Sunday, March 9, 2014

একটি মাত্র ব্রীজ খুলনা-পাইকগাছার দূরত্ব কমাবে ২৬ কিলোমিটার

একটি মাত্র ব্রীজ পাইকগাছা থেকে খুলনার দূরত্ব কমাবে ২৬ কিলোমিটার। সোলাদানাস্থ শিবসা নদীতে ব্রীজ বা ফেরি স্থাপিত হলে দূরত্ব কমার পাশাপাশি সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থ। উন্নয়নের এক ধাপ এগিয়ে যাবে সুন্দরবনের কোল ঘেষা দক্ষিণাঞ্চল। নির্বিঘ্নে এ পথে যাতাযাতে প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।

সূত্রমতে, খুলনা জেলার সবচেয়ে দূরত্বে সুন্দরবনের কোল ঘেষে অবস্থিত অবহেলিত দুই উপজেলা পাইকগাছা ও কয়রা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই দুই উপজেলার লাখো মানুষের জেলা শহরে যাতাযাতের এক মাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। সময়ের সাথে সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আধুনিক যানবাহনের ভিড়ে এবং নাব্যতা সংকটের কারনে নদী পথ বন্ধ হয়ে গেলে সড়ক পথই একমাত্র ভরসা হয়ে দেখা দেয়।

বর্তমানে জেলা সদর থেকে কয়রার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার এবং পাইকগাছার ৬৬ কিলোমিটার। কয়রা-খুলনা সড়কটির সংস্কারের অভাবে হয়েছে বেহাল অবস্থা। খুলনা-পাইকগাছার মধ্যবর্তী কপিলমুনি ও তালা সংলগ্ন এলাকায় বিগত কয়েক বছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় পানি উঠে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ২/৩ মাস বিচ্ছিন্ন থাকছে।

এ সময় বিকল্প রুট হিসেবে এলাকাবাসী পাইকগাছা-সোলাদানা-দেলুটি হয়ে বটিয়াঘাটার মধ্য দিয়ে খুলনায় যাতাযাত শুর করে। বিকল্প এ পথে দূরত্ব কম, অর্থ ও সময় সাশ্রয়। পাইকগাছা থেকে এ পথের মোট দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। যা বর্তমান সড়কের চেয়ে ২৬ কিলোমিটার কম।

এ পথের দূরত্ব কম হলেও সোলাদানা থেকে দারুনমল্লিক নদী পারাপার এবং দারুনমল্লিক থেকে ফুলবাড়ী বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা থাকায় যাতাযাতে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। নদী পারাপারের কারনে সরাসরি কোনো যানবাহন চলতে পারছে না।

এই পথের যাত্রী সমীর, বিপ্লব ও মিতা জানান, সোলাদানা চেয়ারম্যানের ঘাট, গড়ইখালী ও দারুনমল্লিক নোয়াই এলাকায় শিবসা নদীতে একটি ব্রীজ বা ফেরি স্থাপন করলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের যোগাযোগসহ আর্থসামাজিক অবস্থা। দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান সমর কান্তি হালদার Voice of Paikgacha'কে বলেন, বিকল্প এ পথে এক দিকে দূরত্ব কম, অপরদিকে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।