জলবায়ু পরিবর্তন ও মাকড়ের আক্রমণে উপকূলীয় এলাকায় হ্রাস পাচ্ছে নারিকেল
গাছ। ফলে পরিবেশ ও অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ মূল্যায়িত নারিকেল গাছ দিনকে দিন
বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ঝড়-জলোচ্ছাস থেকে উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি
মোকাবেলায় সারি সারি নারিকেল গাছের সবুজ বেষ্ঠনী অন্যতম ভূমিকা রেখে আসছে।
শুধু তাই নয়, নারকেল একটি অর্থকারী ফলজ হিসেবে এর বেশ খ্যাতিও রয়েছে। তাই
বেসরকারিভাবেও নারিকেল গাছ রোপন ও উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়
বিগত বছর গুলোতে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব, লবণাক্ততা,
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে নারকেল গাছ ও নারিকেলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত
হচ্ছে।
এ ছাড়া ইরিওফাইট গ্রিরোনিট নামক এক ধরণের মাকড়ের আক্রমণ নারকেল গাছে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে চলেছে। এ মাকড় প্রথমে নারিকেল গাছের কচি পাতা ও নারিকেলর বোটার পাশের চাকতির নিচে বাসা বাধে। পরে কচি ডাবের নরম অংশে ক্ষত করে রস চুসে খায়।
ফলে নারিকেলের বৃদ্ধি থেমে যাওয়া, কালো দাগ পড়া, আকারে ছোট হওয়াসহ ভিতরের শ্বাঁসের পরিমাণ কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ডাব অবস্থায় গাছ থেকে ঝড়ে পড়তে থাকে। এতে দিনকে দিন নারিকেলের আকার ছোট ও বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। নারকেলের আকার ছোট হয়ে ভিতরে শ্বাঁসের পরিমাণ কমে যাওয়াসহ অধিকাংশ গাছের পাতা কাটা ও ডাব-নারিকেলে অসংখ্য দাগ দেখা যায়। এ ছাড়া ছোট ডাব গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে, অনেক গাছে ফলও ধরছে না। পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার আগেই শুকিয়ে মরে যাচ্ছে গাছ। কোনো কোনো গাছ ফল শূণ্য হতেও দেখা গেছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিশেষভাবে মূল্যায়িত নারিকেল গাছ দিনের পর দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন রোগবালাই এবং মাকড়ের আক্রমণে বিলুপ্ত হতে চলেছে। এ অঞ্চলে গত কয়েক বৎসরের ব্যবধানে নারকেলের এ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পাইকগাছা উপজেলার চন্দ্র শেখর মন্ডল, নিলকোমল, আঃ সবুর আল-আমীন, পলাশ বিশ্বাস ও সমীর রায় এফএনএসকে জানান, কয়েক বছর আগে এ অঞ্চলে প্রচুর নারিকেল হত, এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানিসহ দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানি করা হত। কিন্তু লবাক্ততা ও মাকড়ে গাছ হলুদ বর্ণধারণ করে মারা যাচ্ছে। নতুন করে গাছ লাগালেও তা মারা যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় আগের তুলনা দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। গত এক দশক ধরে নারকেল গাছে এ ফলন বিপর্যয় ঘটছে। ডাব বা নারিকেল চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
এ বিষয়ে জৈব বালাইনাশক ক্ষুদে বিজ্ঞানি আজিজুর রহমান এফএনএসকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক বৈরিতা, লবনাক্ততার আগ্রাসন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাকড়ের আক্রমনসহ নানা কারনে কমছে নারিকেলের উৎপাদন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দশকের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নারিকেল গাছ শূণ্য হবার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তুতে ও চুন পানিতে গুলে মাঝে মাঝে গাছে স্প্রে করলে মাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আর বেশি ক্ষতি করছে চাষাবাদ জমিতে লবণ পানি তুলে চিংড়ি চাষ করায়।
এ ছাড়া ইরিওফাইট গ্রিরোনিট নামক এক ধরণের মাকড়ের আক্রমণ নারকেল গাছে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে চলেছে। এ মাকড় প্রথমে নারিকেল গাছের কচি পাতা ও নারিকেলর বোটার পাশের চাকতির নিচে বাসা বাধে। পরে কচি ডাবের নরম অংশে ক্ষত করে রস চুসে খায়।
ফলে নারিকেলের বৃদ্ধি থেমে যাওয়া, কালো দাগ পড়া, আকারে ছোট হওয়াসহ ভিতরের শ্বাঁসের পরিমাণ কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ডাব অবস্থায় গাছ থেকে ঝড়ে পড়তে থাকে। এতে দিনকে দিন নারিকেলের আকার ছোট ও বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। নারকেলের আকার ছোট হয়ে ভিতরে শ্বাঁসের পরিমাণ কমে যাওয়াসহ অধিকাংশ গাছের পাতা কাটা ও ডাব-নারিকেলে অসংখ্য দাগ দেখা যায়। এ ছাড়া ছোট ডাব গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে, অনেক গাছে ফলও ধরছে না। পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার আগেই শুকিয়ে মরে যাচ্ছে গাছ। কোনো কোনো গাছ ফল শূণ্য হতেও দেখা গেছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিশেষভাবে মূল্যায়িত নারিকেল গাছ দিনের পর দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন রোগবালাই এবং মাকড়ের আক্রমণে বিলুপ্ত হতে চলেছে। এ অঞ্চলে গত কয়েক বৎসরের ব্যবধানে নারকেলের এ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পাইকগাছা উপজেলার চন্দ্র শেখর মন্ডল, নিলকোমল, আঃ সবুর আল-আমীন, পলাশ বিশ্বাস ও সমীর রায় এফএনএসকে জানান, কয়েক বছর আগে এ অঞ্চলে প্রচুর নারিকেল হত, এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানিসহ দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানি করা হত। কিন্তু লবাক্ততা ও মাকড়ে গাছ হলুদ বর্ণধারণ করে মারা যাচ্ছে। নতুন করে গাছ লাগালেও তা মারা যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় আগের তুলনা দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। গত এক দশক ধরে নারকেল গাছে এ ফলন বিপর্যয় ঘটছে। ডাব বা নারিকেল চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
এ বিষয়ে জৈব বালাইনাশক ক্ষুদে বিজ্ঞানি আজিজুর রহমান এফএনএসকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক বৈরিতা, লবনাক্ততার আগ্রাসন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাকড়ের আক্রমনসহ নানা কারনে কমছে নারিকেলের উৎপাদন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দশকের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নারিকেল গাছ শূণ্য হবার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তুতে ও চুন পানিতে গুলে মাঝে মাঝে গাছে স্প্রে করলে মাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আর বেশি ক্ষতি করছে চাষাবাদ জমিতে লবণ পানি তুলে চিংড়ি চাষ করায়।