কপোতাক্ষ নদের তীর ঘেষে কালে কালে জমণ গ্রহণ ও
আসত্মানা করেছেন অসংখ্য মনিষী। সেই সকল মনিষীরা আজ পৃথিবীতে না থাকলেও
ইতিহাসের পাতায় জীবীত অথচ কপোতাক্ষ নদ মৃত।
কত শত হাজার বছর পূর্বে কবে কোন সালে কিভাবে জমেণছিল কপোতাক্ষ নদ, কিভাবে নাম করণ বা হয়েছিল তার সঠিক হিসাব আজও অমত্মরালে। আর এর ইতিহাস পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। তবে যতটুকো জানাগেছে, যুগ যুগ ধরে বয়েচলা বহমান এ নদ লক্ষ কোটি স্মৃতির ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কালের সাক্ষী হয়ে পীর আওলিয়া, বুদ্ধিজীবী, সাধক, মনিঋষি, কবি, সাহিত্যিক, দেশবরেণ্য ও দানবীর অনেক কে একে একে বিদায় জানিয়েছে কপোতাক্ষ নদ। যতদূর জানাগেছে অসংখ্য মনিষীর জমণ ও অসত্মানা হয়েছে চির ঐতিহ্যের কপোতাক্ষ উপকূলীয় অঞ্চল নতুবা বহমান এ নদের তীরে।
কত শত হাজার বছর পূর্বে কবে কোন সালে কিভাবে জমেণছিল কপোতাক্ষ নদ, কিভাবে নাম করণ বা হয়েছিল তার সঠিক হিসাব আজও অমত্মরালে। আর এর ইতিহাস পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। তবে যতটুকো জানাগেছে, যুগ যুগ ধরে বয়েচলা বহমান এ নদ লক্ষ কোটি স্মৃতির ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কালের সাক্ষী হয়ে পীর আওলিয়া, বুদ্ধিজীবী, সাধক, মনিঋষি, কবি, সাহিত্যিক, দেশবরেণ্য ও দানবীর অনেক কে একে একে বিদায় জানিয়েছে কপোতাক্ষ নদ। যতদূর জানাগেছে অসংখ্য মনিষীর জমণ ও অসত্মানা হয়েছে চির ঐতিহ্যের কপোতাক্ষ উপকূলীয় অঞ্চল নতুবা বহমান এ নদের তীরে।
‘‘জমিণলে মরিতে হবে’’ চিরমত্মন এ বানীর
পরিমন্ডলে সবকিছুই আবদ্ধ। তাই এক সময়কার খরস্রোতা কপোতাক্ষ নদের গর্জনে
প্রাণীকূল থেকে শুরম্ন করে মাঝিমালস্না এমনকি উপকূলীয় মানুষ ভয়ে শঙ্কিত
থাকতো। কবি মাইকেল মধুসুধন দত্তের কপোতাক্ষ নদ আজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।
অথচ এ কপোতাক্ষ নদ এক সময় ছিল মানুষের স্বপ্ন, যেন বেঁচে থাকার টনিক।
সভ্যতার ইতিহাসে কপোতাক্ষএক বিরল দৃষ্টামত্ম। কপোতাক্ষ নদের অপমৃত্যু
উপকূলের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। নদের অকাল মৃত্যুতে
প্রতিবছর বন্যায় প্রত্যাক্ষ ও পরক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দু’কূলের হাজার
হাজার পরিবার। সর্বশামত্ম হচ্ছে কপোতাক্ষ উপকূলবর্তী সর্বশ্রেণী পেশার
মানুষ। বাসত্মভিটা ছেড়ে লক্ষ থেকে কোটি টাকা অর্থের ক্ষতি কাঁধে নিয়ে অনেকে
নিঃস্ব। ভূক্তভোগীরা কপোতাক্ষ নদ রক্ষায় দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করলেও
তা সংশিস্নষ্টর সুদৃষ্টি পড়ছে না। কপোতাক্ষ নদ সভ্যতার আদিম যুগ হতে দক্ষিণ
জনপদে যে সকল পীর আওলিয়া, বুদ্ধিজীবী, সাধক, মনিঋষি, কবি, সাহিত্যিক,
দেশবরেণ্য ও রাজনীতিকদের সংষ্পর্শ পেয়েছে তা অবর্ণনীয়।
বিভিন্ন ইতিহাস থেকে জানাযায়, বাংলাদেশের অধিকাংশ মনিষী ও মহামানবদের জমণ ও আসত্মানার নিদর্শন চিরচেনা কপোতাক্ষ নদের উপকূলে। সে সকল মনিষী ও মহামানবদের নাম আজও দেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে আসছে। তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন হযরত খাজা খানজাহান আলী (রহঃ) তিনি এ দেশে সর্ব প্রথম এসেছিলেন আশাশুনি, পাইকগাছা ও ত্রিকোন মিলনস্থান আমাদীর মসজিদকুড় নামক কপোতাক্ষ নদের মহোনায়। একইভাবে বুড়ো পীর জয়ন্নদ্দিন, হযরত বুরহান উদ্দীন, পীর শেখ ময়েনউদ্দীন, পীর শাহ জাফর আওলিয়া (রহঃ), হাজী মেহের উদ্দীন, জিন্দাপীর ধরম চাঁদ, সুন্নি সাধক হযরত আলম শাহ ফকির, আচার্য প্রফুল্য চন্দ্র রায় (পিসিরায়), কবি মাইকেল মধুসুধন দত্ত, সাধক কপিলেশ্বরী মুণি, যার নামানুসারে কপিলমুনি। কবি কাজী ইমদাদুল হক, কবি সেকেন্দার আবু জাফর, রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু, আধুনিক কপিলমুনি বাজারের প্রতিষ্ঠাতা। দানবীর মেহের মুসলস্নী, দানবীর হাজী ছেপেরম্নদ্দীন, খান সাহেব জয়নাল আবেদীন, খান সাহেব সুলতান আহম্মেদ, খান সাহেব কোমর উদ্দীন, রায় কালীচরণ মন্ডল, পুণ্যশোক হরিমোহন বাঁছাড়, গরীবের বন্ধু খ্যাত ভীমচন্দ্র সরদার, রাজেন্দ্র নাথ সরকার, এম এ গফুর, শেখ মহাতাপ উদ্দীন, মনি মিয়া, মোঃ শামসুর রহমান ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী প্রমূখ।
