Saturday, March 15, 2014

প্রচারণা শেষ, পাইকগাছায় ভোটযুদ্ধ আজ

প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। মাইকিং-মিছিল আর পথসভার শব্দ থেমে গেছে। চারদিকে নেমে এসেছে শুনশান নিরবতা। পাইকগাছায় ভোট যুদ্ধের পূর্বের অবস্থা এটি। রাত পার হলেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেই ভোটযুদ্ধ। আর প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে এসে পাইকগাছায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, তৃতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামীকাল ১৫ মার্চ শনিবার ভোট হবে পাইকগাছায়। এই উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ জন ও মহিলা ভোটার ৯২ হাজার ১৩৭ জন। ১০টি ইউনিয়নের ৬৯টি ভোট কেন্দ্রের ৪৪২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৫৫টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

এ বছর পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান। ২০০৯ সালের নির্বাচনে তিনি ৪৭ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী স ম বাবর আলী পেয়েছিলেন ৪৫ হাজার ৪৩৫ ভোট। এবারও বিএনপি তাকে সমর্থন দিয়েছে। উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর গতবার পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ১৬০ ভোট। সিপিবির প্রার্থী কৃষ্ণপদ মন্ডল গতবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এবার চেয়ারম্যান পদে দলের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

নতুন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জি এম আবদার রশীদ ও শেখ সোহওয়ায়ার্দী।অবশ্য আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামানকে (আনারস) সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।