ষক সাধন চন্দ্র সানা এবং আশুতোষ কুমার মন্ডল জানান, শুক্রবার কাজের শেষে স্বেচ্ছাশ্রমীকদের ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে।

Tuesday, March 21, 2017

আজ বিশ্ব কবিতা দিবস

জন্মায় ! কবিতা জন্মায় ! কীভাবে জন্মায় একটি কবিতা? কীভাবে বেড়ে ওঠে একটি কবিতা? নাকি ইচ্ছের লালন থেকে বেড়ে ওঠা সবই কবিতা, কবিতার কথা? কবিতা কি চোরা পথ ধরে বেড়ে ওঠা প্রেম ও প্রকৃতির খেলা? এমন হাজারো প্রশ্ন আছে কবিতা নিয়ে। আজ ২১ শে মার্চ, বিশ্ব কবিতা দিবস। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এই দিনটিকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। পূর্বে অক্টোবর মাসে বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করা হত। প্রথমে ৫ অক্টোবর এবং বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালন করা হত।

কবিতা ছড়িয়ে যাক সকল হৃদয়ে, আবৃত্তি হোক একের পর এক, রচনা, পাঠ ও কবিতা প্রকাশনা উৎসাহিত হোক।

Tuesday, March 14, 2017

দুর্ভোগের আরেক নাম পাইকগাছা-কপিলমুনি সড়ক

মৌসুমের শুরুতেই টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবুজ প্রকৃতি ও কৃষি ফসলের উপকার হলেও যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের উপজেলা সদর থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কে। ইতোমধ্যে সড়কটি দুর্ভোগের জন্য ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।



দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটি পরিণত হয় খানা-খন্দে। গত কয়েক বছরের মধ্যে সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে উপকূলীয় কয়েকটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষকে প্রতিনিয়তই যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দীর্ঘদিন পর সড়ক সংস্কারে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এমন খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আসলেও সংস্কারের আগেই মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাতে যাতায়াতে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে দুর্ভোগের জন্য পরিচিত সড়কটি। 

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সড়কের বড় বড় গর্তে হাঁটু পানি জমে অনেকটাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাতায়াতে যেমন ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে যানবাহনের তেমনি দুর্ভোগ বেড়েছে পথচারীদের। গর্ত পার হওয়ার সময় ভারি যানবাহনের ছিটকে দেওয়া পানিতে ভিজে যেতে হচ্ছে পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে।

এলাকার প্রত্যেক মানুষের একটাই প্রশ্ন, আর কতদিন পোহাতে হবে সড়কে এমন দুর্ভোগ !

তালায় পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারযুক্ত কচ্ছপ উদ্ধার

তালা উপজেলায় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারযুক্ত একটি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। কচ্ছপটির ওজন ১২ কেজি। সোমবার সকালে উপজেলার পাখিমারা বিলের জোয়ারাধারে (টিআরএম) মাছ ধরার সময় দোহার গ্রামের শেখ ওহাব উদ্দিন কচ্ছপটি পান। পরে তিনি শ্রীমন্তকাটি নতুন বাজার মাছের আড়তে কচ্ছপটি জীবিত অবস্থায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে তালা থানায় নিয়ে যায়। কচ্ছপটি সেখানেই রক্ষিত আছে।



শ্রীমন্তকাটি নতুন বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ও কাইয়ুম শেখ বলেন, কচ্ছপটির পিঠে অ্যান্টেনার মতো একটি যন্ত্রাংশ দেখে কেউ তা কিনতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে স্থানীয়দের পরামর্শে ওহাব উদ্দিন কচ্ছপটি বাড়ি নিয়ে যান। এ সময় অনেক মানুষ কচ্ছপটি দেখতে ভিড় করে। খবর পেয়ে তালা উপজেলার খেশরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাজেদ হাওলাদার কচ্ছপটি উদ্ধার করে তালা থানায় পাঠিয়ে দেন। 

কচ্ছপটির পিঠে লাগানো অ্যান্টেনায় লেখা রয়েছে, আডি-১৬৫৩৩৭-চ ০২৭৯১, প্রজেক্ট-বাটাগুর বাসকা, ভিয়েনা-জু, বাংলাদেশ-২০১৬, স্যারট্রাক (PROJECT-BATAGURBASKA, VIENNA-ZOO, BANGLADESH-2016, SIRTRACK)।

শেখ ওহাব উদ্দিন বলেন, সকালে পাখিমারা বিলের জোয়ারাধার এলাকায় সড়কের পাশে কচ্ছপটি দেখে বাড়ি নিয়ে যান। পরে তা বিক্রির জন্য এলাকার নতুন বাজার মাছের আড়তে নিয়ে যান। সেখানে স্থানীয়রা তাঁকে জানান, এটি কোনো পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কচ্ছপ। তাই তিনি কচ্ছপটি বিক্রি করে আবার বাড়ি নিয়ে যান। পরে পুলিশ কচ্ছপটি নিয়ে যায়।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের টারটেল সারভাইভাল অ্যালায়েন্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু এবং প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রে কুমির ও হরিণের পাশাপাশি কচ্ছপ প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে মূলত বিপন্ন বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ নিয়ে গবেষণা চলছে। এর অংশ হিসেবে বাটাগুর বাসকার স্বভাব, খাদ্যাভ্যাস, বিচরণক্ষেত্র ও জীবনযাপন সম্পর্কে জানতে দুটি কচ্ছপের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার সিস্টেম স্থাপন করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি কচ্ছপের কোনো সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অন্যটি সাগর ও সুন্দরবন ঘুরে ছবি পাঠাচ্ছে। দ্রুত কচ্ছপটির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কচ্ছপটি সুন্দরবন থেকে কীভাবে ৫০ কিলোমিটার দুরে চলে গেল তা বোঝা যাচ্ছে না।

