Wednesday, May 8, 2013

তরমুজের সমারহ; কৃষক ও দোকানীদের মুখে হাসি !

তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল তাই তৃষ্ণা মেটাতে তরমুজের যেন জুড়ি নেই। খুলনার সর্ববৃহৎ বানিজ্যিক মোকাম পাইকগাছার কপিলমুনিতে তরমুজের সমারহ শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয় বরং তৃষ্ণা মেটাতে সব বয়সের মানুষ ছুটছেন তরমুজ হাটা খ্যাত মসজিদ চত্ত্বরে। এ বছর তরমুজের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। দামেও ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে। ফলে চাহিদা যেমন রয়েছে তেমনই সরবরাহ রয়েছে অনেক বেশি। এ বছর দক্ষিনাঞ্চলে তরমুজের চাষ হয়েছে অনেক বেশি, ফলনও ভাল। কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের কারনে কৃষকরা ঝুকে পড়েছেন তরমুজ চাষে। লোনা এলাকার তরমুজ অধিক মিষ্টি ও বেশি লালচে হয়ে থাকে। সে কারনে এর চাহিদাও বেশি।

জানা যায়, বাঙ্গালীর চিরচেনা এ ফলটি উত্তরাঞ্চলে উৎপাদিত হতো। আর সেখান থেকে সরবরাহ করা হতো দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজার গুলোয়। কিন্তু সেই তরমুজ এখন দক্ষিনাঞ্চলের চাহিদা পুরণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকা এমনকি রাজধানীতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রান্তিক চাষি কয়রা উপজেলার চান্নিরচকের মুজিবর রহমান জানান, বিশেষ করে কয়রার প্রত্যান্ত এলাকাসহ দক্ষিন পাইকগাছার অনেক জায়গায় এর চাষ হচ্ছে। বিগত দু’বছর ধরে তিনি এর চাষ করে আসছেন। গতবছর ৩ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা রোজগার করেন। এ বছর ৭৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে, তবে তার উৎপাদন বেশি হওয়ায় খুব খুশি তিনি। কপিলমুনি মসজিদ চত্ত্বরের ব্যবসায়ী জনাব আলী মোল্লা জানান দক্ষিনাঞ্চলের তরমুজ সুস্বাধু বেশি। তিনি ঐ এলাকার আমিরপুর, বানবাড়িয়া, হোগলারচক, চান্নিরচক হতে তরমুজ আমদানী ও বিক্রি করে আসছেন।

এ পেশায় নিয়োজিত নুরুল ইসলাম, তমেজ আলী, আজব আলী, আহাদুল, হামিদুল, সাত্তার, লুৎফর জানান, বছরে তরমুজ বিক্রি করে তারা জনপ্রতি মৌসুমে ৬০/৭০ হাজার টাকা উপার্জন করে থাকেন। চলতি বছর মৌসুমের শুরু থেকেই তরমুজ বিক্রির হিড়িক পড়েছে লক্ষনীয়। কাচা বাজার করতে আসা প্রত্যেক মানুষের তরমুজ চাই-ই চাই। আর তাই এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে রসনা তৃপ্তির অন্যতম আকর্ষণ এ তরমুজ ফল।