Sunday, June 8, 2014

পাইকগাছায় বহিরাগত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

পাইকগাছা পৌর সদরে সোহেল (৩৪) নামের এক বহিরাগত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ সরল কালিবাড়ি এলাকার শহিদুল মাষ্টারের বাড়ি সংলগ্ন বাগানের একটি আম গাছের নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শহিদুল মাষ্টারের বাড়িতে হতভাগা সোহেল ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন ওরফে আঁখি (২৫) ভাড়া থাকতেন। পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও শাশুড়ীকে থানায় ডেকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

লাশের সুরৎহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল নাথ শ্যামল বলেন, মাটিতে পড়ে থাকা লাশের গলায় গামছার একটি অংশ পেচানো ছিল। গামছার বাকি অংশ গাছে ঝুঁলছিল। যা হাত দিলেই খুলে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছোট্র যে আম গাছের নিচে সোহেলের লাশ পড়ে ছিল তা দেখে বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনায় প্রেরন করেছে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চক্কাওয়ালী গ্রামের জনৈক কেয়ামুদ্দি খাঁর কন্যা আসমা খাতুনকে বিয়ে করে ৩/৪ বছর আগে সোহেল চাঁদখালীতে আসে। এক পর্যায়ে সোহেল স্ত্রীকে নিয়ে পৌর সদরের শহিদুল মাষ্টারের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন।

সোহেলের নাম ঠিকানা তার স্ত্রী বা শ্বশুর বাড়ির কেউ সঠিক করে বলতে পারেনি। তবে বিয়ের কাবিননামায় সোহেল কুমিল্লা জেলার কাচিয়াপুকুরিয়া গ্রামের জনৈক মনু মিয়ার পুত্র বলে উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোহেল এককালিন প্রায় ২৫/৩০ লাখ টাকা নিয়ে এখানে আসেন এবং চাঁদখালী ও পৌর এলাকায় বেশ কয়েকজনের সাথে ব্যবসায়ীক সূত্রধরে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন।

হতভাগা সোহেলের বাড়ির মালিক শহিদুল মাষ্টার বলেন, প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে একাধিকবার থানা পুলিশ পর্যন্তও গড়িয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতেও তুমুল ঝগড়া হয়েছিল তাদের মাঝে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার আককাছ আলী বলেন, লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।