তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল তাই তৃষ্ণা
মেটাতে তরমুজের যেন জুড়ি নেই। খুলনার সর্ববৃহৎ বানিজ্যিক মোকাম পাইকগাছার
কপিলমুনিতে তরমুজের সমারহ শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয় বরং তৃষ্ণা মেটাতে সব বয়সের
মানুষ ছুটছেন তরমুজ হাটা খ্যাত মসজিদ চত্ত্বরে। এ বছর
তরমুজের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। দামেও ক্রেতাদের নাগালে
রয়েছে। ফলে চাহিদা যেমন রয়েছে তেমনই সরবরাহ রয়েছে অনেক বেশি। এ বছর
দক্ষিনাঞ্চলে তরমুজের চাষ হয়েছে অনেক বেশি, ফলনও ভাল। কম খরচে অধিক মুনাফা
লাভের কারনে কৃষকরা ঝুকে পড়েছেন তরমুজ চাষে। লোনা এলাকার তরমুজ অধিক মিষ্টি
ও বেশি লালচে হয়ে থাকে। সে কারনে এর চাহিদাও বেশি।

এ পেশায় নিয়োজিত নুরুল ইসলাম, তমেজ আলী, আজব আলী, আহাদুল, হামিদুল, সাত্তার, লুৎফর জানান, বছরে তরমুজ বিক্রি করে তারা জনপ্রতি মৌসুমে ৬০/৭০ হাজার টাকা উপার্জন করে থাকেন। চলতি বছর মৌসুমের শুরু থেকেই তরমুজ বিক্রির হিড়িক পড়েছে লক্ষনীয়। কাচা বাজার করতে আসা প্রত্যেক মানুষের তরমুজ চাই-ই চাই। আর তাই এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে রসনা তৃপ্তির অন্যতম আকর্ষণ এ তরমুজ ফল।