প্রবীনদের মতে, কপোতাক্ষ নদের নামকরণ হয়েছে কবুতরের চোখের জল থেকে। অর্থাৎ কবুতরের চোখের জলের ন্যায় কপোতাক্ষের জল স্বচ্ছতার আলোকে এতটাই স্বচ্ছ ও পবিত্র। সেই কপোতাক্ষের যৌবন ফুরিয়ে আজ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের জরিপ সূত্রে জানাযায়, দেশের ৩০টি নদী বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। আরও ৮৯টি নদী মরে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের পর ফারাক্কার ফাঁদে নদীমাতৃক এ দেশের অধিকাংশ নদীর অপমৃত্যু ঘটেছে। অভিজ্ঞদের মতে, ফারাক্কা বন্ধের কারনেই বাংলাদেশের জল পথ গুলি পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তেমনিই পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে অসংখ্য স্মৃতি ও ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যাক্ষ সাক্ষী কপোতাক্ষ নদ। পক্ষান্তরে কপোতাক্ষ নদের কূলের মহামানব ও মনিষীরা মরেও আজ জীবীত রয়েছেন মানুষের মাঝে। অথচ কপোতাক্ষ নদ আজ মৃত!
বিভিন্ন ইতিহাস থেকে জানাযায়, বাংলাদেশের অধিকাংশ মনিষী ও মহামানবদের জমণ ও আসত্মানার নিদর্শন চিরচেনা কপোতাক্ষ নদের উপকূলে। সে সকল মনিষী ও মহামানবদের নাম আজও দেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে আসছে। তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন হযরত খাজা খানজাহান আলী (রহঃ) তিনি এ দেশে সর্ব প্রথম এসেছিলেন আশাশুনি, পাইকগাছা ও ত্রিকোন মিলনস্থান আমাদীর মসজিদকুড় নামক কপোতাক্ষ নদের মহোনায়। একইভাবে বুড়ো পীর জয়ন্নদ্দিন, হযরত বুরহান উদ্দীন, পীর শেখ ময়েনউদ্দীন, পীর শাহ জাফর আওলিয়া (রহঃ), হাজী মেহের উদ্দীন, জিন্দাপীর ধরম চাঁদ, সুন্নি সাধক হযরত আলম শাহ ফকির, আচার্য প্রফুল্য চন্দ্র রায় (পিসিরায়), কবি মাইকেল মধুসুধন দত্ত, সাধক কপিলেশ্বরী মুণি, যার নামানুসারে কপিলমুনি। কবি কাজী ইমদাদুল হক, কবি সেকেন্দার আবু জাফর, রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু, আধুনিক কপিলমুনি বাজারের প্রতিষ্ঠাতা। দানবীর মেহের মুসলস্নী, দানবীর হাজী ছেপেরম্নদ্দীন, খান সাহেব জয়নাল আবেদীন, খান সাহেব সুলতান আহম্মেদ, খান সাহেব কোমর উদ্দীন, রায় কালীচরণ মন্ডল, পুণ্যশোক হরিমোহন বাঁছাড়, গরীবের বন্ধু খ্যাত ভীমচন্দ্র সরদার, রাজেন্দ্র নাথ সরকার, এম এ গফুর, শেখ মহাতাপ উদ্দীন, মনি মিয়া, মোঃ শামসুর রহমান ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী প্রমূখ।
প্রবীনদের মতে, কপোতাক্ষ নদের নামকরণ হয়েছে কবুতরের চোখের জল থেকে। অর্থাৎ কবুতরের চোখের জলের ন্যায় কপোতাক্ষের জল স্বচ্ছতার আলোকে এতটাই স্বচ্ছ ও পবিত্র। সেই কপোতাক্ষের যৌবন ফুরিয়ে আজ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের জরিপ সূত্রে জানাযায়, দেশের ৩০টি নদী বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। আরও ৮৯টি নদী মরে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের পর ফারাক্কার ফাঁদে নদীমাতৃক এ দেশের অধিকাংশ নদীর অপমৃত্যু ঘটেছে। অভিজ্ঞদের মতে, ফারাক্কা বন্ধের কারনেই বাংলাদেশের জল পথ গুলি পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তেমনিই পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে অসংখ্য স্মৃতি ও ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যাক্ষ সাক্ষী কপোতাক্ষ নদ। পক্ষান্তরে কপোতাক্ষ নদের কূলের মহামানব ও মনিষীরা মরেও আজ জীবীত রয়েছেন মানুষের মাঝে। অথচ কপোতাক্ষ নদ আজ মৃত!