পাইকগাছার মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী শিক্ষক প্রতিভা মৃধা গত প্রায় ২ বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। যোগদানের পর ২-১ বছর নিয়মিত থাকলেও পরবর্তীতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন এই শিক্ষক।
কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ও বিভিন্ন ছুটি দেখিয়ে তিনি ২/৩ বছরের বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। সর্বশেষ গত ০৩/০২/২০১৬ তারিখ থেকে তার বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ও বিভিন্ন ছুটি দেখিয়ে তিনি ২/৩ বছরের বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। সর্বশেষ গত ০৩/০২/২০১৬ তারিখ থেকে তার বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক খালেদা খাতুন অনুপস্থিতি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান বরাবর। প্রতিবেদনে যোগদানের পর হতে অদ্যাবধি উপস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, প্রতিভা মৃধা সহকারী শিক্ষক হিসাবে ১৬/০৯/২০১০ তারিখে ২৬ নং মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। প্রথম দিকে কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও ২০১৪ সাল থেকে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ১৮/০৮/২০১৪ গতে ৩১/০৮/২০১৪ পর্যন্ত ১৪ দিন চিকিৎসা ছুটি নেন। এরপর ০১/০৯/২০১৪ হতে ২৪/০৭/২০১৫ পর্যন্ত বিনানুমতিতে অনুপস্থিত থাকেন। তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নরেন্দ্রনাথ মৈত্রের কাছ থেকে অনুপস্থিতর সময়কাল চিকিৎসা ছুটি হিসাবে পাশ করিয়ে ২৫/০৭/২০১৫ তারিখ কর্মস্থলে যোগদান করেন।
এরপর দুই দিন কর্মরত থেকে ২৭/০৭/২০১৫ হতে ২১/০১/২০১৬ পর্যন্ত মাতৃকালীন ছুটি নেন। ছুটি শেষে ২৩/০১/২০১৬ তারিখে যোগদান করেন। এরপর এক দিন মৌখিক ছুটি নেন। পরবর্তীতে ০৩/০২/২০১৬ তারিখ হতে অদ্যাবধি গত ২১ মাস যাবত শিক্ষক প্রতিভা মৃধা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এরপর দুই দিন কর্মরত থেকে ২৭/০৭/২০১৫ হতে ২১/০১/২০১৬ পর্যন্ত মাতৃকালীন ছুটি নেন। ছুটি শেষে ২৩/০১/২০১৬ তারিখে যোগদান করেন। এরপর এক দিন মৌখিক ছুটি নেন। পরবর্তীতে ০৩/০২/২০১৬ তারিখ হতে অদ্যাবধি গত ২১ মাস যাবত শিক্ষক প্রতিভা মৃধা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চিকিৎসা ও মাতৃকালীন ছুটির কোন কাগজপত্র তিনি বিদ্যালয়ে জমা দেননি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তাকে কারণ দর্শানো পত্র প্রদান করে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও শিক্ষক প্রতিভার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবর আলী প্রধান শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক প্রতিভা মৃধার অনুপস্থিত সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন গত রোববার উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল করা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক খালেদা খাতুন নিশ্চিত করেছেন।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন গত রোববার উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল করা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক খালেদা খাতুন নিশ্চিত করেছেন।