ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে কোচিং সেন্টার !
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাইকগাছার কপিলমুনিতে প্রাইভেট
কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। রংবেরংয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে শহরের
বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো। ফলে প্রকৃত শিক্ষা থেকে
বঞ্চিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে
শিক্ষার্থীরা।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা
যায়, কপিলমুনি সদরে বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে বর্তমানে কোচিং ব্যবসা
জমজমাট করে তুলেছে এক শ্রেণির স্বল্প শিক্ষিতরা। কোন কোন কোচিং সেন্টার
কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড না লাগিয়ে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। অধিকাংশ
কোচিং-এর শিক্ষকরা পাঠদানে অদক্ষ আর উচ্চ শিক্ষিত নয়। দু’একটি সার্টিফিকেট
নিয়ে তারা কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হয়ে বসে আছেন। বিভিন্ন ধরনের আকর্ষনীয়
বুলি দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিংগামী করে থাকেন।
এ সকল শিক্ষকদের
মধ্যে ভাল টিচিং পদ্ধতি নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যা অর্জনের একটা নিয়মিত
মুল্যবান সময় কোচিং-এ কাটিয়ে দিলেও কখনও কখনও ফল হচ্ছে শূণ্য। মনে আশার
ডালী নিয়ে সুশিক্ষা লাভের আশায় অর্থের বিনিময়ে প্রাইভেট কোচিং করলেও
শিক্ষার্থীরা স্কুলের পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারছে না। ভুল শিক্ষা আবার কখনও
ভুল সাজেশন শিক্ষার্থীদের ফেলে দিচ্ছে বিপাকে। যা একজন শিক্ষার্থীর
লেখাপড়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
অভিযোগ রয়েছে, কপিলমুনি ও
হরিঢালী ইউনিয়নের অধিকাংশ স্কুল কলেজের কতিপয় শিক্ষকরাও প্রাইভেট পড়িয়ে
থাকেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসের নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ও পরে
ছাত্র-ছাত্রী ম্যানেজ করে, কখনও বাড়ি, আবার কখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসেই
প্রাইভেট পড়াচ্ছেন তারা।
সুত্রের দাবী, কোন কোন শিক্ষক ক্লাসে ভাল
করে পাঠদান করেন না। বাধ্য হয়ে তাই ওই সকল শিক্ষকদের কাছ থেকে ভাল করে পড়তে
হলে মাসিক চুক্তিতে মোটাংকের অর্থ গুনতে হয়।
এভাবেই চলছে এলাকার
প্রাইভেট কোচিং বানিজ্য, কিন্তু দেখার যেন কেই নেই। অনতিবিলম্বে প্রাইভেট
কোচিং সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন সচেতন মহল।