সুদীর্ঘ ৩৬ বছর একই প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা ও
সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে অবসরে গেলেন কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ জনাব
সহর আলী গাজী। ৪ নভেম্বর ২০১৩ ইং সোমবার তার চাকুরী জীবনের শেষ কর্ম দিবসে
উপাধ্যক্ষ বাবু ত্রিদিব কান্তি মন্ডলের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর স্মৃতি বিজড়িত
দক্ষিন-খুলনার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি কলেজটি ১৯৬৭
সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত
৪৬ বছরের মধ্যে প্রথম ১০ বছরে ৮ জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া জনাব সহর আলী গাজী ২০ ফেব্র“য়ারী ১৯৭৩ সালে জীব
বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৬ জুন ১৯৭৭
সালে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে একাধারে ৩৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
যদিও বিধি অনুযায়ী ৫ নভেম্বর ২০০৮ ইং তার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়। তবুও তার দক্ষতা ও কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি হয়ে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের অনুরোধে তাদের সুপারিশক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ বছর করে পরবর্তীতে আরও ১ বছর মোট ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে। তার এ মেয়াদ শেষ হয় ৫ নভেম্বর ২০১৩ সন। সর্বমোট তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ৪০ বছর ৮ মাস ২৭ দিন চাকুরি করেন।
অবশেষে তিনি একদিন পুর্বেই ৪ নভেম্বর সোমবার শেষ কর্ম দিবস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে উপাধ্যক্ষ বাবু ত্রিদিব কান্তি মন্ডলের নিকট দায়িত্ব বুঝে দেন। এ উপলক্ষে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে তার দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ক্ষিতিশ চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ত্রিদিবকান্তি মন্ডল, প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ ভট্রাচার্য, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার দাস, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রমেশ চন্দ্র ঢালী, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আব্দুস সামাদ, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পরিমল কুমার সাধু, বাংলা বিভাগের প্রভাষক শফিউল আলম, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য জালাল হাজরা, আসাদুল ইসলাম পিয়ারুল, বর্তমান সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন, প্রাক্তন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী কলিম উদ্দীন শেখ প্রমূখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিমান বিহারী গোলদার। বক্তারা বলেন, সকলের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক জনাব সহর আলী গাজী তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহোযোগিতায় কলেজটির অবকাঠামো সহ ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে গেছেন।
একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৪১ বছর চাকুরীর ৩৬ বছর অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালন করার ঘটনা খুবই বিরল। বিজ্ঞ, দক্ষ একজন প্রশাসককে পেয়ে আমরা ধন্য হয়ে ছিলাম। তিনি আমাদের পাশে থেকে ছায়ার মত সকল ঝড়-ঝাপটা থেকে রক্ষা করে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমরা তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বর্তমান কলেজটিতে বাংলা, রাষ্ট্রাবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।
যদিও বিধি অনুযায়ী ৫ নভেম্বর ২০০৮ ইং তার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়। তবুও তার দক্ষতা ও কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি হয়ে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের অনুরোধে তাদের সুপারিশক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ বছর করে পরবর্তীতে আরও ১ বছর মোট ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে। তার এ মেয়াদ শেষ হয় ৫ নভেম্বর ২০১৩ সন। সর্বমোট তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ৪০ বছর ৮ মাস ২৭ দিন চাকুরি করেন।
অবশেষে তিনি একদিন পুর্বেই ৪ নভেম্বর সোমবার শেষ কর্ম দিবস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে উপাধ্যক্ষ বাবু ত্রিদিব কান্তি মন্ডলের নিকট দায়িত্ব বুঝে দেন। এ উপলক্ষে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে তার দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ক্ষিতিশ চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ত্রিদিবকান্তি মন্ডল, প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ ভট্রাচার্য, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার দাস, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রমেশ চন্দ্র ঢালী, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আব্দুস সামাদ, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পরিমল কুমার সাধু, বাংলা বিভাগের প্রভাষক শফিউল আলম, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য জালাল হাজরা, আসাদুল ইসলাম পিয়ারুল, বর্তমান সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন, প্রাক্তন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী কলিম উদ্দীন শেখ প্রমূখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিমান বিহারী গোলদার। বক্তারা বলেন, সকলের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক জনাব সহর আলী গাজী তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহোযোগিতায় কলেজটির অবকাঠামো সহ ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে গেছেন।
একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৪১ বছর চাকুরীর ৩৬ বছর অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালন করার ঘটনা খুবই বিরল। বিজ্ঞ, দক্ষ একজন প্রশাসককে পেয়ে আমরা ধন্য হয়ে ছিলাম। তিনি আমাদের পাশে থেকে ছায়ার মত সকল ঝড়-ঝাপটা থেকে রক্ষা করে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমরা তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বর্তমান কলেজটিতে বাংলা, রাষ্ট্রাবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।