প্রতিপক্ষদের দমনে ঘুমের বড়ি খাইয়ে অজ্ঞান করে হাত-পা কেটে হত্যা
উপজেলার খড়িয়া (খালেরগোড়া) গ্রামের বৃদ্ধা করিমন্নেছা (৫০) কে ঘুমের বড়ি
খাইয়ে অজ্ঞান করে হাত-পা কাটা হয়েছিল প্রতিপক্ষদের দমন করতে মামলা করার
জন্য। কিন্তু বিধিবাম, করিমন্নেছার
ক্ষতস্থান দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝরতে-ঝরতে এক পর্যায়ে রক্ত শূন্যতায় হতভাগী
করিমন্নেছা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার মৃত্যুকে পুজি করে প্রতিপক্ষদের
বিরুদ্ধে থানায় রীতিমত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত শনিবার ঘটনায় জড়িত
সন্দেহে ধৃত একই গ্রামের মৃত আজগর ঢালীর পুত্র আবুল কাশেম ঢালী (৪৮)
পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায়
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া খালেরগোড়া এলাকায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ভোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ বাবু শিকারী ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধা করিমন্নেছাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে এমন অভিযোগে হতভাগীর স্বামী ফজলে সানা বাদী হয়ে বাবু শিকারী, ইউনুস সানা, রুহুল আমিন ঢালী, শাহিনুর রহমান, সাইফুল সানা, সাপি বেগম, শাহানারা বেগম, এনায়েত ঢালী ও জবেদ সানাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে না পারায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার তদন্তভার সিআইডি’তে হন্তান্তর করা হয়।
খুলনা জেলা সিআইডি ইন্সপেক্টর সরদার মো. হায়াত আলী বলেন, দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত ৮ জুন শনিবার সকালে খড়িয়া গ্রাম থেকে আবুল কাশেম ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত আবুল কাশেম ঢালীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অত্র মামলার আসামীদের পৃথক তিনটি গ্রুপের সাথে গোলযোগ রয়েছে। প্রতিপক্ষ ওই তিন গ্রুপ একত্রিত হয়ে আসামীদের ঘায়েল করতে এ ধরনের ঘৃণিত পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। তবে কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আবুল কাশেম ঢালীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সিআইডি ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল হায়াত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া খালেরগোড়া এলাকায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ভোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ বাবু শিকারী ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধা করিমন্নেছাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে এমন অভিযোগে হতভাগীর স্বামী ফজলে সানা বাদী হয়ে বাবু শিকারী, ইউনুস সানা, রুহুল আমিন ঢালী, শাহিনুর রহমান, সাইফুল সানা, সাপি বেগম, শাহানারা বেগম, এনায়েত ঢালী ও জবেদ সানাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে না পারায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার তদন্তভার সিআইডি’তে হন্তান্তর করা হয়।
খুলনা জেলা সিআইডি ইন্সপেক্টর সরদার মো. হায়াত আলী বলেন, দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত ৮ জুন শনিবার সকালে খড়িয়া গ্রাম থেকে আবুল কাশেম ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত আবুল কাশেম ঢালীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অত্র মামলার আসামীদের পৃথক তিনটি গ্রুপের সাথে গোলযোগ রয়েছে। প্রতিপক্ষ ওই তিন গ্রুপ একত্রিত হয়ে আসামীদের ঘায়েল করতে এ ধরনের ঘৃণিত পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। তবে কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আবুল কাশেম ঢালীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সিআইডি ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল হায়াত জানিয়েছেন।