ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয় হিসেবে 'নারী' ও 'পুরুষের'
পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ পরিচয় হিসেবে'হিজড়া'কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিল
বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে সরকারি নথিপত্র ও পাসপোর্টে হিজড়াদের লিঙ্গ পরিচয়কে
'হিজড়া' হিসাবে উল্লেখ করা হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা ও আবাসনসহ বিভিন্ন
ক্ষেত্রে বৈষম্য ঘোঁচাতেও কার্যকর হবে এই স্বীকৃতি। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার
বৈঠকে এ সংক্রান্ত 'নীতিমালা' অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন,
বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার হিজড়া রয়েছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে
শিক্ষা, চিকিৎসা ও আবাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যর শিকার হয়ে আসছেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে তথ্য সংগ্রহের সময় ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয় হিসাবে 'নারী'
ও 'পুরুষের’' পাশাপাশি 'হিজড়া' হিসাবে চিহ্নিত করার সুযোগ থাকবে।
পাসপোর্টেও তাদের লিঙ্গ পরিচয় হবে 'হিজড়া'। নথিপত্রে ইংরেজিতেও 'হিজড়া'
শব্দটি ব্যবহার করতে হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
হিজড়াদের নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই জনগোষ্ঠীকে 'তৃতীয় লিঙ্গ' হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের সরকার আগেই তাদের এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
হিজড়াদের নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই জনগোষ্ঠীকে 'তৃতীয় লিঙ্গ' হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের সরকার আগেই তাদের এ স্বীকৃতি দিয়েছে।