পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের রউফ ফকিরের
পুত্র হাদিউজ্জামান একজন মধ্যবৃত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। সংসার ও লেখাপড়ার
খরচ চালাতে গিয়ে তার পিতা ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে এমনকি তাদের বিলান ৪-৫ বিঘা জমি
অন্যের কাছে বন্ধক রাখতে হয়। এদিকে হাদিউজ্জামান বি এ পাশ করে বেকারত্ব
জীবন কাটায়। একদিন সে পরিকল্পনা করে তাদের নিজ জমিতে চিংড়ি চাষ শুরু করবে।
বিগত ২-৩ বছর সে তেমন সফল হতে পারেনি। অবশেষে ২০১২ সালে অ্যাকুয়া কালচার
ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এ আই এন) প্রকল্পের চিংড়ি চাষী গ্রুপে
অর্ন্তভূক্ত হয় এবং প্রকল্পের প্রতিটি প্রশিক্ষনে উপস্থিত হয়ে আধুনিক চিংড়ি
চাষ ব্যবস্থাপনার উপর যথেষ্ঠ জ্ঞান লাভ করে সেই অনুযায়ী ঘের পরিচালনা করে
এবং চিংড়ি চাষে কোন সমস্যা হলে প্রকল্পের সম্প্রসারন সহায়ক বৃন্দের কাছ
থেকে পরামর্শ গ্রহন করে।
ভাল চাষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সে এ বছর ২৯৭ শতক জমিতে এই পর্যন্ত ৪৭০ কেজি বাগদা ৩৭৫ কেজি সাদা মাছ পেয়েছে যার মূল্য ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তিনি আশা করেন আরো ৮০-৯০ হাজার টাকার বাগদা ও সাদা মাছ পাবেন। ফলে সকল খরচ বাদে প্রায় ২ লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে তার ধারনা।
হাদিউজ্জামান বলেন, তার গ্রপের ৩০ জন সদস্যের অধিকাংশ চাষীরাই বিঘা প্রতি (৩৩ শতক) গড়ে প্রাই ৩০-৪০ হাজার টাকার বাগদা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মধ্যে লক্ষীখোলা গ্রামের সামিউল, ইমরান, হাবিবুর রহমান, হাশেম মিস্ত্রি, রবিউল বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
হাদিউজ্জামান জানান, সকল চিংড়ি চাষী যদি আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে তাহলে তার মত অন্যান্যদেরও চিংড়ির উৎপাদন বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে এবং এই চাষ পদ্ধতি দারিদ্র বিমোচন ও বেকারত্ব দুরিকরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভাল চাষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সে এ বছর ২৯৭ শতক জমিতে এই পর্যন্ত ৪৭০ কেজি বাগদা ৩৭৫ কেজি সাদা মাছ পেয়েছে যার মূল্য ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তিনি আশা করেন আরো ৮০-৯০ হাজার টাকার বাগদা ও সাদা মাছ পাবেন। ফলে সকল খরচ বাদে প্রায় ২ লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে তার ধারনা।
হাদিউজ্জামান বলেন, তার গ্রপের ৩০ জন সদস্যের অধিকাংশ চাষীরাই বিঘা প্রতি (৩৩ শতক) গড়ে প্রাই ৩০-৪০ হাজার টাকার বাগদা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মধ্যে লক্ষীখোলা গ্রামের সামিউল, ইমরান, হাবিবুর রহমান, হাশেম মিস্ত্রি, রবিউল বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
হাদিউজ্জামান জানান, সকল চিংড়ি চাষী যদি আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে তাহলে তার মত অন্যান্যদেরও চিংড়ির উৎপাদন বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে এবং এই চাষ পদ্ধতি দারিদ্র বিমোচন ও বেকারত্ব দুরিকরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।