খুনী দীপংকর দাস দীপক একজন মাদকাসক্ত
পাইকগাছা উপজেলার শলুয়া গ্রামে স্ত্রী অনিমা দাস (৩০) ও শিশু সন্তান সজীব দাসকে (৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার পর স্বামী দীপংকর দাস দীপক (৪৫) কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। দীপক’কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামী দীপংকর দাস মাদকাসক্ত এবং
হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাদকাসক্তের ছোবল বাঁচতে দিলো না
নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে। মাদকের ভয়াবহতার জলজ্যান্ত প্রমাণ এ দু’টি
হত্যাকান্ড। অনিমা দাস ও তার শিশু পুত্র সজীব দাসকে জবাই করে হত্যার ঘটনায়
এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পাইকগাছা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং হতাশা থেকে দীপংকর দাস তার স্ত্রী অনিমা ও ছেলে সজীবকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দীপংকর কপিলমুনি বাজারে ব্যবসা করতেন। বর্তমানে তার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় তিনি বেকার ছিলেন। আয় রোজগার না থাকায় স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যত কি হবে এনিয়ে তৈরী হতাশা থেকে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে দীপংকর কি ব্যবসা করতেন তা জানাতে পারেননি তিনি। হত্যাকান্ডের পিছনে অন্য কোন কারণ আছে কি না তা’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর কীটনাশক পানে অসুস্থ দীপংকরকে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত অনিমা দাস ও তার ছেলে সজীব দাশের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া দীপকের একমাত্র কন্যা স্থানীয় হরিঢালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা দাশ জানায়, সে তার ঠাম্মা (দাদী) জোৎস্না রানী দাশের সাথে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘুমিয়েছিল। ঘটনার সময় তার বাবা তাদেরকেও জবাই করতে উপরে উঠে। তবে ভেতর থেকে দরজা ও বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় উপরের চালের টিন খোলার চেষ্টা করলে তারা জেগে উঠে। তবে কি কারণে হত্যা করেছে তা সে নিজেও জানে না।
সর্বশেষ খবর পেয়ে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউল্লা ও পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরোত হাল রিপোর্ট শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন।
ওসি এম মসিউর রহমান মোবাইলে জানান, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী হন্তারক দীপককে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দীপক মানসিক ভারসাম্যহীন।
খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (দাকোপ সার্কেল) মাসুদ রানা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, দীপংকর দাস মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় এ ধরনের একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ প্রহরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। সে সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদে সঠিক তথ্য জানা যাবে।
পাইকগাছা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং হতাশা থেকে দীপংকর দাস তার স্ত্রী অনিমা ও ছেলে সজীবকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দীপংকর কপিলমুনি বাজারে ব্যবসা করতেন। বর্তমানে তার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় তিনি বেকার ছিলেন। আয় রোজগার না থাকায় স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যত কি হবে এনিয়ে তৈরী হতাশা থেকে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে দীপংকর কি ব্যবসা করতেন তা জানাতে পারেননি তিনি। হত্যাকান্ডের পিছনে অন্য কোন কারণ আছে কি না তা’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর কীটনাশক পানে অসুস্থ দীপংকরকে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত অনিমা দাস ও তার ছেলে সজীব দাশের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া দীপকের একমাত্র কন্যা স্থানীয় হরিঢালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা দাশ জানায়, সে তার ঠাম্মা (দাদী) জোৎস্না রানী দাশের সাথে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘুমিয়েছিল। ঘটনার সময় তার বাবা তাদেরকেও জবাই করতে উপরে উঠে। তবে ভেতর থেকে দরজা ও বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় উপরের চালের টিন খোলার চেষ্টা করলে তারা জেগে উঠে। তবে কি কারণে হত্যা করেছে তা সে নিজেও জানে না।
সর্বশেষ খবর পেয়ে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউল্লা ও পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরোত হাল রিপোর্ট শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন।
ওসি এম মসিউর রহমান মোবাইলে জানান, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী হন্তারক দীপককে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দীপক মানসিক ভারসাম্যহীন।
খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (দাকোপ সার্কেল) মাসুদ রানা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, দীপংকর দাস মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় এ ধরনের একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ প্রহরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। সে সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদে সঠিক তথ্য জানা যাবে।