Tuesday, May 28, 2013

পাইকগাছায় ২৫০ মিটার কাঁচা রাস্তার কারণে জনসাধারন দুর্ভোগে

মাত্র ২৫০ মিটার কাঁচা (মাটির) রাস্তার কারণে হাজার-হাজার জনসাধারনের চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার রাড়ূলী ইউনিয়নের সাথে পাইকগাছা সদরের সড়ক যোগাযোগের জন্য কমপে ১০ কিলোমিটার রাস্তা ও একটি নদী পার হতে হচ্ছে। শুধু ভোগান্তিই নয় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদী পারাপারে অনেকটা ঝুঁকিও থেকে যায় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চাঁদখালী-রাড়ুলী ইউনিয়ন সীমান্ত কাঁটাখালী মরানদীর উপর আড়াআড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে নির্মিত রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেও প্রায় আড়াইশ মিটার রাস্তা কাঁচার কারণে বর্ষা মৌসুমে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বর্ষায় মাটির রাস্তাটুকুতে হাটু কাঁদা হবার ফলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসি ।

জানা যায়, কাঁটাখালী হয়ে সাতীরার বুধহাটা, আশাশুনি তথা সাতীরা জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ অত্যন্ত সহজ হওয়ায় অল্প দিনেই রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজার-হাজার যাত্রী সাধারণসহ অসংখ্যা ব্যবসায়ী মহল তাদের মালামাল যানবাহনযোগে আনানেয়া করছে স্বল্প খরচে। তবে সাম্প্রতিককালের সামান্য বর্ষাতেই কাঁটাখালী বাজার থেকে শ্রীকণ্ঠপুর পর্যন্ত মাত্র অর্ধ কিলোমিটারেরও কম মাটির রাস্তায় হাটু কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ায় প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে বোয়ালিয়া-রাড়ূলী খেয়া পার হয়ে সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। এদিকে বোয়ালিয়া খেয়াঘাটের পশ্চিম পাড়ে পাঁকা ঘাট না থাকায় বিশেষ করে নদীতে ভাটার সময় পারাপার হতে যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

অত্র রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, অত্র এলাকাবাসীসহ দুর-দুরন্ত থেকে হাজারো জনসাধারণ চলাচল করে থাকে কাঁটাখালীর এ পথ দিয়ে। শুধু তাই না জগতবিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের বাসভবন রাড়ুলী গ্রামে হওয়ায় প্রতি বছরের দু’টি (জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী) দিনে জেলা প্রশাসকসহ দেশ-বিদেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট জনেরা রাড়ূলীতে হাজির হয়ে থাকেন। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় এ যাবতকাল বোয়ালিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত এসে সেখানে গাড়ি রেখে ট্রলারযোগে নদী পার হয়ে ভ্যান বা মটরসাইকেলযোগে স্যার রায়ের বাসভবনে পৌছাতে হত। মাঝেমধ্যে ওই সকল কর্মকর্তাগণ প্রায় ১০০ কিলোমিটার ঘুরে সাতক্ষীরা-বুধহাটা হয়ে রাড়ুলী পৌছাতেন। চেয়ারম্যান আরও বলেন কাঁটাখালী মরা নদীর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দেয়ায় প্রাইভেট, মাইক্রো, পিকআপ এমনকি মিনিবাসও সরাসরি চলাচলের সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটেছে সামন্য মাটির রাস্তা বর্ষায়। তিনি বলেন, একাধিকবার উপজেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর সুপারিশ করেছি। তবে কর্তৃপ অদ্যবধি বিষয়টি আমলে না নেয়ায় জনসাধারণের দুর্ভোগ রয়েই গেছে।