Saturday, September 20, 2014

সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ২০ দল

সংসদকে উচ্চ আদালতের বিচারকদের সরানোর ক্ষমতা দিয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল। আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের এটাই প্রথম হরতাল।

শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের এক বৈঠকের পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

২০ দলের কর্মসূচির আগের দিন রোববার জোটভুক্ত দল জামায়াতে ইসলামীর হরতাল রয়েছে। যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি দাবিতে দলটি এই কর্মসূচি ডাকে।

পাইকগাছায় শব্দ দূষণ ক্রমেই বাড়ছে

শব্দ দূষণ সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পাইকগাছা পৌর বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতাসাধারণসহ গোটা পৌরবাসী। যেকোন রাজনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক সংগঠন কোন সভা সমাবেশ করলে তা অনুষ্ঠিত হয় পৌর বাজার জিরোপয়েন্টে অথবা ত্রিমোহনী মোড়ে বা পৌর পরিষদ চত্ত্বরে। একাধিক মাইক বাজিয়ে চলে সভা-সমাবেশ। বিশেষ কোন সমাবেশ হলে তার দু’চার দিন আগে থেকে বাজার এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চলে।

তাছাড়া মাছবাহী ট্রাক-পিকআপগুলো বাজার অভ্যন্তরে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজায় হরহামেশা। ইঁদুর-তেলাপোকা মারার ওষুধ বিক্রেতারা হ্যান্ড মাইক নিয়ে গোটা বাজারে ঘুরেঘুরে প্রচার করে চলেছে। মোবাইল ফোনের মেলা, সিমের মেলা, বিশেষ কোন ডাক্তার বাইরে থেকে এসে রুগী দেখবেন তাও মাইক বাজিয়ে প্রচার করা হয়। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হলে দিনভর চলে মাইক।

বর্তমান সময়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্রচার প্রচারণা নিয়ে। কোন ডাক্তার কবে, কখন, কোথাই রোগী দেখবেন তা প্রচার করা হচ্ছে পৌর শহরে মাইক বাজিয়ে ঘুরে ঘুরে। একাধিক মাইকের শব্দে পৌর বাজারে অবস্থানরত ব্যবসায়ী মহল ও ক্রেতা সাধারণরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ক্ষোভের সাথে বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলা তো দূরে থাক, কাছ থেকে কেউ কিছু বললেও বুঝে ওঠা দায় হয়ে পড়েছে। পৌর ও উপজেলা শহরের বাজারে এমনিতেই মানুষজনের ভীড় থাকে বেশি, তার উপর একাধিক মাইকের শব্দে কাহিল হয়ে পড়ছেন পৌর বাজার ও তার আশপাশ এলকার সকলে।

শব্দ দূষণ প্রসঙ্গে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অদ্যবধি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করলেও বাস্তবে কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এভাবে প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণ হয়ে থাকলেও প্রতিকারের ব্যাপারে কারো কোন মাথাব্যথা নেই।

সুন্দরবন উপকুলবাসীর রক্ষাকবচ

মানুষের জন্মের আগে বনের সৃষ্টি। মানুষ তার প্রয়োজনে বন ধ্বংস করছে। আর বন মানুষ, লোকালয় ও পরিবেশ রক্ষা করে চলেছে। মানুষের আগ্রাসনে বন সংকুচিত হচ্ছে। মানুষের নির্বিচারে নিধনের ফলে বন দুরে সরে যাচ্ছে। সুন্দরবন প্রকৃতির সৃষ্টি। এ বন সৃষ্টিতে মানুষের কোন হাত নেই। সুন্দরবন প্রকৃতির বিষ্ময়। 

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন শুধু প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নয়। সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস থেকে মাতৃস্নেহের বুকে আগলে রেখে প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে লোনা পানিতে গড়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রাকৃতিক স্বর্গ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর জোয়ার ভাটার ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এ বনের মোট আয়তন ১০২৮০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ ভারতের পশ্চিবঙ্গে অবস্থিত। ২০০ বছর আগে এ বনের আয়তন ছিল প্রায় ১৬৭০০ বর্গকিলোমিটার। মানুষের অগ্রাসনে বন ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।

সুন্দরবনের নামের উৎপত্তি সন্বন্ধে একাধিক মত থাকলেও সুন্দরী নামের বৃক্ষ থেকে এ বনের নাম হয়েছে সুন্দরবন। এ বনের ভিতর দিয়ে উত্তর/দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল। ২০০৪ সালের বাঘ শুমারী অনুযায়ী রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ৪৪০টি। শক্তি সাহস আর আকৃতি প্রকৃতিক বিবেচনায় স্নুদরবনের বাঘ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রজাতির জন্তু। নয়নানিভরাম সৌন্দর্যের প্রাণী হরিণের সংখ্যা ১ লক্ষ হবে বলে ধারণা করা যায়। চিতল হরিণ সৌন্দর্যের বিচারে জগৎ বিখ্যাত।

৭১’র মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন অপরাজেয়, হার মানেনি। ১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বর প্রলংকারী ঝড়ে সুন্দরবন ক্ষত বিক্ষত হয়ে উপকুল এলাকা রক্ষা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে হতক্লান্ত। তবুও হার মানেনি। উপকূলবাসীর রক্ষা কবচ ও সুন্দরবনের স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে গৌরবময় ভুমিকা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের কেন্দ্র হয়ে উঠে দুর্গম সুন্দরবন।

তাছাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা মাঝে মাঝে সুন্দরবনে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ ও যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রস্তুত করত। মুক্তিযোদ্ধাদের সুন্দরবন মায়ের মত আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয় ও ট্রেনিং স্থল হয়ে উঠে এ বন। মেজর জিয়া উদ্দীনের (তৎকালীন লেঃ) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা বাগেরহাট পিরোজপুর এলাকার পাক বাহিনী ও তাদের দোষর দালাল, রাজাকারদের, নাভীশ্বাস বের করেছে। নৌকমান্ড লেঃ কমান্ডার রহমাতুল্লাহ দাদুর নেতৃত্বে নৌ সেনা ও ডুবুরিরা চালনা, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার অবস্থানরত পাকসেনা ও তাদের দোসরদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে।

মুল্যবান প্রানীজ, জলজ ও বনজ সম্পদ মিলিয়ে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধার এ সুন্দরবন। শুধু জীব বৈচিত্রের উৎস নয়, একই সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকায় প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার উৎস হিসেবে অবদান রাখছে। বনজ সম্পদ আহরণে ৫/৬ লক্ষ মানুষ প্রায় ৬ মাস জীবিকার জন্য সরাসরি সুন্দরবনের উ্পর নির্ভরশীল।

সুন্দরবন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছাস, ঘুর্ণিঝড় থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলকে নিরাপদ রেখে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে। সুন্দরবন দক্ষিণ জনপদের প্রকৃতিক ঢাল হয়ে ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছাস থেকে বুক পেতে আগলে রাখে। জীব বৈচিত্র্যের আধার আমাদের সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক প্লাটফর্ম তৈরীর জন্য কমিউনিটি সেচ্ছাসেবীদের ওরিয়েন্টেশন

শুক্রবার রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদ মিলানায়তনে সুশীলন শরিক প্রকল্পের স্থানীয় সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি জনসেবার মান উন্নয়নের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড পর্যায়ে এ কর্মশালায় সুশীলন পরিপ্রকল্পের আজমিরা পারভীন উপস্থিত থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

প্রশিক্ষন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সেক্রেটারী সঞ্জীব কুমার ঘোষ, সাংবাদিক আহম্মাদ আলী বাচা প্রমুখ।