“সহিংস
রাজনীতির শিকার দেশের কোমলমতি শিশুকিশোররা” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও
সংবাদ সংস্থায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে
ব্যবহার করলে শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাশ হলো শিশু আইন ‘১৩ বিল।
আইনটি শিশু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত দিয়েছেন শিশু
অধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সুত্রমতে, নানা ইস্যুতে দেশে গত কয়েকমাসের সহিংস রাজনীতির শিকার হয় অসংখ্য কোমলমতি শিশু-কিশোররা। অধিকার ক্ষুন্ন করে কোমলমতি শিশু কিশোরদের যথাইচ্ছা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার করার ফলে মানষিক বিপর্যয় ঘটার আশংকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শিশু অধিকার সংগঠনগুলো।
গত কয়েকমাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৩ এপ্রিল ২০১৩ জামায়াতের ডাকা খুলনা জেলায় অর্ধদিবস হরতালে খুলনার পাইকগাছায় শিবিরের নেতাকর্মীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার সময় টায়ারের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয় গোপালপুর গ্রামের নজরুল দপ্তরীর ১১বছরের শিশুপুত্র জাহিদুল ইসলাম। আগুনে তার একটি পা ঝলসে যায়।
৬ এপ্রিল শিবিরের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে পিকেটারদের ইটের আঘাতে মারাত্মক আহত হয় ফরিদপুরের ৬ বছরের শিশু সোহান, ককটেল বিষ্ফোরনে আহত হয় চট্টগ্রামের স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়া, ১৯ ফেব্রুয়ারী পাইকগাছা উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মিছিল করার অপরাধে আটক হয় কয়রার কালিকাপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র কিশোর মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ৭ ফেব্রুয়ারী জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে লাঠিচার্জের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় কিশোর মোজাফফার হোসাইন, ৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সদরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করার সময় অগ্নিদগ্ধ হয় আব্দুল কাইয়ুম নামের এক কিশোর শিবিরকর্মী।
এভাবেই প্রতিনিয়ত কোন না কোনভাবেই সহিংস রাজনীতির শিকার হয় দেশের কোমলমতি শিশু-কিশোররা। এসব ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন সর্বপ্রথম ২০ এপ্রিল “সহিংস রাজনীতির শিকার দেশের কোমলমতি শিশুকিশোররা” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংবাদ সংস্থায় সংবাদ প্রকাশের পর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের ইউনিসেপ। পরবর্তীতে ৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশে হাজারো শিশু অংশগ্রহন করলে সমাবেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের অপসারনে পুলিশি অভিযানে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয় অংশগ্রহনকারী শিশুরা।
শিশুদের এ ভয়াবহ পরিস্থিতি বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে দেশের সচেতন মহলের। শিশু সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ২২ মে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩১ তম বৈঠকে শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার বন্ধে শিশু আইন ২০১৩ প্রস্তাব করা হয়। এরপর ৫ জুন ৩২ তম বৈঠকে শিশু আইন ২০১৩ বিলের রিপোর্ট চূড়ান্ত করে সংসদীয় কমিটি। বিলটি সংসদের চলতি অধিবেশনে গত ১৬ জুন রোববার জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ার মাধ্যমে আইনে পরিণত হলো।
আইনটি শিশু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত দিয়েছেন পাইকগাছা শিশু অধিকার সংরক্ষন ফোরামের সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি। সম্ভাবনা রয়েছে। অবশেষে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার না করার বিধান রেখে আইন প্রনয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়েছে পাইকগাছা শিশু অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি জানান বিলটি আইনে পরিণত হলে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যথাইচ্ছা ব্যবহারে সুযোগ থাকবে না। দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার করা থেকে সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সুত্রমতে, নানা ইস্যুতে দেশে গত কয়েকমাসের সহিংস রাজনীতির শিকার হয় অসংখ্য কোমলমতি শিশু-কিশোররা। অধিকার ক্ষুন্ন করে কোমলমতি শিশু কিশোরদের যথাইচ্ছা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার করার ফলে মানষিক বিপর্যয় ঘটার আশংকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শিশু অধিকার সংগঠনগুলো।
গত কয়েকমাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৩ এপ্রিল ২০১৩ জামায়াতের ডাকা খুলনা জেলায় অর্ধদিবস হরতালে খুলনার পাইকগাছায় শিবিরের নেতাকর্মীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার সময় টায়ারের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয় গোপালপুর গ্রামের নজরুল দপ্তরীর ১১বছরের শিশুপুত্র জাহিদুল ইসলাম। আগুনে তার একটি পা ঝলসে যায়।
৬ এপ্রিল শিবিরের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে পিকেটারদের ইটের আঘাতে মারাত্মক আহত হয় ফরিদপুরের ৬ বছরের শিশু সোহান, ককটেল বিষ্ফোরনে আহত হয় চট্টগ্রামের স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়া, ১৯ ফেব্রুয়ারী পাইকগাছা উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মিছিল করার অপরাধে আটক হয় কয়রার কালিকাপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র কিশোর মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ৭ ফেব্রুয়ারী জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে লাঠিচার্জের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় কিশোর মোজাফফার হোসাইন, ৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সদরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করার সময় অগ্নিদগ্ধ হয় আব্দুল কাইয়ুম নামের এক কিশোর শিবিরকর্মী।
এভাবেই প্রতিনিয়ত কোন না কোনভাবেই সহিংস রাজনীতির শিকার হয় দেশের কোমলমতি শিশু-কিশোররা। এসব ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন সর্বপ্রথম ২০ এপ্রিল “সহিংস রাজনীতির শিকার দেশের কোমলমতি শিশুকিশোররা” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংবাদ সংস্থায় সংবাদ প্রকাশের পর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের ইউনিসেপ। পরবর্তীতে ৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশে হাজারো শিশু অংশগ্রহন করলে সমাবেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের অপসারনে পুলিশি অভিযানে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয় অংশগ্রহনকারী শিশুরা।
শিশুদের এ ভয়াবহ পরিস্থিতি বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে দেশের সচেতন মহলের। শিশু সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ২২ মে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩১ তম বৈঠকে শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার বন্ধে শিশু আইন ২০১৩ প্রস্তাব করা হয়। এরপর ৫ জুন ৩২ তম বৈঠকে শিশু আইন ২০১৩ বিলের রিপোর্ট চূড়ান্ত করে সংসদীয় কমিটি। বিলটি সংসদের চলতি অধিবেশনে গত ১৬ জুন রোববার জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ার মাধ্যমে আইনে পরিণত হলো।
আইনটি শিশু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত দিয়েছেন পাইকগাছা শিশু অধিকার সংরক্ষন ফোরামের সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি। সম্ভাবনা রয়েছে। অবশেষে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার না করার বিধান রেখে আইন প্রনয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়েছে পাইকগাছা শিশু অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি জানান বিলটি আইনে পরিণত হলে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যথাইচ্ছা ব্যবহারে সুযোগ থাকবে না। দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার করা থেকে সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।