সাইদুল ইসলাম আরও বলেন, এই প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক কচ্ছপের ওজন ২৫ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত হয়। বাঁচে ৭০ থেকে ৮০ বছর।



তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেলা দুইটার দিকে বন বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ প্রকল্পের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ খুলনা বিভাগের রেঞ্জার লুৎফর রহমান এবং বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আজেদুল হাসানের কাছে কচ্ছপটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওয়াইল্ড লাইফ প্রকল্পের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ রেঞ্জার লুৎফর রহমান বলেন, কচ্ছপটি সুস্থ আছে। সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের নির্দিষ্ট স্থানে এখন এটি রাখা হবে। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সেটিকে আবার সুন্দরবনের নদীতে ছাড়া হবে।

Saturday, March 11, 2017

কপিলমুনি কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে চরম অব্যবস্থাপনা

চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের মুখে ছিল পাইনি-পাইনি, নেই, নেই, নেই। প্রায় সহস্রাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করলেও কয়েক’শ নিবন্ধনকারীর ভাগ্যে জোটেনি কোন উপকরণ কিংবা সামগ্রী। প্রকাশিত স্মরণিকার মাননিয়েও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। মূল্যায়ন করা হয়নি আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন সকলেই।

উল্লেখ্য, পাইকগাছা উপজেলার পুরাতন ঐতিহ্যবাহী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কপিলমুনি কলেজ অন্যতম। প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার আয়োজন করা হয় সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানকে ঘীরে গত কয়েক মাস যাবৎ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে থাকলেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। একদিকে বৃষ্টি অপরদিকে অব্যবস্থাপনার কারণে বিতর্কিত হয় মূল অনুষ্ঠান। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয় দুপুর ১২টার দিকে। কপিলমুনি বাজার থেকে কলেজ পর্যন্ত সড়কটি বৃষ্টিতে কাঁদা ও পানির কারণে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পেতে হয় সকলকে। অনুষ্ঠান চত্ত্বরও ছিল স্যাতসেতে অবস্থা। প্রধান অতিথি পৌছানোর আগেই শুরু করা হয় বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা। আবার অনুষ্ঠানে যাননি আমন্ত্রীত বেশ কয়েকজন বিশেষ অতিথি। প্রায় সহস্রাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করলেও কয়েক’শ নিবন্ধনকারীর ভাগ্যে জোটেনি অনুষ্ঠানের উপকরণ ও সামগ্রী। ৮৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ আমান জানান, অনেক আশা নিয়ে অনুষ্ঠানে এসে ছিলাম কিন্তু অনুষ্ঠানের অব্যবস্থাপনার কারণে হতাশ হয়েছি। নিবন্ধন করার পরও সম্পূর্ণ সামগ্রী ভাগ্যে জোটেনি। একাধিক নিবন্ধনকারী জানান, তারা নিবন্ধন করার পরও নূন্যতম কোন সামগ্রী পাননি। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মাননিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। উদযাপন উপ-কমিটির এক আহবায়ক জানান, এতো বড় একটা অনুষ্ঠান অথচ স্বল্প পরিসরের স্মরণিকা করা হয়েছে। স্মরণিকায় বাণী আর নিবন্ধনকারীদের তথ্য ছাড়া তেমন কিছুই স্থান পায়নি। কোন উপ-কমিটির তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। এমনকি প্রাক্তন কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর স্মৃতিচারণ মূলক কোন লেখা প্রকাশ করা হয়নি। এদিক থেকে গত কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত হওয়া পাইকগাছা কলেজের অনুষ্ঠান, ব্যবস্থাপনা এবং স্মরণিকার মান অনেক ভাল ছিল যা কপিলমুনি কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করতে পারতো বলে মন্তব্য করেন অনেকেই। তবে অনুষ্ঠানে এসে ভাল লেগেছে, অনেকের সাথে দেখা হয়েছে, পুরাতন সহপাঠিদের সাথে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ আল এহসান। তবে তিনি ব্যবস্থাপনার জন্য কমিটির দূর্বলতার কথা বলেন। তিনি বলেন, কমিটি সঠিক ভাবে কাজ করলে অনুষ্ঠানের মান অনেক ভাল হতো। এদিকে অব্যবস্থাপনার এ দায় কলেজের অধ্যক্ষ এড়াতে পারেন না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অধিকাংশ ক্ষোভ প্রকাশকারী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শিক্ষক মন্ডলী।






Wednesday, March 1, 2017

পাইকগাছা কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী ৪ মার্চ


পাইকগাছা কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ও পুনর্মিলনী ২০১৭ এর অনুষ্ঠান আগামী ৪ মার্চ, শনিবার কলেজ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজ ১৯৬৭ সালের ৬ মার্চ ৫.৩৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আজ দক্ষিণ খুলনার শিক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছে।

পাইকগাছায় পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পাইকগাছায় পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। :(ধর্মঘটের নামে আজ বুধবার সকালে পাইকগাছায় ভ্যান পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
ছবি তোলা পাইকগাছা পৌরসভাস্থ জিরো পয়েন্ট থেকে